শীতে জমে যাওয়া ব্লগারদের উত্তপ্ত করতে একটু রম্য,কবিতা এবং চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে কথোপকথন
১
লেখাগুলো লিখেই মরুচারী বেদুঈন এর কেমন যেন লাগছে। মরুচারী বেদুঈন সাহসী মানুষ। এই ঠান্ডায়ও তিনি ব্লগে লগ ইন করেন, পড়েন এবং ছাইপাঁশ মন্তব্য করেন। তিনি শুধু দিনে দুপুরে নয় গভীররাতেও নির্ভয়ে অন্যান্য আনসেফ, সেফ এবং এলিট ব্লগারদের ব্লগ ঘুরে বেড়ান। যদিও তিনি এখনো সেফ হতে পারেননি!
অতিপ্রাকৃত গল্পে আকর্ষণ না থাকলেও তিনি ভয় না পাওয়ার জন্য আল্লাহর নাম নিয়ে ধৈর্য সহকারে পড়েন। ভূতের সিরিয়াল বা গল্প পড়ে গায়ে আলাদা কাঁথা চাপানোর কথাও শুনতে পাওয়া যায়।
তবে, ভয় না পেয়ে বিভিন্ন ব্লগে হালকা ক্যাঁচাল বাধান বা বাধানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু তিনি যা লিখেছেন তা বড় সাংঘাতিক। তার নিজেরই ভয় হচ্ছে! (ডরে কাঁপার ইমো হপে)
এভাবে লেখা ঠিক হল কিনা তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
তবে এভাবে লেখা যাবে না এমন কথা নেই।
তাই, ভাবলেন আপাদত থাক, থাক না! পরে না হয় কিছু একটা করা যাবে। তবে একটা কথা মরুচারী বেদুঈন খুব ভালো লেখকতো না এমনকি ভালো পাঠকও না। তবে তিনি অন্যান্য ব্লগারদের মত তার অবস্থান জানাতে ভুল করেন না।
তেনার মাথায় আসেই না যে-'কিছু ব্লগার লগ ইন করেও পোষ্ট পড়ে না কমেন্ট করেনা!'
কারণটা কি?
২
মরুচারী বেদুঈন একটি কবিতা লিখিয়াছেন। তা হল-
জমে যাওয়া ব্লগার
~~~~ মরুচারী বেদুঈন
একবার তাকাই ডান প্যানেলে আবার তাকাই বামে
হায়! হায়! ব্লগারের সংখ্যা বাড়ে আর কমে!
৪৭ জন আছে লাইনে আরো আছে অফে
ওনারা ঠান্ডায় গেছেন মনে হয় জমে!
৪৭ সেকেন্ডে নয় মিনিটেও পড়ে নি কোন কমেন্ট
ওনারা ব্লগার নাকি আস্ত গবেট!
দিনে দিনে ব্লগ আর ব্লগারদের প্রতি বাড়িতেছে আক্ষেপ
আশাকরি সামু কর্তৃপক্ষ নিবেন পদক্ষেপ।
৩
কিছু কিছু বিষয় মাথায় আসতেই মরুচারী বেদুঈনের ভয় হতে লাগল। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হবার মত অবস্থা!
তার লেখা পড়ে ব্লগারেরা যদি ক্ষেপে যায় অথবা অন্যরা কি ভাববে।
এসব যত মনে করছে তত তার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে
মনে মনে নিজেকে বুঝালেন- "কৌশলগত ভুল ধরা পড়েছে, তাড়াতাড়ি টপিক চেইঞ্জ কর!"
৪
আমি(মরুচারী বেদুঈন) ভয়ে ভয়ে চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে দেখা করে বললাম।ভাই,কাজ একটা করে ফেলেছি! ঠিক করেছি কিনা ভুল করেছি ঠিক বুঝতে পারছিনা! ভাই, আমার ভয় করছে আমি পালাই.........!
গাজী ভাই বললেন-' বোস এই খানে বস,পালাবার দরকার নেয় আর ভয় পাবে না কিন্তু!'
--আর বলতে! আপনি যখন বলেছেন!
আমি মেঝেতেই বসতে চেয়েছিলাম; কিন্তু, গাজী ভাই চেয়ারে বসালেন। চা-পানির ব্যাবস্থার সাথে সাথে ভয় না পাওয়ার জন্য আপেল মাহমুদ এর "তীর হারা এই ঢেওয়ের সাগর" গানটা ছেড়ে দিলেন। আর বললেন- কি হয়েছে খুলে বল; ভয় পাচ্ছ কেন?
-- ভাই, একটা আজাইরা পোষ্ট করে ফেলেছি আর শীতে জমে যাওয়া ব্লগারদের বিরুদ্ধে লিখে ফেলেছি।
একটু নড়েচড়ে গাজী ভাই বললেন-'এতে এত ভয়ের কি আছে?'
-- ভয় হবে না? উনারা কত বড় বড় ব্লগার, কত কিছু জানে, ভি আই পি। আমার ব্লগিং বয়স প্রায় ৩ মাস। আর আমি সেফ না। সেফ না হয়েই এতকিছু বলে ফেললাম।
- আরে ভয়ের কিছু নেই,কোন সমস্যা নেই। বলেছ ভালো করেছ। নাও নাও চা নাও। তোমাকে ভালো ভালো পোষ্ট করতে হবে। চেষ্টা করলে পারবে। একসময় আমিও ভালো লিখতে পারতাম না। মনে মনে দুঃখ পেতাম।
গাজী ভাই আরো বললেন- "মনের জোর আন। তোমার শরীরটাকে খাটাও, মাথাটাকে কাজে লাগাও। আল্লাহ ছাড়া কারো পরোয়া করবে না। তাহলে দেখবে একদিন অনেক বড় হয়ে যাবে, বুঝতে পারলে?"
আমি মনে মনে ভাবলাম- ঠান্ডা মাথায় একটু ভেবে দেখতে হবে তাহলে মনে হয় বুঝব। উনি জ্ঞানী মানুষ। ভালো কথায়তো বলবেন।
আর উনিতো রাজনীতি নিয়ে লেখেন। রাজনৈতিক নেতা গোছের কারও সাথে বেশি ঊঠাবসা ভালো না, দেশের যা হালচাল! বিএসএফ এর জন্য বর্ডারেও শান্তি নাই। যাই যাই আজকের মত যাই..............
লেখাটিকে প্রাণ দিতে পরিচিত ব্যক্তিত্বকে চরিত্র হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
কমেন্ট বক্স উন্মুক্ত, কমেন্ট করুন এখনই
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




