somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্পঃ~অমানুষ!!~

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



-এই খালি যাবা ?
-কই যাইবেন ?
-দক্ষিন খান ।
-যামু ।
-কত?
-১১০ টাকা ।
-কি? রিকশা নতুন চালাও নাকি ? ফাজিল কোনখানের ।
-গালি দেন কেন ? হ্যাঁ ?? না যাইলে না যাইবেন । তাই বইলা গালি দিবেন ? আমি কি আপনার চাকর নাকি?
-চুপ! শালা ছোটলোকের বাচ্চা । যেইখানে আছস ওইখানে বসে থাক । দেশে রিকশার অভাব পড়ে নাই ।
-অভাব পড়ে নাই ত আমারে কন ক্যা ? আমি ছোটলোক আপনে কি??
-এক থাপ্পর মারব ।মুখে মুখে কথা কস । আমারে চিনস ?
- দরকার নাই আমার আপনারে চিইন্যা । যেইদিকে জাইতাসেন ওইদিক যান ।
-আর একটা কথা বলবি ধরে থানায় নিয়া যাবো কিন্তু ।
-এহ! আইছে আমার লাটসাহেব!

-অই চাচা যাইবা ?
-কই যাইবেন চাচা?
-দক্ষিন খান ।
-যামু ।
-কত?
-১০০ দিয়েন ।
-কি কইলা? উত্তরা ৪ থিকা দক্ষিনখান ১০০ টাকা ? ভাড়া শিখাও নাকি আমারে ?
-ভাড়া শিখামু কেন ? যেইটা ভাড়া সেইটাই ত কইলাম ।
-যেইটা ভাড়া সেইটা না ? তোমার মিয়া হাতই নাই একটা । একহাতে টানবা আবার ১০০ টাকা ভাড়া চাও । রাস্তায়ই তো আমার বিশ মিনিট নষ্ট করায় দিবা । ৫০ টাকা দিব যাইবা ?
-এইটা কি কন সাহেব ? এইটা সম্ভব না । কেউ যাইব না ৫০ টাকায় । আচ্ছা ৮০ টাকা দিয়েন, উঠেন ।
-এহ! লেংড়ায় লেংড়ায় টানবা আবার ৮০ টাকা দিমু তোমারে । আমার সময়ের কি দাম নাই নাকি ?? ৭০ পাবা চল ।
-আচ্ছা চলেন । তয় , অন্যকেউ হইলে যাইত না ।






:::::::::::::::::: ২ মিনিট পর ::::::::::::::::::

-শালার বাঙ্গালীর উন্নতি কোন দিনই হবে না ! আজাইত্যা ফকির গুলা ফকিরই থাইকা যাবে ।যত্তোসব ন্যাড়ো মাইন্ডেড ননসেন্স পাবলিক !
-কি হইছে সাহেব ?
- আর বইলো না চাচা, এক রিকশা ওয়ালারে বললাম ভাড়া এত কেন ? কয়কি জানো ?
-কি কয়?
-কয় যাইলে যাইবেন না যাইলে নাই । আমি কি আপনার চাকর নাকি?
-হে হে । মেজাজ খারাপ আসিল হয়তো পোলার ।
-আরে নাহ! এইগুলার স্বভাবই খারাপ বুঝলা চাচা । সারাদিন ওই এক জায়গায় বইসা থাকবে কিন্তু পাঁচ টাকা কম রাখবে না । যত্তোসব রাবিশ!
-কি করব কন? রিকশা ওয়ালা বইলা কি আমগোর কাছ থিকা কোন কিছুর দাম কেউ কম রাখে? আমগোরও তো সংসার আছে । পেট তো মানে না ......
- আচ্ছা চাচা সামনে একটু রাখ তো ওই দোকানটার সামনে । ফ্লেক্সি করা লাগবে মোবাইলে ।

জাগর চৌধুরী ফ্লেক্সি করছেন । একে একে ৫টা নাম্বার দিলেন ২টাতে ২০০ টাকা করে ,একটায় ১০০, বাকি ২ টায় ৫০ করে লোড করলেন । তারপর দুই পকেট থেকে ২ টা মোবাইল বের কয়রে চেক করলেন ।
হ্যাঁ টাকা গেছে । এরপর একটা হাতে নিয়ে কল দিলেন কাউকে । ৩ বার দেয়ার পর ওপাশ থেকে সাড়া এল ,
-হ্যালো ?
-হ্যাঁ জান তোমার দুটো নাম্বারে ২০০ করে পাঠিয়েছি । দেখতো গেল কিনা ।
-দেখছি ।
হ্যাঁ এসেছে । তুমি কোথায় ?
-এইতো আমি অফিস থেকে বেরুলাম মাত্র । তুমি রেডি হও আমি আর পনের মিনিটের মাথায় পৌছে যাব । গাড়িটার ব্যাবস্থা হল ?
-হুম । দুলাভাইকে বলে রেখেছিলাম কালকে । কিছুক্ষনের মধ্যে পাঠিয়ে দেবে বোধহয় । তুমি জলদি কর । আজ কিন্তু লেট হলে চলবে না ।
- আরে ধুর কি যে বল । আমি এই তো পৌঁছে গেলাম বলে ।
-আচ্ছা রাখি








এরপর আরেকটা রিং দিলেন দ্বিতীয় সেটটা থেকে । এইবার অন্যএকটা নাম্বারে । প্রথমবারই রিসিভ হল ,
-হ্যালো ভাইয়া?
-হ্যাঁ , মারুফ কই তুই ?
-আমি এইযে বাসার দিকে যাচ্ছি , ভার্সিটি থেকে । তুমি ?
-আমি অফিসে । তোর নাম্বারে ৫০ টাকা দিয়েছি। দেখতো গেল কিনা ।
-দাঁড়াও দেখি ।
হ্যাঁ আসছে । তুমি ফিরবা কখন ?
-আমার আসতে দেরি হবে ।
-আজ না তোমার আম্মাকে নিয়ে যাওয়ার কথা ডাক্তারের কাছে ?
আমি পারব না । আজকে জরুরী মিটিং এ আটকেছি বুঝলি ? ফিরতে অনেক রাত হবে । তোরা খেয়ে নিস । আর আম্মাকে তুই নিয়ে যা না চেম্বারে ।
-আমি? আমার তো কালকে এক্সাম আছে । আচ্ছা, নাহয় গেলাম, কিন্তু চেম্বারটা কই? চিনি না তো । তোমার পরিচিত ডাক্তার তুমি গেলে সুবিধা হত না ?
- আরে টেস্টের রিপোর্টগুলোর সাথে দেখ চেম্বারের কার্ড আছে ।তুই চিনবি , গ্রীন লাইফ হাসপাতালটার আগের গলিটার মুখেই মেঘনা ফার্ণিচারের বড় দোকানটার অপজিটের তিনতলা বিল্ডিংটায় ।
না পেলে পরে ফোন দিস । আর আম্মাকে বলিস আমার জন্য ওয়েট না করতে , আমার দেরি হবে । কাজের চাপ বেশি আজকে ।

রিকশাওয়ালা ফ্যালফ্যাল কয়রে তাকিয়ে আছে তার দিকে । বুঝতে পেরে জাফর চৌধুরীর ভুরু কুচকে উঠল । বিরক্ত বঙ্গিতে এসে রিকশায় উঠলেন ।

-সাহেব কথা গুলা রিকশায় উইঠাই তো বলতে পারতেন । পনের মিনিট তো এইখানেই শেষ ।
-জ্ঞান দাও নাকি ? হ্যাঁ ? আমার কি সময় তোমার কাছ থেকে নিতে হবে ??
-কি বলেন? আমি কি তা বলসি? বললাম রিশকায় উইঠ্যাই ত কইতে পারতেন কথা গুলি ।
-বেশি বুঝ? টাকা গেল কিনা সিউর হইতে হবে না? আন্দাজে লাফ দিয়ে চলে গেলে দোকানদার বেটা এতোগুলি টাকা মেরে দিলে কিভাবে ধরব ? কালকে শুক্রবার । দুই দিনের মধ্যে এইদিকে আসাও হবে না । এতোগুলা টাকা গেলে কি তুমি দিবা ?
-কি যে কন সাহেব /
-তাইলে বকবক কম কর ।








:::::::::::::::: ৫ মিনিট পর ::::::::::::::::

-চাচা সামনে বামের দোকানটায় একটু রাখ তো । ১ মিনিট ।
একটা জিনিস নিতে হবে ।

জাফর সাহেব রিকশা থেকে নেমে সুপার শপটায় ঢুকলেন । রিকশাওয়ালা বুড়ো অপেক্ষা করতে থাকলো ...... ১ মিনিট, ২মিনিট ... ৫ মিনিট ... দশ মিনিট পার হয়ে যাচ্ছে । তার যাত্রির দেখা নেই । নিজেকে বেকুব মনে হচ্ছে তার । অবশেষে, ১৫ মিনিটের মাথায় জাফর সাহেব বেরিয়ে এলেন হাতে রেপিং পেপারে মোড়া বড় দুটো প্যাকেট নিয়ে । হন্তদন্ত হয়ে রিকশায় উঠে বসলেন । বসেই হুকুম ,

-চাচা একটু তাড়াতাড়ি টানো তো । অনেক দেরি হয়ে গেল ।
-একটু পরপর নাইমা হারায় গেলে ত দেরি হইবই । ( বিড়বিড় করে )
দশ ফুট না যেতেই রিকশা বামে চাপানো হল । জাফর সাহেব খেকিয়ে উঠলেন, আহহা!! আবার কি হল ?!
-চেইন পইড়া গেসে ।
-ওহ গড! কপাল আমার এতো খারাপ । কোন দুঃখে যে মরতে উঠছিলাম এইটায় !!
চেইন লাগানো হল । বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা একহাতে যথাসম্ভব দ্রুত টানার চেষ্টা করছেন রিকশাটাকে ।
-চাচা কি ক্ষতি যে করলা, জানো না । আর তোমাদের কি বলমু । সময় জ্ঞান থাকলে তো আর রিকশা চালাইতা না ।
- আমি ক্ষতি করসি আপনার ?!? এইগুলা কি কন সাহেব ?
-আহহা ! এতো কথা কও কয়েন রিকশাটারে তো গরুর গাড়ি বানায় ফেলছ ! সব যাইতাসে তোমারটা আর আগায় না ! একটু টানো না এইবার ।
-কি করুম? একটা হাতে আর যে পারি না । তার উপরে দুপুরে কিছু খাইবার পারি নাই । শরীলে কুলাইতাসে না ।
- শরীরে কুলায় না তো বাইর হও কয়েন রিকশা নিয়া । ঘরে শুইয়া থাকলেই পারো । যত্তোসব ! খালি তো পারো মানুষরে লেট করায় দিতে ! রাবিশ !

নিজের একমাত্র ডানহাতটা আর শীর্ণ পাদুটোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে রিকশাটাকে দ্রুততর করবার চেষ্টা করে ফারুক মিয়া । এই মিত্থ্যে অনৈতিক কথাগুলো তার পুরোন রক্তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ......







:::::::::::::::::: ১০ মিনিট পর ::::::::::::::::::

-চাচা ডানের গেটটায় রাখ ।

বিশাল ৬ তালা বাসাটার মেইন গেটের সামনে দাঁড়ায় রিকশা । তাড়াহুরো করে নেমে যান জাফর চৌধুরী । নেমেই হন্তদন্ত করে গেটে ঢুকে পড়েন । পেছন থেকে ফারুক মিয়া চেঁচায় ,
-আমার ভাড়াটা ?? ভাড়া দিলেন না ??
-১ মিনিট দাঁড়াও চাচা । ভাংতি নেই জিনিস গুলো রেখে এসে দিচ্ছি তোমার ভাড়া ।
-তাড়াতাড়ি কইরেন সাহেব ! কয়েকটা ট্রীপের টাইম মাইরা দিসেন । একটু তাড়াতাড়ি করলে আরো দুইটা ট্রীপ দিমু ।
-১ মিনিট বসো ।

জাফর সাহেব সিঁড়ি দিয়ে উঠে হাড়িয়ে গেলেন প্রাসাদ সম বাড়িটার ভেতর ।
বৃদ্ধ ফারুক মিয়া কপালের ঘাম মোছেন গামছা কোমড়ে বাঁধা গামছাটা দিয়ে । অপেক্কায় থাকেন ...... ১ মিনিট , ২ মিনিট ...... ৫ মিনিট ...... ১০ মিনিট ...... ২০ মিনিট পেরিয়ে যায় । বাড়ির বিশাল গেট আর খোলে না । ফারুক মিয়া একবার ভাবে লোকটার আসলেই সময়জ্ঞান নেই, প্রত্যেক বার সে ২ মিনিটের কথা বলে ২০ মিনিট পার করছে ।
পেরিয়ে জয়ায় আরো ১৫টা মিনিট !
বাসাটার গেটটা খুলে যায় ! কিন্তু, কোন জাফর সাহেব বেরিয়ে আসেন না । বেরিয়ে আসে একটা ঝকঝকে টয়োটা প্রাইভেট কার । দাড়োয়ানের ধমকে ফারুক মিয়া রিকশাটাকে একপাশে চাপিয়ে রাখেন ।

সুন্দর গাড়িটা ফারুক মিয়া আর তার রিকশাটাকে পাশ কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যায় । তাতে বসে আছে ভারি মেকাপ নেয়া এক মহিলা , আর তার পাশে......... !!
ফারুক মিয়ার বুকটা ধক করে ওঠে .........

পাশের লোকটা তার একটু আগের সময়সচেতন ফুলবাবু যাত্রীটি -জাফর চৌধুরী !!!

ফারুক মিয়া চেঁচাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু শুকনো গলা দিয়ে ফ্যাসফ্যসে আওয়াজ ছাড়া কিছুই বের হয় না ।

গাড়িটা ক্রমে দূরে চলে যাচ্ছে । সেই সাথে ফারুক মিয়ার চোখ জমা হচ্ছে দু-ফোঁটা অশ্রু !


বুক চিড়ে বেরিয়ে আসে একটা দীর্ঘশ্বাস ! আর মুখ দিয়ে একটা শব্দ .......




"অমানুষ" !!!


সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২২
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×