somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাকতাল

২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব
কাক যে কেন তাল গাছে উঠল এবং তালটা বা কেন ঠিক ঐ সময় পড়ল জানিনা, তবে এতে নাস্তিক জ্ঞানীদের খুব উপকার হল।

গরম কফি আমার আগের পর্ব পড়ে একটু সহজভাবে লিখতে বললেন তাই সহজভাবে লিখার চেষ্টা করছি। আমি আগের পর্বে বলছিলাম নাস্তিকগন সৃষ্টি জগতের এ শৃংখলাকে কাকতালীয় মিল বলতে চায়।
কাকতালীয় মিলকে সহজ ভাবে বলতে গেলে এরুপ- আমি যদি ৩০- ৪০টি মার্বেল ছুড়ে মারি তবে এগুলো এলোমেলাভাবে থাকবে, কিন্তু যদি কোটি কোটি বার ছুড়ে মারি তবে কোন একবার এটা বাংলাদেশের মানচিত্রের মত সাজান হলেও হতে পারে। কিন্তু যদি আবারো কয়কে কোটি বার ছুড়ে মারি তবে এবার হয়ত মানচিত্র হবে না হয়ত হবে শাপলা ফুল। এতে আশ্চর্য হ্ওয়ার কিছু নাই কারণ, এটাতো কাকতালীয়।

আমাদের এই পৃথিবীটা হাজারো কোটি বছর পড়ে কাকতালীয় ভাবে হল জীবনের উন্মেষ। আস্তে আস্তে অন্যান্য প্রাণী পড়ে বানর বানর থেকে মানুষ(নাস্তিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা)। এখন কথা হল পৃথবীর মত কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র রয়ে গেছে তাই সম্ভাবনা আছে ঐসব গ্রহেও প্রানী থাকার। কিন্তু কথা হল তারা তো আর পৃথিবীর মানুষ পশুপাখী প্রানীদের মত হবেনা কারণ কাকতালীয় মিল তো বারবার একই রকম হয়না তবে কেমন হবে দেখুন:
কোন এক গ্রহে কাকতালীয় ভাবে (সামনে "কাকতালীয় ভাবে" কথাটা উহ্য রাখব) সৃষ্টি হয়ে আছে কম্প্উটারের মত কিছু যন্ত্র, গুলোই ওখানের বুদ্ধিমান প্রানী, এরা আিবষ্কার করেছে মানুষের মত প্রানী । এরা ঐ মানুষকে অপারেট করে। বিভিন্ন ব্রান্ডের মানুষ ওখানের কম্পিউটারেরা বিক্রি করে। বছর বছর আপডেট হচ্ছে মানুষ।

কোন এক গ্রহে সবচেয়ে বুদ্ধিমানপ্রানী দেখতে পৃথিবীর কুকুরের মত। এরা একটা প্রানী লালন পালন করে যা খুব প্রভুভক্ত। এরা দুই পা বিশিষ্ট।
কোন এক গ্রহের বুদ্ধি মান প্রানীরা নিজেদের মত প্রাণী বানাতে সক্ষম এবং এরা এদের ব্রেণ প্রযোজনে পরস্পরের কাছে বদল করে কাজ চালায়। ব্রেনটা ঠিক মাথায় রাখেনা, কম্পিউটারে মত শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোর্ট আছে, একেক সময় একেক স্থানে রাখে সুবিধামত। ঘুমায় না ।রেষ্ট নিতে হলে ব্রেন খুলে রাখে এবং সে হয়ে যায় মরার মত । কয়েকঘন্টা পরে অন্যকেউ লাগিয়ে দেয়। তবে এখানে কম বুদ্ধিমানেরা মাঝেমাঝে অপরের ব্রেন চুরি করে। এ নিয়ে ওখানে চলছে ব্যপক অরাজকতা।
কোন এক গ্রহের বুদ্ধি মান প্রানীরা কখনো মরেনা। এরা এখনো ধবংস (ডিলেট) করার মত কিছু আবিষ্কার এখনো করতে পারেনি। তবে মনে হচ্ছে এত বেশী প্রানী ওখানে তৈরী হয়ে আছে যে এক সময় ও গুলো টিকে থাকার জন্য রিসোর্স এর অভাবে এক শিঘ্রই গ্রহটি ধ্বংশ হবে।

কোন এক গ্রহের বুদ্ধি মান প্রানীরা পৃথিবীর উদ্ভিদের মত প্রকৃতি থেকে খাদ্য গ্রহন করে। এরা মাটিতে গ্রথিত থাকে। চলতে পারেনা। একজন আরেকজনের সাথে সিগনালিংএর সাহায্যে যোগাযোগ করে। চলতে পারেনা বলে খুব অসুবিধা হয়। চলন্ত প্রানীরা খুব বিরক্ত করে।গবেষনা চলছে এদের হাত থেকে বাচার জন্য।

কোন এক গ্রহের বুদ্ধি মান প্রানীরা মাটির ভিতর থেকে বিশাল ফুটবল আকৃতিতে বের হয়। গ্রহটিতে যতক্ষন অবস্থান করে সে কিছুই খায়না। আস্তে আস্তে ক্ষয় হতে হতে যখন আয়তন শূন্য হয় তখন বলা হয় এটা মারা গেছে।

পড়ার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছেন? আমি গাজা খেয়েছি? যদি উপরের ঘটনা গুলো ভুল হয় তবে জেনে রাখুন মহাবিশ্ব কাকতালীয়ভাবে হয়নি। কোন এক নিপুন শিল্পীর শিল্প এটা।

তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ্ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফিরাও; কোন ভুল দেখতে পাও কি?
অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ- তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
সুরা মুলক-৩-৪





সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×