~~~ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কোরাইশমুন্সীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে মা-মেয়েকে রাতভর গণধর্ষণ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা, বর্বর এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছিল তারা।গণধর্ষণেরশিকার মা অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোরাইশমুন্সী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে স্থানীয় ১০-১৫জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী মা-মেয়েকে গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছিল।পরে মেয়ের জন্য ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ এবং ভিডিও ধারণের এই ঘটনা কাউকে জানিয়ে দেয়াহবে না এমন শর্তে পাঁচটি সাদা স্ট্যাম্পে দুর্বৃত্তরা সই দিতেও বাধ্য করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।এছাড়া মা-মেয়েকে গণধর্ষণের মূল হোতা একাধিক মামলারআসামি মিন্টুকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া এবং তাকে আসামি না করে সাক্ষী করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণধর্ষিতা মা।প্রসঙ্গত, দাগনভূঁইয়ার লতিফপুর গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী-কন্যা কোরাইশমুন্সী বাজারের নারী মেলা (শাড়ী দোকান) ও রোজ বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী ওই মেয়েকে (১৭)উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদীন মামুনের ভাই সাইফুদ্দিন লিটু পার্শ্ববর্তী কামার পুকরিয়া গ্রামের দুলা মিয়ার বাড়িতে তুলে নিয়েযায়।পরে ৯ সেপ্টেম্বর তাকে আনতে তার মাকে (৩৫) ২ লাখ টাকা মুক্তিপণসহ মোবাইল ফোনে সেখানে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে মিন্টুর নেতৃত্বে লিটু ও তার সহযোগী রাসেল, শাহ আলম ও ফারুকসহ ১০/১৫ জন তাদেরকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে।গণধর্ষিতা মা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মী সাইফুদ্দিন লিটু, রাসেল, শাহ আলম ও ফারুকের নাম উল্লেখ করেঅজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে দাগনভূঁইয়া থানায় মামলা দায়ের করে।এ ঘটনায় পুলিশ শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। মিন্টুকে র্যা বগ্রেপ্তার করলে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে, অপহরণ ও গণধর্ষণের মেয়েটি এখনো নিখোঁজ রয়েছে।বর্বর এই গণধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও ঘটনার অন্যতম হোতা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদীন মামুনের ভাই সাইফুদ্দিন লিটুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি আনোয়ারুল আজিম জানান, নির্যাতিতা মায়ের মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি জানান।
*খবরটা গত তিনদিন ধরে অনলাইন পত্রিকাগুলোতে ফলোআপ সহ প্রকাশিত হচ্ছে,হয়তো অনেকেই পড়েছেন তবু শেয়ার না করে পারলামনা.ক্ষমতার দাপটে যারা পশুত্বকেও হার মানাচ্ছে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি