বৃহস্পতিবার খুলনার খালিশপুরে বিএনএস তিতুমীর ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে পদ্মার কমিশনিং হয়। প্রধানমন্ত্রী জাহাজের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শফিউল আজমের কাছে কমিশন ফরমান তুলে দেন।
এ সময় প্রথাগতভাবে ভেঁপু বাজিয়ে জাহাজের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী জাহাজের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যুদ্ধ-বিগ্রহ নয়, শান্তি চাই। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আত্মরক্ষার ক্ষমতাও আমাদের থাকা দরকার। আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি। তাই সীমিত সম্পদ দিয়ে নৌ বাহিনীকে প্রযুক্তিনির্ভর ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।”
২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনা শিপইয়ার্ডে যে ৫টি যুদ্ধ জাহাজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় তার মধ্যে পদ্মা একটি। ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মার দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার এবং প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার। এটি ঘণ্টায় প্রায় ২৪ নটিক্যাল মাইল বা ৪৪ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে বলে নৌ বাহিনী থেকে জানানো হয়েছে।
পদ্মায় ৩৭ মিলিমিটারের চারটি এবং ২০ মিলিমিটারের দুটি কামান যুক্ত আছে, যা ভূমি ও আকাশ পথে শত্রু বিমানকে প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া নৌপথে শত্রুর অনুপ্রবেশরোধে সমুদ্র ও নদী পথে মাইন স্থাপন করতে পারে এ জাহাজ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




