বিজ্ঞানীরা নাকি বলেছেন, মানুষের সাধ্যে তিনটি মাত্রাই বোঝা সম্ভব। তার বেশি নয়। চতুর্থ মাত্রাটি হতে পারে সময়। যাকে কেন্দ্র করে সময় ভ্রমন বিষয়ক কল্প কাহিনী কম লেখা হয়নি। কিন্তু মানুষেল সাধ্যের সেই তিনটি মাত্রাও দেখার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে আছে তার চোখের কাজের ধরণ। চোখ দুটো; কিন্তু দেখার সময় মস্তিষ্ক করে কি, দু চোখের দুরকম দেখাকেই সমন্বয় করে এক করে তোলে। সিনেমা হলে গিয়ে বড় পর্দায় যখন আমরা ছবি দেখি, পর্দাটাই যদি হয় দু মাত্রার, তাহলে আর উপায় কি তাতে ভিন্ন মাত্রা খোঁজার!
কিন্তু সীমাবদ্ধতা মানুষেরই তো! তার সমস্যা হল কোন সীমাবদ্ধতাতেই সে আটকে থাকে না।
তিন মাত্রা দেখার এবং দেখানোর দুটো পদ্ধতিই সে আয়ত্ত করে নিল। সাধারণ মানুষ সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে পেল, দৈর্ঘ্য-প্রস্থ- গভীরতা- তিনটিই দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছিল তো বেশ কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে জেমস ক্যোমেরন যে ভালবাসার কাহিনী ক্যামেরায় তুললেন তা না দেখলে বোঝানো কঠিন। ইতোমধ্যে সবাই নিশ্চয়ই অ্যাভাটার এর কাহিনী আর অন্যান্য অদ্যোপান্ত খুটিঁনাটি জেনে গেছে। কি করে প্রায় এক যুগ ধরে পরিচালক অপেক্ষা করে ছিলেন প্রযুক্তির সেই অগ্রগতির জন্য যাতে করে তার স্বপ্ন ফুটিয়ে তোলা যাবে।
কাহিনী নিয়ে এক গাদা সমালোচনা তোলা অসম্ভব নয়। পুরনো ধাচেঁর, আগেই অনুমানযোগ্য পরিনতি। কিন্তু সিনেমাটি বোধহয় কাহিনীকে একবারেই প্রধান করে তোলেনি কখনই। বন-পাহাড়-আকাশের আলো আঁধারির যে অপরূপ দৃশ্যায়ন এতে করা হয়েছে; তিন মাত্রার প্রযুক্তি যেভাবে সে দৃশ্যগুলোর ভেতর দর্শকদের হাঁটিয়ে নিয়েছে, সে রীতিমত রোমাঞ্চকর। তবে সিনেমার সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে অন্য একটি বিষয়কে। প্রযুক্তির এত রকম ব্যবহারে মানবিকতা কিন্তু ডুবে যায়নি। শুধৃ কেরামতি দেখে মানুষ কেবল 'উফ' বলে উঠে যেতে পরত। কিন্তু আবেগের ছোঁয়াটা এসে মুখ দিয়ে বের করিয়ে নেয়- 'আহা'।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




