আমি এখন তেল-পেয়াজ মরিচ সঙ্গে নিয়ে ঘোরাফেরা করি। আমার অফিস ব্যাগ এখন আমার বাজারের ব্যাগ ও বটে! ব্যাপারটায় প্রেস্টিজ সঙ্ক্রান্ত একটু সমস্যা থাকলেও আল্টিমেটলি লাভজনক। আমার নিজস্ব বিচারে আমি সন্তুষ্ট।
আমার দুটা অফিস। একটা আইটি রিলেটেড টুকটাক কাজ। নিজস্ব ম্যানেজমেন্ট। অন্যটা ইন্জিনিয়ারিঙ (ডেভেলপমেন্ট ফার্ম)। দুপুরবেলা আমি অফিসে পরিবর্তন করে চলে আসতেছি। পিওন ছেলেটাকে দিয়ে আগে খাবার কেনাতাম। ভাতটা খাবার যোগ্য হলেও তরকারী পুরই খাবার অনুপযোগী। নিতান্তই অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত না হলে খাওয়া সম্ভব না। একটা মানসম্পন্ন তরকারী সহযোগে ব্যাপারটাকে সহনশীল করতে চাইলে অন্তত ৮০-৯০ টাকার ধাক্কা সামলাতে হবে। আমি একটু কৃপণ স্বভাবের হওয়ায় ধাক্কাটা আমার একটু বেশিই লাগে।
আমি এখন সামান্য ভাত আর মুদির দোকান থেকে দুটা ডিম কিনিয়ে আনি। আর আমার ব্যাগে আছে একটা হাফলিটার সড়িষা তেলের বোতল, বেশ কয়েকটা পিয়াজ , হলুদ ও মরিচের প্যাকেট। আমাদের কিচেনটা ব্যবহার হয়না বলে বেশ ঝকঝকে তকতকে আছে। দুটা পিয়াজ আর মশলাগুলো তেলে গরম করে এক প্লেট পানি দিয়ে তার মধ্যে আমি ডিমদুটা ভেংগে আস্তে করে ছেড়ে দেই। ৫-৬ মিনিট সময়ের মধ্যেই আমার রূচী অনুযায়ী বেশ সুস্বাদু একটা খাবার তৈরী হয়ে যায়। তারপর আমি কিনে আনা ভাতের সাথে প্লেটে রান্না করা ডিম দুটো নিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারি। খাওয়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলি।
পচিশ বা তিরিশ টাকা দিয়ে পাঠালে কখনো দু টাকা বা তখনো ৮-৯ টা ফেরত দেয় ছেলেটা । ওকে দু চার টাকা দিয়ে দেই। ভালোই লাগছে তবে একটা ছোট সমস্যা হয় মাঝে মাঝে। হোটেল অলারা নাকি শুধু ভাত বিক্রি করতে চায়না। ওদের গলাকাটার জায়গাটা হলো তরকারীর দামে। শুধু ভাত বিক্রিতে তাদের "লচ" হয় : /
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




