েকাড এর বাংলা কি হতে পাের? সংকেত?
একদম ঠিকঠাক না হলেও কাছাকাছি তো বটেই। যদিও কোড' র সেই রহস্যময়তা এই শব্দে অাসে না, তাতে কিছু যায় অাসে না। অামাদের জীবনটা, পৃথিবীর ঘুরে চলা, গাছের পাতার বাহার- সব কিছুতেই নক্সার অাভাস, সব কিছুতেই কোড। অার ভার্চুয়াল দুনিয়াটা তো হয়ে গেছে ব্যবহারকারীর নাম অার গোপন সংকেতের সমাহার। কখনো কখনো সেসবের নক্সা খঁুজে পাওয়াতেই সাধারণ জ্ঞান অার কখনো নক্সা বেশি বেশি খঁুজে পাওয়ার মধে্য বাতিকগ্রস্ততার লক্ষণ।
চলতি সাল- ২০১২
২+০+১+২ = ৫
অাবার
২০ + ১২ = ৩২ = ৩ +২ = ৫
যে কোন বছরই ধরা হোক না কেন, ফলাফলের ধঁাচটা একই। সব সংখ্যা অালাদা করে যোগ করলে যে সংখ্যা, দুটো দুটো করে যোগ করে এগুলেও সেই একই সংখ্যা। এর কি অাসলেই কোন মানে অাছে? সংখ্যাতত্ববিদরা মনে করেন, অাছে। তার থেকে ডালপালা গজিয়ে সংখ্যার শুভাশুভ পর্যন্ত গিয়ে দঁাড়ায়। নােমর জন্মতারিখ দিয়ে এক জীবনের গতি প্রকৃতি ির্নধারণে লেগে পড়ে অনেকে। সেটা ঠিক কি ভুল, ভিন্ন প্রশ্ন, কিন্তু যেটা লক্ষণীয়- একটা প্যাটর্াণ বের করার চেষ্টা। পরপর কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র নিয়ে ছাত্রদের এবছরের প্রশ্নের ধারণা তৈরির চেষ্টা ঐ প্রবনতার অতি পরিচিত উদাহরণ।
সংজ্ঞা বিচারে কোড হল ভিন্ন চেহারায় তথ্যকে লুকিয়ে রাখা। বিজ্ঞান বলছে সে প্রকৃতির কোড ভেঙ্গে তথ্য বের করছে এবং অার অারো একটু এগিয়ে বিজ্ঞানের চশমা কাজে লাগিয়ে সমাজেরও নানান পেছনে থাকা তথ্যকে সামনে তুলে অানছে। মগজের ভেতরে চলা ৈবদ্যুতিক সংকেত তৈরি করে দিচ্ছে অামাদের চিন্তা অার তাতেই যত গোলমাল। কেবল 'কেন' অার 'কেন'। তো কেন সেই মগজের কোডটাকেই অামরা প্রথমে ধরছি না? যদি ঐ কোডটা ঠিকঠাক ভাঙ্গা যায়, তাতেই জীবন কত সহজ হয়ে যায়!
কোন মন্ত্রীকে একটা হ্যালমেটের মত যন্ত্র পরানো হত। মনিটরে ভেসে উঠত তার সমস্ত চিন্তার প্যাটর্াণ। ফলে অার কোন জেরা জেরি, অার কোন নতুন নাটক দেখার প্রয়োজন হত না। দরকার পড়ত না রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকার পরে দিনের পর দিন একই ভাষায় প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তর্কাতর্কির!
কল্পবিজ্ঞানের অালোচনা থাক।
অামাদের ভেতরকার চিন্তার নক্সাটা ৈবদ্যুতিক, সেই অর্থে যান্ত্রিক। কিন্তু তার প্রকাশটা অর্থবোধক। কারণ হল ভাষা। কিন্তু অাবার ভাষাটাও অাবার কোড, ভিন্ন ধরণের কোড। অামরা এক একটা অনুভূতির একেক রকম নাম দিয়েছি, নিজেদের ৈতরি করা হরফ অার ধ্বণি দিয়ে সেই অনুভূতিকে অারেকজনের কাছে প্রকাশ করছি। বহুদিনের অভ্যাসে এই সব কোড এখন সর্বজনীন। 'অাম' বললে বাংলা অঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় প্রতিটি মানুষের চোখে একই ছবি ভেসে ওঠে।
না, কথাটা পুরোপুরি ঠিক হল না।
অাম বললে ঠাকুরগঁা অঞ্চলের মানুষ হয়ত 'সূর্যাপুরি'র অাকৃতি দেখবে কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ অতটা ছোট মিষ্টি অামের কথা ভাববে না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে একটা নতুন ব্যাপার তখন সামনে চলে অাসে। সর্বজনীন কোন জিনিস সবার চোখে অাবার একই রকম নয়। তাই নীতি, নৈতিকতা, অাইন, সমাজ- এই সবের ধারণাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তু সামাজিক মানুষের এতটা ৈবচিত্র্য পালনের সুযোগ নেই। তাকে কিছু সাধারণ নীতিমালা তৈরি করতে হয়, সেটা অাবার সবাইকে একইভাবে মেনে চলার অঙ্গীকার করতে হয়। অাশ্চর্য হল, সামাজিক পালনীয় রীতিনীতিকে অাবার ইংরেজিতে 'কোড অব কন্ডাক্ট' বলে; অাবার সেই 'েকাড'- তবে এর ব্যবহার ভিন্ন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




