somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন ভালো পুলিস

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা পুলিসকে গণহারে ভিলেন বানিয়ে রেখেছি। এমন কী ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দার ট্রাফিক পুলিসকেও। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে ভিন্ন কথা। আমি কখনও কোন ঠিকানা খুঁজতে গেলে আশেপাশের ট্রাফিক পুলিসের শরণাপন্ন হই। এবং এ পর্যন্ত সবাই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে সহযোগীতা করেছে।

যাই হোক, পুলিস নামটাই যেন একটা আতঙ্ক। হ্যাঁ, বাংলাদেশের পুলিসের বিরুদ্ধে এমন বিষোদগারের অনেক কারণ আছে। তারা মানুষকে হ্যারাজমেন্ট তো করেই। ঘুষ খাওয়া তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আজকে আপনাদের একজন ভালো পুলিসের কথা বলব, যিনি আমাদের বিপত্তি থেকে রক্ষা করেছেন।

সেদিন বাসে করে আসছিলাম। বদ অথবা বেখেয়ালী বাস ড্রাইভার সিগনাল ক্রস করার সময় খেয়াল করে নি যে লাল বাতি জ্বলে ছিলো। কিছুক্ষণ পর পুলিস এসে তাকে থামালো। ট্রাফিক পুলিস না, সার্জেন্ট! সে তাকে খুব ভদ্র ভাষায় ভর্ৎসনা শুরু করলো। আমি তো প্রমাদ গুনলাম। এখন কতক্ষন আটকিয়ে রাখে, আর নিশ্চিত হলাম ঘুষ তো নিবেই! কিন্তু সে এসব কিছুই করল না। ড্রাইভারকে বলল "প্রতিজ্ঞা কর আর কখনও বেখেয়ালে গাড়ি চালাবোনা। যদি চালাই, তবে আমি হার্ট এ্যাটাক করে মারা যাবো"। ড্রাইভার প্রথম অংশটুকু সাচ্ছন্দে বললেও দ্বিতীয় অংশটুকু বলতে একটু ইতস্তত করল। তবে শেষতক বলল। আমরা বাসযাত্রীরা প্রতিজ্ঞাপর্ব শেষ হওয়ার পর বললাম "সাবাশ!",ইন্নালিল্লাহ!" ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দটি ছিলো "আমিন!"।

সার্জেন্ট নেমে গেলেন। আমরাও এরপর কোন বিপত্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছুলাম। অভিনন্দন সেই সার্জেন্টকে, যিনি ইচ্ছা করলেই কাগজপত্র আটকিয়ে রেখে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দিতে পারতেন কিন্তু তা করেন নি। অভিনন্দন তাকে, কারণ তিনি অপরাধীকে সংশোধন হবার সুযোগ দিয়েছেন, এবং যাত্রীদের হেনস্তা হবার হাত থেকে রক্ষা করেছেন।

বাংলাদেশের সব পুলিস এরকম হোক!
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×