বই পড়ার সময় একটা হাইলাইটার ব্যবহার করি। পড়তে পড়তে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়াল নেই। হাইলাইটারটাও বন্ধ করতে ভুলে গেছি। সেও আমার মতো বিছানায় লেপে হেলান দিয়ে ঘুমিয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখি , আমি ঘুমিয়ে থাকলেও সে কাজ করেছে। লেপের একটা কর্নার এই সুযোগে সবুজ করে দিয়েছে। আগেও একবার এমন কাণ্ড ঘটেছে সেবার ডিকসনারী রঙ্গিন হয়েছিল। এবার লেপ। পরের বার কি হবে বুঝতে পারছিনা।
সুযোগ পেলেই যদি চারদিক থেকে এমন ভাবে আক্রমন করতে থাকে তবে কেমন লাগে। যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে জামাতীরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আজকাল চেটের বাল তুরস্কও ছাগল গুলারে ধর্মীয় নেতা পরিচয় দিয়ে চিঠি পাঠায়। আমাদের দেশে থাকে আর আমরা তাকে চিনি না! তুরস্ক নিজামি,গোআজমরে আমাদের চিনাইতে আসে? মায়ের কাছে মামার বাড়ির গল্প।
আজ একজনের সাথে অনেক বিষয়ে কথা বলতে বলতে। এপেক্স গ্যালারির সামনে এসে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সেই পুরনো প্যাঁচাল। ক্রিকেটে রাজনীতি মেশাবেন না। আমি আর ধৈর্য ধরতে পারিনি। চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করছি। লজ্জা শরম না থাকলেই কেবল এমন কথা বলা যায়। সেই লোকটি আমাকে আবার শান্ত করার জন্য বলছে । আপনি এত ক্ষেপে যাচ্ছেন কেন? আমি বলি শুধু খেপে যাচ্ছি না পারলে আপনার চৌদ্দ গুষ্টিকে গালি দিতাম। কিন্তু চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে কি করে এসব ব্যবহার করবো তাই চুপ আছি। আর আমার মিনমিন গলায় চিৎকার শুনে আশেপাশে অনেক লোক জড়ো হয়েছে। আমি তাকে কোন সুযোগ না দিয়ে বেদম বলে যেতে থাকলাম। সে অবশ্য স্বীকার করেছে যে আসলে বিষয়টা সে জানতে চায়। আর কিছু না। এবং মেনে নিয়েছে এই দেশের কোন মানুষ যদি তার লজ্জা শরম কিছু থেকে থাকে তবে পাকিস্তান সাপোর্ট করতে পারেনা।
আমি তাকে বলি আমি পাকিস্তান লেখা থাকলে কোন সুই পর্যন্ত কিনি না। পাকিস্তানি আপেল,কমলা,আঙ্গুর আমি কখনোই কিনি না। এখানেও হয়তো সুশীলরা বলবে আপেলে তো আর পাকিস্তান মিশে নাই। ফলের সাথে রাজনীতি মিশাবেন না। আমি তাকে বলি পাকিস্তান এমন একটা শব্দ যা উচ্চারন হওয়ার সাথে সাথে আমি মনে মনে বাইনচোদ একটা গালি দেই। যেখানেই হোক যে ভাবেই হোক। অতএব পাকিস্তান নিয়ে কোন রকম সহানুভূতি দেখাতে আসলে পাছায় লাত্থি দিয়ে বিদায় করবো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



