খবরে পড়লাম যে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি বলছেন সরকার চায়লে তারা তাদের রিপোর্ট টি গনমাধ্যমে আনতে পারে। আসলে একজাক্টলি কি ছিলো সেই রিপোর্টে তা জানতে দেশের আপামর জনসাধারন অধির আগ্রহী । ব্লগেও দেখলাম অনেকেই চাচ্ছে রিপোর্ট টি প্রকাশ পাক ।
কিন্তু আমার মতে রিপোর্ট টি গণমাধ্যমে আসা ঠিক হবেনা কারণ এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুরোই যাবে। সাথে সাথে আমরা হারাবো বিশ্ব ব্যাংকের মতো একটা দাতা কে। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্য একটা আশির্বাদ যেখানে পাশের দেশ ইন্ডিয়া ই আমাদের বিনা শর্তে কিছু দেয়না।বিশ্ব ব্যাংকের মতো বড় বড় দাতা সংস্থাকে আমরা পাশ কাটিয়ে বেশি দূর যেতে পারবোনা , পারলে প্রথমে কেনই বা আমরা তাদের সাথে চুক্তি করতে গিয়েছিলাম? নিজেদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নিজেরা কেন আগে টাকা জমায়নি?যেখানে ইউরোপের অনেক দেশ এখনো ই ইউ ফান্ড থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে সেখানে বাংলাদেশের কাছে বিশ্ব ব্যাংক অনেক কিছু। আর তাই কোন একটি সরকার বা মন্ত্রনালয়ের জন্য আমাদের বিশ্ব ব্যাংককে হারানো উচিত হবেনা।
আর, কানাডার মতো একটি দেশে দূর্নীতির অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা আর আমাদের পল্টনের কোন রাজনৈতিক সভা বানচালের অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা এক জিনিশ না। তাই এ বেপারে অবুজ শিশু ও বুজতে পারে যে আসলেই কিছু একটা ঘটেছিলো পদ্মা সেতু নিয়ে।
তাই এখন রিপোর্ট টি জনসমক্ষে আসলে আবার বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি কাদা ছুড়া হবে এক দল থেকে, ফলশ্রুতিতে আমরা হারাবো দাতা সংস্থা, পড়বো পিছিয়ে, দেখবো এই খুশিতে খিল খিল করে হাসছে আমাদের দাবিয়ে রাখা পাশের দেশ গুলো । এটা তাদের জন্য মেঘ না চাইতেই জলের মতো।
তাই দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলার প্রতি আহ্বান যা ই করেন দেশের ভবিষৎ হিসাবটাও মাথায় রাখেন। কারন এই পদ্মা সেতুই শেষ সেতু না এরকম আরো অনেক কাজ করা লাগবে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০৫