somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গেম চার এবং শেষ

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এরপর Click This Link

কেমন জ্বর জ্বর এলোমেলো ময়লা ময়লা লাগছে, সাইবার ক্যাফে খুলে যাবার কথা, যেতে ইচ্ছা করছে না, আলসেমি লাগছে, সাইবার ক্যাফের ছেলেটার আরেক আজব রোগ, সারা রুমে যত জনই যত ইন্টারেস্টিং আর লোভনীয় যা কিছু দেখুক না কেনো- সে আমার স্ক্রিনটার দিকে উঁকি মারার চেষ্টা করেই যাবে সারাটা সময়, বোরিং কিছু খেয়াল করার এত শখ থাকলে সামনের পেপারটা পড়ে না কেনো! এমন নজরদারীর মধ্যে এসব খুঁচা খুঁচির পারপাজ নিয়ে ঢোকা ঠিক না, এমনিতেই নাম ধাম লিখে ঢোকা লাগে, কখন কি থেকে কি হয় কে বলতে পারে, চুলটা আঁচড়ে নিলাম

স্ক্রিনে সব এখনো একই রকম, কিছুই হচ্ছে না, মনে হয় গেম টা পজ হয়ে গেছে, দুজন হাঁটছিলো দরজার সামনে - তাদের একজন পড়ে আছে, বাবু ছেলের জায়গা টা ফাকা, না নড়ে যত টা দেখা যায় তার মধ্যে কিছুই ঘটছে না, কোনো সাঁড়া শব্দ নেই, কোনো সাউন্ডও আসলে নেই, কম্পু বন্ধ করতে ইচ্ছা করছে না, খুলেই রাখতে চাই, সিডির খাপ টা নিয়ে নিলাম, এত সময় ধরে যেটা একটা পিচ্চির হাটা হাটির গেম সেটাতে এমন ভাবে কোনো হিন্ট ছাড়া গোলাগুলি শুরু করা তো বেঈমানি, আরেকটু হলে গুলি পিচ্চি মেয়েটার লাগতো, তখন? এত সময়ের হাটাহাটি আবার শুরু থেকে সব? এটা কোনো কথা হলো? সবচে বড় কথা এমন চোট্টামি স্টাইলে গোলাগুলি শুরু করবে কেনো? বন্দুক শো করুক, হুংকার দিক, দৌড়াদৌড়ি হোক তারপর না হয় কিছু একটা ঘটতে পারে, সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে, ছোট্ট পিচ্চি একটা মেয়ের কাহিনীতে গোলাগুলি আদৌ ঢুকাবে কেনো সেটা তো গেলো অন্য বেসিক প্রশ্ন

রাস্তায় সুন্দর মিষ্টি রোদ, হাটতে আরাম লাগছে, মেঘগুলো এখন একটু পাশে অন্য কোথাও ব্যস্ত আছে, তবে যেকোনো সময় হঠাৎ চলে এসে এলোমেলো করে দিতে পারে, বিষন্ন করে দিতে পারে যত খুশি, সিডির খাপের লেখা তেমন কিছুই নাই, যা লেখা আছে সেটাও গেম যে বানিয়েছে তার নাম বলে মনে হচ্ছে না, কম্পু খুলে রেখে এসেছি, ওভাবেই সব কিছু ফেলে রেখে এসেছি, সমস্ত ঘর জিনিসপত্রে এলোমেলো, কোথাও যেতেও ইচ্ছা করছে না, ফিরতেও ইচ্ছা করছে না কোথাও, ভালো লাগছে না কিছু, এই অদ্ভুত হরফের কোড কিভাবে টাইপ করতে হয় কে জানে, ইংরাজির মত মনে হলেও অমিল আছে, ভালো লাগছে না কিছুই

বাসে করে ঘোরা যায়, কোনো একটা বাসে উঠে বসে পড়া ব্যস, সমস্যা হলো একটা রুট শেষ হলেই হেলপার রা ভয় পেতে শুরু করে, ওদেরকে আশ্বস্ত করতে তখন অন্য বাসে ওঠাটাই ভালো, কিন্তু অত সময় পর বেশির ভাগ দিন আর বেশি ঝামেলা করতে ভালো লাগে না, সমস্ত আরামটা তখন ওদের কে আশ্বস্ত রাখার কাজেই চলে যায়, পুরা গেমটাই একটা বেঈমানি, এমনিতেও কিছু ঘটতেছিলো না, একটু কিছু ঘটার লক্ষন দেখিয়ে হঠাৎ চরম অ্যাকটিভিটি শুরু হয়ে গেলো, সব কিছু ফালতু, সাইবার ক্যাফের দিকে তাকালাম, হাটতে ভালো লাগছে, ঝামেলা ভালো লাগছে না, মাগরিবের একটু আগে রিকশা নিলাম, রিকশাওয়ালা ফাকা পেয়ে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে এমন জোরে চালাতে লাগলো যে মনে হলো উড়ে চাঁদেই চলে যাব, যাওয়ার সময় নিচে হালকা রঙের মেঘ গুলোকে বাই বাই বলবো

রাতের খাবার খেয়ে, বিছানা থেকে সমস্ত সিডি মেঝেতে নামিয়ে, মাউস টা আবার ধরলাম, সব কিছু ওরকমই আছে, গুড়গুড়ি দাড়িয়ে আছে সেভাবেই, কালকে তো ছুটি না, এখন যদি নড়াচড়া করাতে গেমটা আবার শুরু হয়ে যায় তো? বাবু ছেলেটা যে কই গেলো, সবাইই ভয়ে পালিয়েছে, তবু মনে মনে মানুষ জনকেই খুজছি

শেষ
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২০
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×