দূর্নীতির কষাঘাতে জাতি আজ বাকরুদ্ধ। বাংলাদেশ
সৃষ্টির আদি থেকেই দূর্নীতি তে বাংলাদেশ
বরাবরই চ্যাম্পিয়নদের কাতারে।বলা বাহুল্য,এর নজীর
দেখা গেছে গত ২০০৫ সালে যখন বাংলাদেশ
দূর্নীতি তে ১ম স্থান অধিকার লাভ করেছিল।
বর্তমানে যার অবস্থান দশের কোটায়।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর কথা ধরা হলে
প্রাথমিকভাবে নাম উঠে আসে বাংলাদেশের। কিন্তু
উন্নয়নের ছোঁয়া অব্যাহত থাকলেও দূর্নীতি নামক
সংক্রামক রোগটীর বদৌলতে সব কিছুই ম্লান।
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের দূর্নীতির হিসাব কষলেই
প্রথমেই নাম চলে আসে শিক্ষা ব্যবস্থার।যার পদে
পদে ঘুষ। একটা ফাইল নিচ তলা থেকে উপরতলা
পর্যন্ত পৌছাতে দিতে কতরকম ঘুষ।ঘুষ না দিলে
ফাইল কালের গহব্বরে হারিয়ে যায়। সুশিক্ষা জাতির
মেরুদন্ড।এই মেরুদন্ডকে সঠিক পথে চালনাকারী
শিক্ষাগুরুকে গুনতে ঘুষের মাসুল।শেষ বয়সের
সম্বলটুকু অর্জনে কতশত বাধা পেড়োতে হয় তার
ইয়াত্তা নেই।শিক্ষা মানুষকে বিবেকবান করে।কিন্তু
এই বিবেকবান মানুষেরাই সমাজ ব্যবস্থাকে
দূর্নীতির ছোবলে বিষাক্ত করছেন।
শিক্ষাখাতের দূর্নীতি সকল দূর্নীতি কেও হার
মানায়।উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে- প্রশ্নপত্র
ফাঁস। পূর্বে শোনা যেত ছাত্র/ছাত্রীরা নকল
করতো এবং শিক্ষকরা সাপোর্ট দিত,আর এখন ঘরে
বসেই বিভিন্ন মহল সাপোর্ট গুলো দিচ্ছে।যদি এই
তথ্যের আলোকে লেখালেখির বদৌলতে
বিশেষ কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে সেটাকে
নেহাৎই সাজেশনস্ নামক বস্তুর বেড়াজালে আবদ্ধ
করা হয়। শিক্ষাখাতের দূর্নীতি এত নিচে নেমে
গেছে যে যা বর্তমানে কোমলমতি স্টুডেন্টস্
দের উপর প্রভাব ফেলছে। এখন তারা অভ্যাস্ত
হয়ে গেছে যে,এখন পড়াশুনা না করে এ+অর্জন
সম্ভব। এই যদি দেশের অবস্থা তাহলে একবার
ভেবে দেখে এই শিশুটি যদি আগামী দিনের
সরকার প্রধান হন তবে বাঙালী জাতি আবার একটি
পলাশীর যুদ্ধ দেখতে বাধ্য,এবং ইংরেজের মত
কোন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে জোঁকের মত চুষে
খাবে সারাটাজীবন। তাই আসুন দূর্নীতি রুখতে
অগ্রণী ভূমিকা পালন করি এবং বজ্রকন্ঠে দূর্নীতি
কে "না" বলি। ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৫