টাঙ্গাইলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে বুধবার বিশ্ব শান্তি পরিষদের চেয়ারম্যান দেবনারায়ণ মহেশ্বরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ভুল আছে এই মর্মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত করার অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফাইজুন্নেছার আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন
এডভোকেট মো. আব্দুল করিম মিঞা।
বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২ আগস্ট দৈনিক নয়াদিগন্তসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা যায়, বিশ্ব শান্তি পরিষদের চেয়ারম্যান দেবনারায়ণ মহেশ্বর কোরবানির শুদ্ধতা দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনে হযরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে ইব্রাহিম (আ.) তার অপর পুত্র হযরত ইসহাক (আ.) কে কোরবানির জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন এবং স্বপ্ন পূরণ করার জন্য হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার পুত্র ইসমাইলকে নয় বরং ইসহাককে কাত করে শুইয়ে ছিলেন। সেখানে ব্যবহৃত জন্তুটিও দুম্বা ছিল না। ছিল হৃষ্টপুষ্ট একটি প্রাণী।
তিনি বলেন, আল্লাহর কিতাব হাতে নিয়ে যারা ১৪০০ বছর যাবত লোকদের শিক্ষা দিয়ে এসেছে যে, স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ইব্রাহিমকে (আ.) কোরবানি দিতে ইসমাইল (আ.) কে শুইয়ে দিয়েছিলেন। এটা যারা বিশ্বাস করে না তারা কাফির, জালিম ও ফাসিক।
মামলার বাদী বলেন, সুরা ছফ্ফাত-এর তাফছির থেকে জানা যায়, কোরবানির জন্য ইসমাইল (আ.)-এর নাম ইসহাক (আ.) নয়। পবিত্র কোরআন শরীফের একটি হরফ, জের, যবর, পেশও কোনো ভুল মর্মে প্রমাণ নেই যা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস। আসামি তার রিটে সুস্থ মস্তিকে কোরআনের শুদ্ধতা আবেদন করে কোরআনে ভুল আছে মর্মে রিট করে এবং তা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত দিয়েছে।
বিচারক বাদীর আবেদন গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলায় বাদীর পক্ষে এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদসহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০০