somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু রামছাগল ও ডিজুস আবাল

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যে কোন জিনিস, তা সে বস্তুগত হোক অথবা অবস্তুগত হোক, কিছু শ্রেণীবিন্যাস ধারণ করে। চিরায়ত এবং বাজারীর মধ্যে পার্থক্য সুষ্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। যা কিছু চিরায়ত, তা চিরায়ত শব্দটির মতই বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করত, দেশ, কাল, পাত্র ছাড়িয়ে সর্বজনবিদিত এবং সর্বজনগৃহীত।

একজন বাজারী ছবির নায়ক, গণতন্ত্রের বলে বলীয়ান হয়ে যখন চিরায়ত শব্দটির অধিকার দখল করতে যান, অথবা তার ভক্তকুল কর্তৃক চিরায়ত বিষয়টি তার উপর আরোপিত হয়, তখন দুই চারটি খিস্তি করাটা দোষের তো নয়ই বরং প্রয়োজনীয়।

বলা কওয়া ছাড়াই নাচাগানার মত অবাস্তব, অতিচিত্রায়িত ও হাস্যকর বিষয়কে ততোধিক হাস্যকর ভাবে চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করাটা বাজারী বৈকি! অভ্যস্ততার ফলে সহ্য হলেও, তা বাজারী এবং তার মূল্যও মুদি দোকানের আটার মত উঠানামা করবে এবং তা নিয়ে দরদামও করা সম্ভব। তাই এইসব বাজারী নাচাগানার ছবির বাজারী নায়ককে নিয়ে কেউ যদি সন্তুষ্ট থাকে, তবে তা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু যদি সে তা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মত পবিত্র জ্ঞানে, ধর্মযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে, তবে তার পশ্চাতে কষে দুটো লাথি মারাটাই নাগরিক ও মানবিক চাহিদা হিসেবে পরিগণিত।













এইসকল রামছাগলদের মধ্যে সিংহভাগকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, ধান গাছ থেকে কাঠ হয় কিনা, তাহলে বেশীরভাগই উড়ামুড়া করে চিন্তা করে উত্তর দেবে, যেহেতু ধানগাছও একটা গাছ, সেহেতু কাঠ হতে পারে। কয়েকজনকে দেখলাম বলছে, বাচ্চারাও নাকি হিন্দি জানে। সেখানে গাজী ইলিয়াসের জন্য হিন্দি না জানাটা বিশাল একটি কবীরা গুনাহ বৈকি! গাজী ইলিয়াসের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটা সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে এই জাতীয় ঘটনা ঘটতেই পারে। যে কোন জায়গায় যে কোন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এবং এর সাম্ভাব্য প্রতিকারের প্রস্তুতি থাকে। এতে হতবিহ্বল হবার কিছু নাই। কিন্তু এই ডিজুস ছাগলরা এতে প্রচন্ড বিচলিত। ভারতের সীমান্তরক্ষী যখন আমাদের বাচ্চাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়, তখন এই মাদারচোদগুলা বিচলিত হয় না। যখন আমাদের লোকজন সীমান্তে নির্বিচারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তখন এই মাঙ্গের বালেরা ফেসবুকে নিচের উল্লেখিত পৃষ্ঠা খোলে না কোন প্রতিবাদ জানিয়ে।

আমাদের বাংলা ছবির নায়কদের সাথে আজকের আলোচিত নায়কের গুনগত পার্থক্য থাকলেও, কোন মৌলিক পার্থক্য নাই। আমাদের নায়করাও নায়িকার সাথে বনে বাদাড়ে যখন নেচে নেচে গান গায় তখন দৃশ্যপটের অন্তরালে সুসংগঠিত বাদ্য বাজনা হয়ে থাকে, যদিও বাদকের কোন উপস্থিতি সেখানে থাকে না। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পরিবর্তে গাজাখুড়ি কল্পচিত্রায়ন (যেখানে অত্যন্ত অবাস্তব নাচ-গান পরিবেশিত হয়) উভয় পক্ষের জন্যই স্বাভাবিক। শুধু আর্থিক অবস্থা, কলাকুশলীদের দক্ষতা এখানে নর্দমার পাশের ছাপড়ার গাজা বিক্রয় কেন্দ্র থেকে, সুসজ্জিত হোটেলের ইয়াবা বিক্রয়ে উন্নতি লাভ করে। তাই এই কাপড় খুলে, আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে ভক্তির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন কেবল মূর্খতারই নামান্তর।




কালিঝুলি মাখা ছবি দিয়ে, কাঁদো কাঁদো মুখে, হৃদয় বিদারক আকুতি তারা বাজারীর কাছে পৌছাতে চান। একজন বাজারী বিচার করবে আমাদের জাতী অথবা জাতির গুণগত বৈশিষ্ট্য। অত্যন্ত হাস্যকর। যে মাদারচোদেরা নিজেরাই বিজায়ীয় গাজাখুড়ি সংস্কৃতির নর্দমায় গড্ডালিকা প্রবাহে নিজেদের বিসর্জন দিয়েছে, তারা করে আমাদের জাতিসত্ত্বার, মানসম্মানের ঠিকেদারী। চোদে না মাঙ্গে, মাল পড়ে ঠ্যাঙ্গে। বাজারীর কাছে আমাদের মানইইজ্জত সমুন্নত রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে এই ডিজুস ছাগলদের কাছে। শুয়োরচোদারা চিনছে এক বাজারী, আর তার প্রেমে এমনই মত্ত যে, পারলে সমকামী হয়ে যেত এবং ব্রজবালা হয়ে শাড়ী পড়ে বাকী জীবন কাটিয়ে দিত।

যে হারে আমরা বাজারীর ভাষায় দক্ষতা দেখালাম, তাতে বাজারী খুব স্বস্তি অনুভব করেছে এবং অনেকটা "নিজের বাড়ী" "নিজের বাড়ী" হিসেবে স্থানবৈপরীত্যের প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকেছে। এর পুরো কৃতিত্ত্ব কিছু রামছাগলের।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪৫
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×