somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হটাৎ দেখা (ক্যাম্পাস ভার্সন)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়ার নীচে হটাৎ দেখা,
জানতাম হবে একদিন।
তবে এখানেই যে, সেটা ভাবিনি কখনোই।

একসময় তাকে অনেক দেখেছি
খোলা চুল আর সাদা রঙের জামায়
কাঠগোলাপের মায়ায় মায়াবিনী।

আজ পড়েছ নীল শাড়ি
খোপায় নিয়েছে বেলীফুলের মালা
হাতে কাচের চুরি
আর সেই উদাস চোখের চাহনি।

মনে হলে গভীর এক একাকিত্ব ছড়িয়ে রেখেছে নিজের চারিদিকে,
যে একাকিত্ব নীড় হারা পাখির চোখে, স্মৃতি হারা পথিকের হৃদয়ে।

থমকে গেল আমার সাড়া দুনিয়া;
বনলতাকে দেখলাম উদ্যানলতার সাজে।

হটাৎ নীরবতা ভেঙ্গে আমাকে ডাকলে কাছে
করলে কুশল বিনিময়।
এত বছরের জমে থাকা বরফ গেল গলে, কথা হলো শুরু_ _ বললাম, "অনেক সুন্দর লাগছে তোমায়।"

সে রইলো আমার চোখের পানে চেয়ে,
সেই চিরচেনা উৎসুক চাহনিতে।
দিলে এক বিদ্রুপাত্মক হাসি,
মুখে কিছুই বললে না।

বুঝিয়ে দিলে দৃষ্টির নীরবতায়_ _
কেন এ-সব কথা
এর থেকে অনেক ভালো না-ই হতো দেখা।

আমি ছিলাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে
ওরই পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে।
একসময়ে মাথা নেড়ে বললে পাশে বসতে।
মনে হলো কম সাহস তো নয়;
তাও বসলাম দুজনে একসাথে।

এত কোলাহলের আড়ালে
বললে মৃদুস্বরে,
"কিছু মনে করোনা,
আর সুযোগ কোথায় সুযোগ নষ্ট করার।
আমাকে ফিরতে হবে একটু পরেই;
হারিয়ে যাবে তুমি,
হয়তো দেখা পাব না আর কোনদিনই।
তাই যে প্রশ্নের উত্তরটা এত দিন ধরে খুজছি,
আজ শুনবো তোমার থেকে।
সত্যি করে বলবে তো?"

আমি বললাম,"বলো।"

রোদের আলোয় চোখ দুটো বন্ধ করেই বললো ,
"নিজেকে সড়িয়ে নিয়েছিলে যে দিন, নিতেই কি হতো?
আর কিছুই কি ছিল না করার?"

কিছুক্ষণ রইলাম চুপ করে;
তারপর বললাম,
"রাতের তারাকে তো নিভে যেতেই হয়,
দিনের আলোর আগমনে।"

খটকা লাগলো, কি জানি মিথা বললাম না তো।

ও বললো, " থাক, বাদ দাও, উঠি আজকে।"
সবাই চলে গেল খানিক বাদেই;
বসে রইলাম একা।



২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×