সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযান (একটি অন্যপাঠ)
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। আমার স্টকে থাকা একটি গল্পও যোগ করলাম।
সুলতান মাহমুদ যুবরাজ থাকা অবস্থায় এক নারীর প্রেমে মশগুল ছিলেন। রাজকার্যে অবহেলা দেখে পিতা তার চাচতো ভাই কে রাজা বানান। আর সেই নারী মাহমুদ কে ছেড়ে নতুন রাজার প্রেমে পড়েন। বিশ্বাসঘাতকতার এরুপ দেখে সুলতান মাহমুদ চরম নারীবিদ্বেষী হয়ে উঠেন আর ঐ দুজন কে মেরে সিংহাসন দখল করেন।
তিনি প্রায় ১৭ বার সোমনাথ মন্দির লুটপাট করেন। শেষবার দখলের পর রাতে বিশ্রাম করছিলেন। আর এসময় মন্দিরের ঘন্টা বেজে উঠে।বিরক্ত মাহমুদ প্রহরী দিয়ে ঘন্টা বাজানো লোকটিকে ধরে নিয়ে আসলো। এক যুবক পুজারী। লুটপাটের প্রতিবাদে সে ঘন্টা বাজিয়েছে। সুলতান তাকে মেরে গাছের সাথে বেধে রাখলেন অন্য কেউ যেন সাহস না পায়।
রাতে মজমা। সেরা সুন্দরী নর্তকী নেচে গেয়ে সুলতান কে খুশি করলো। সুলতান বললেন " হে নারী তুমি কি উপহার চাও?"
নারী কিছুই চায় না। সুলতান অভয় দিলেন।
মেয়েটি অদ্ভুত একটা আবদার করে বসলো। গাছে বেধে রাখা যুবক পুজারীর মৃতদেহটা তার চাই।
ক্রোধ সংবরন করে সুলতান প্রশ্ন করলেন মনি মুক্তা হীরা জহরত থাকতে ঐ যুবক পুজারী কেন? তাও আবার মৃতদেহ।
মেয়েটি বললো ঐ পুজারী আর সে ছোটবেলায় একসাথে বড় হয়েছে। নাচ গানে সে পারদর্শী হয়ে সে ছেলেটিকে ছেড়ে চলে যায়।
আজ অনেকদিন পর দেখা। মৃত.....তাতে সমস্যা নাই। তাকে কবর দিয়ে ঐ কবরকে সে গান শুনিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে যেতে চায়।
চরম নারীবিদ্বেষী সুলতান মুগ্ধ হলেন এমন প্রেমের নিদর্শন পেয়ে।
পরদিন সুলতান এলাকা ত্যাগ করলেন। কথিত আছে যে এরপর তিনি এদিকে আর পা বাড়ান নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩