somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের উন্নতির জন্য সর্বোৎকৃষ্ট ফর্মুলা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্মানিত ব্লগার চাদগাজী কে অনেকদিন ধরেই চিনি, ফারমার নামে প্রথম দিকে ওনার কমেন্টের জন্য আমারব্লগ থেকে ওনাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, মুক্তকন্ঠে উচ্চকিত মতামত প্রদানের জন্য উনি অনেকেরই চক্ষুশূল। তবে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা হবার সুবাদেই উনি ভালমন্দ যাই বলেন, সেটা সবার শ্রদ্ধাভরে শোনা উচিত। ফারমার সাহেবের প্রত্যেকটা পোস্টই আমি পড়ি, মাঝে মাঝে কিছু বলার থাকলে বলি , না থাকলে মৌনতায় সমর্থন জানাই , তবে তার নতুন পোস্ট পড়ে কিছু চিন্তার খোরাক এল, সেটাই এখানে বলছি

ফারমার/চাদগাজী সাহেবের মত এদেশের সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল না, কিণ্তু স্বাধীনতা চেয়েছিল অনেকেই। আজকে সবাই আওয়ামী লীগ করে না, কিণ্তু দেশে সুশাসন চায় অনেকেই। দেশে কুশাসন বজায় থাকলে যাদের সুবিধা হয়, তাদের অনেকেই আজকে নানা দলের হয়ে কেচাল বাড়াচ্ছে, কিণ্তু এদের মধ্যেকার কানেকশনের কিন্তু কোন কমতি নেই। রাজাকারের ছেলে আজ আওয়ামী লীগে বিয়ে করছে, বিএনপির বেয়াই আওয়ামী বেয়াইয়ের বাড়িতে কোরবানীর গরু পাঠাচ্ছে, আর জাতীয় পার্টি বা জামাতের মেম্বাররাও ঘি ভাতের শেয়ার পাচ্ছে।
চাদগাজীর মতো অভাগা কয়েকজন যারা স্বদেশ ছেড়ে চলে গেছেন, তারা দূর থেকে এসব খাওয়া খাওয়ি দেখে দেশের দুঃখে বুক চাপড়াচ্ছেন।

একটু প্যারাডাইম শিফট করি, এইসব দেশ নীতি নেতা ধর্ম নিয়ে যে বিভেদ ঘটছে দেশে, এইসব লোক আপনার বলা কথা শুনবেও বা কেন?
সামনের যে জেনারেশন এসব দলের হাল ধরবে, এদের জন্ম ৭১ এর পরেই। দশ বছর আগে যে শিশুর জন্ম হয়েছে সে শিশু আর আট বছর পরে দেশের ভোটার হবে, এই ভোটারকে স্বাধীনতার গপ্প শুনিয়ে উদ্বুদ্ধ করা যাবে? না কি টাকাপয়সার লোভ দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করা যাবে?? আজকাল আদর্শ বা নীতিবাদের কথা কেউ শুনতে চায় না, সকলেই আছে দেনা পাওনার হিসাবে। সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে দেশটাকে যারা চালাবে, তারা যদি দেশের মানুষকে ঠিকমত লাইফ ও লিবার্টির নিশ্চয়তা দিতে না পেরে মুজিব বা জিয়ার দোহাই দেয়, কোন শালায় সেটাকে মুখ বুজে মেনে নেবে?? দেশবাসীর সবাই তো তাবলীগের লোক না, দেশের জন্য জান দিলে হয়ত শহীদি খেতাব মেলে, দলের জন্য জান দিলে বেহেস্তেরও কোন গ্যারান্টি নাই।

মধ্যবিত্ত মানসিকতার লোকজন কে দিয়ে আর যাই হোক, দেশ ও সমাজকে সহজে পরিবর্তন করা যায় না। বাঙালী মধ্যবিত্ত জীবনের লক্ষ্য একটাই, একটা বিয়া, দুইটা পোলাপান, এক টুকরা জমি বা ফ্ল্যাট, মরার আগে কালচার বা ধর্ম নিয়া হাদুমপাদুম করা। তারপর আজরাইলে আসলে মিরপুর বা যাত্রাবাড়ীর গোরস্তান বা শশ্মানে ঠাই নেওয়া। এই টুকু হাসিল করার জন্য তারা স্কুলে যায়, গোল্ডেন জিপিএ পায়, কলেজে যাইয়া চোথা বানাইয়া কোচিং করে, ইউনিভার্সিটিতে যাইয়া প্রেম পিরীতির ফাকে ফাকে পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলন করে, সবশেষে দুইটা পয়সার জন্য বিসিএস দিয়া সরকারী ঘুষের চাকরী অথবা বিদেশী ফোনের কুম্পানীতে কুলিগীরি করে।

এখন এই অলস জাতিকে সরাতে হলে কি করা উচিত? ব্লগে পোস্ট লিখে বা শাহবাগে মানববন্ধন করে এই সমাজকে চেন্জ করা সম্ভব হবে না। সবাই মিলে গড়বো দেশ, দু:খের দিনের হবে শেষ; দাসত্বের হোক শেষ, ব্উ ফেলে যাবো না বিদেশ; ভোট দিতে না দিলে, পাকাবো কাঁঠাল হাতের কিলে! এই রকম মনোভাবের কিছুই আজকে নেই

জাতি বিশাল এক স্বপ্নে বিভোর ছিল ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে; এই জাতির ছেলেরা যুদ্ধে গিয়েছিল, সেই প্রেরনা আজকে পাবেন না, জাতীয় প্রেরণা গড়ে উঠে যখন জাতির সামনে আশা থাকে, উদ্দীপনা থাকে, স্বপ্ন থাকে! নতুন আশা উদ্দীপনা স্বপ্ন গড়তে আরেকটা লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসুন

দেশের প্রত্যেকটা মেয়ের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত বিনে পয়সায় পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করে দিন, দেশ পাল্টে যাবে

এই জেনারেশনের ছেলেগুলা বিদেশে গিয়ে কামলা খাটুক, অসুবিধা নেই, শ্রমের মর্যাদা শিখবে
দেশের প্রত্যেকটা মেয়ের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক করা হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসবে আর সেসব মাস্টার্স পড়া মায়েরাই শিক্ষিত হয়ে নেক্সট জেনারেশনগুলোকে শিক্ষা দিয়ে উপরে উঠিয়ে দেবে, বাঙালীকে আর আরব দেশে গিয়ে কামলা খাটতে হবে না ওটাই হবে দেশের উন্নতির জন্য সর্বোৎকৃষ্ট ফর্মুল।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৯
১৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×