সম্প্রতি দেখলাম এক ভাই নাস্তিকতা প্রমানের জন্য থার্মোডিনামিক্সের ১ম সূত্রটির বরাত দিয়েছেন।
আসুন দেখি থার্মোডিনামিক্সের ১ম সূত্র কি বলে
শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই, শুধুমাত্র একরূপ থেকে অন্যরুপে পরিবর্তত হতে পারে।মহাবিশ্বে শক্তির পরিমান ধ্রুব এবং অপরিবর্তনীয় যেহেতু পদার্থএবং শক্তি একটি অপরটি তে পরিবর্তনযোগ্য সুতরাং পদার্থ এবং শক্তিকে এক করে দেখা যায়।
View this link
নাস্তিকদের সহজ হিসাবঃ
শক্তি সৃষ্টি ও হয়নি, ধ্বংস ও হবেনা। শক্তি অনাদিকাল থেকে আছে এবং অনন্তকাল পর্যন্ত থাকবে। আমরা যা দেখছি শুধু শক্তির রূপের পরিবর্তন।
বিগ ব্যাং বলেন, আর বিশ্বে যত পরিবর্তন বলেন, তা সবই শক্তির রূপের পরিবর্তন মাত্র।
মানুষ তাহলে কি?
এই সূত্রঅনুযায়ী মানুষ ও শক্তির একটা রূপ বৈ নয়।
মানুষ আর পাথরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
কিন্তু, শক্তির যে বৈচিত্রময়তার কারনে মানুষ আজ মানুষরূপ ধারণ করেছে তা এমন এক রহস্য যে তা নিয়েই এই আস্তিক-নাস্তিক নানা মত।
মানুষের মনে আজ প্রশ্ন, শক্তির এই কম্বিনেশনটা এভাবে কেন হল।
পাথরকণা শক্তির অন্য এক কম্বিনেশন।
গাছ শক্তির অন্য এক কম্বিনেশন।
অন্য প্রানীকুল শক্তির অন্য কম্বিনেশন।
মানুষ মারা যাওয়া শক্তির কম্বিনেশনের এমন এক পরিবর্তন যার থেকে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসা যায়না।
শক্তির যে কম্বিনেশনের জন্য এই মানুষ তা খুবই অদ্ভুত। সে বাচতে চায়, জানতে চায়, আনন্দ পেতে চায়। তার আছে হাজারো রকমের আবেগ অনুভুতি।
এই কম্বিনেশনটা কাকতালীয় ভাবে হয়ে গেছে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই।( যদি সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকার না করি:-এটা আমার বিশ্বাস নয় যুক্তির জন্য লিখতে হচ্ছে)
এই মানুষ পেয়েছে সবচেয়ে বেশী বুদ্ধি - বিবেচনা-কৌশল।
কিন্তু সেই মানুষ মাঝে মাঝে খুবই অসহায়
সে আজীবন বেচে থাকতে পারেনা।
নিজের মত আরেকটা জীব এমনকি ছোট কীট যা কাকতালীয়ভাবেই হয়ে গেল, তা সে এত বছর গবেষনা করে তৈরী করতে পারলনা। (১০ বছর পরে প্রাণী তৈরী করবে বলে ভবিষ্যত বানী করছে)
[ব্যাপারটা আমার কাছে স্ববিরোধী মনে হচ্ছে। আপনারা হয়ত নবম শ্রেণীতে পড়ে থাকবেন ২ এর বর্গমূল কে ক/খ (ক এবং খ স্বাভাবিক পূর্ন সংখ্যা)এরুপ ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায় কিনা প্রমাণ করতে গিয়ে ধরে নিয়েছিল যে ক ও খ সহমৌলিক অর্থাৎ এদের যেকোন
একটি ২ দ্বারা অবিভাজ্য, কিন্তু পরেদেখা যায় ফলাফল কল্পনা বিরোধী, এবং সিদ্ধান্ত হল ২ কে ক/খ এরূপ দুটি সাধারণ ভগ্নাংশে প্রকাশ করা যায়না)।
[square root (2)=a/b
anyone of a or b is not divisible by 2
squaring, 2=a2/b2
or a2=2Xb2
a2 is 2 times of b2 so, a2 is divisible by 2
so a is divisible by 2
b must not divisible by 2
but b2= a2/2
b2=2(a2/2)2
so b2 is divisible by 2
b is is divisible by 2
it is not as we supposed
so sqrt(2) cannot be=a/b]
অর্থাঃৎ কোন সিদ্ধান্ত প্রমাণের এটা একটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এই যে, প্রমানিতব্য সিদ্ধান্তের বিরোধী একটা কল্পনা নিয়ে আগাতে হবে এবং যদি দেখা যায় ফলাফল কল্পনাবিরোধী তবে সিদ্ধান্তটি প্রমানিত হয়।
আমরা জানি ,কোন গঠন মূলক পরিবর্তনের জন্য একটা পরিকল্পনা লাগে
যেমন, রাইস কুকারে ভাত রাধা হয়ে গেলে এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায় কারণ কেউ ওটার ডিজাইন ওভাবে তৈরী করেছে।
এইরকম পূর্ব পরিকল্পনা হয়নি এমন কোন চুলায় পাচক যদি ভাত বসিয়ে নিশ্চিন্তে থাকে যে ওটা এমনিতে সময়মত বন্ধ হয়ে যাবে তবে তাকে বুদ্ধমান বলা যায়না।
তাহলে এবার আসি শক্তির রূপের পরিবর্তন নিয়ে।
নাস্তিক দের ধারণাটা অনেকটা হিন্দুদের সর্বেশ্বর বাদের মত।
ঐ মত অনুসারে সবকিছুই ইশ্বর।
নাস্তিকদের ধারণা মতে শক্তির এই পরিবর্তন, এই সাজ সজ্জা, এই বৈচিত্রের কারণ শক্তির নিজের বৈশিষ্ট বা গুনাবলী বা ধর্ম।
দেখুন মিলে গেল কিনা।
কিন্তু যে সব ধর্ম এক ইশ্বরে বিশ্বাস(হিন্দুদের মধ্যও একেশ্বরবাদ আছে) করে, তাদের ধারণা অনুসারে মহাবিশ্বকে দুটি শক্তিতে ভাগ করতে হয়।
১. পরিচালক শক্তি
২. পরিচালিত শক্তি।
পরিচালক শক্তি নিছক শক্তি নয়। বুদ্ধি, বিবেচনা, জ্ঞান, আধিপত্যে এক অনন্য শক্তির আধার। পরিচালিত সকল শক্তির ধর্ম ও গুণাগুণের এক অনন্য প্রোগ্রামিং করে ছেড়ে দিয়েছেন যে এগুলো এখন নিয়মমত চলছে। এর মধ্যে মানুষকে আবার করেছেন ব্যতিক্রম। সেই একমাত্র নিজের সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষনা করে।
সেই একমাত্র সৃষ্টির নিয়মের উপর হাত দিতে চায় (চলবে..........)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০২