আমাদের দেশ এখন আর দেশ নাই, এখন কান্ট্রি হয়েগেছে। এটা আর্থিক, শিক্ষা, প্রযুক্তি সর্বক্ষেত্রে অসম্ভব উন্নতি সাধন করেছে। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে। প্রতিবছর পাশের হার বেড়ে চলছে। এবছর জে এস সি, পি এস সি ফলা ফল ও আগের তুলনায় ভালই ছিল। আর এই পাশের হার শুধু মাত্র শহর ভিত্তিক। ঢাকার প্রথম সারির স্কুলগুলো ছাড়াও ২য়, তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল গুলোর পাশের হারই নয় এ + ছিল ৯০% থেকে ৯৭% পর্যন্ত। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্ত হতাশার ব্যাপার হল- আমার এক আত্মীয় গ্রামের এক স্কুল থেকে পি এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল। তার ফলা ফল ইন্টারনেটে দেখতে গিয়ে অবাক হলাম। ঐ মেয়ে এ+ তো পায়নি বরং আমি ইচ্ছা করে পাশা পাশি ৫০ টি নাম্বারে ক্লিক করেও একটাতেও এ+ দেখলাম না। ঢাকা শহর বা অন্যান্য জেলা শহরের পাশের হার বা এ+ দিয়ে কী আমাদের দেশের সার্বিক শিক্ষা উন্নয়নের মূল্যাযন করা হয়? গ্রামের যে সব ছেলে মেয়েরা এ+ পায়নি তারা সবাই কী মেধার দিক থেকে দুর্বল ? মনে হয় না। তবে কেন তাদের ফলা ফল শহরের ছেলে মেয়েদের মত এত ভাল হয় না? উত্তর আসবে শহরের অভিভাবকরাই বেশী সচেতন এবং তুলনা মূলকভাবে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনার অনুকুল পরিবেশ কম পেয়ে থাকে। লেখা পড়ার ধরন, বিশেষ করে সৃজনশীল পদ্ধতি হওয়াতে তাদের সমস্যা হয়। বিশেষ করে ইংরেজী ও অংকে গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা বেশী দুর্বল। ছেলেরা কোনভাবে এ- বা এ গ্রেডে পাস করেও পড়্রাশুনা চালিয়ে যায়। সমস্যা হয় মেয়েদের নিয়ে। গ্রামের কত মেয়ে যে জে এস সি পর্যন্ত গিয়েই ঝরে পড়ছে, তার হিসেব কী আমরা রাখছি।
বেশী প্যাঁচালে না গিয়ে সরাসরি বলতে চাচ্ছি গ্রামের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত মেয়েদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হচ্ছে। তাই আমি ছোট পরিসরে বেছে বেছে ১০টি মেয়েকে নিয়ে শুরু করতে চাচ্ছি। যাদের যথাযথ সুযোগ সুবিধা দিয়ে জে এস জি পর্যন্ত নয় এস এস সি ও নয় অন্ততঃ ইন্টার মিডিযেট পাস করতে পারে তার জন্য সাবির্ক ব্যবস্থা করতে চাই।
দয়াকরে আমাকে আর্থিক সাহায্য নয়, শুধু সঠিক পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করুন!
সাথে সাথে কি কি ধরনের প্রতিবস্ধকতার স্বীকার হতে পারি সে গুলো ও তুলে ধরুন।