৩ নং দুঃখটা নিয়ে আমি
একদিন কেঁদেছি বেশ কিছুক্ষণ।
একই দুঃখ নিয়ে বেশিক্ষণ কাঁদলে
সময়ের কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হয়
কঠিন দণ্ড দিতে হয়।
এখন আমি সময়-স্বল্পতা রোগে ভুগি
প্রতিনিয়ত।
আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে
জীবন ও সময় —
এই দুশ্চিন্তায় অস্থির থাকি সর্বদা।
এই দুশ্চিন্তায় অন্যকে, এমনকি নিজেকেও
কিছু উদার অলস সময় দিতে
বড়ই কিপ্টেমি আমার।
তাই বিভিন্ন দুঃখ কান্নাসমেত ফিরে এলে
শক্ত চোখ মুখ চোয়ালে তাকিয়ে থাকি অন্য দিকে।
“তোমার সাথে তো লেনদেন শেষ —”
এমন ভাবটা মুখে ধরে।
কেঁদেছি তো বাপু তোমার জন্য,
কর্মহীন বসে থেকে ঢেলেছি কিছু অশ্রু
সময় স্বল্পতার যুগে এর বেশি আশা কোরো না।
দুঃখটা আমার অবমাননা নিয়ে বসে থাকে
চুপচাপ।
বোবার যেমন না বলার কষ্ট,
ঠিক তেমনি একটা উত্তাপ
আমি টের পাই মুখ ফিরিয়ে রেখেও।
চলে যায় — ফিরে যায় —
আমি তা একটুও টের পাই না।
হৃদয় নিংড়ানো দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বলি,
আমি জানি তুমি আবার ফিরে আসবে,
আমাকে ক্ষমা করে দিও।
আমার ধৃষ্টতায় আজ তোমার নাম হয়েছে দুঃখ,
নয়তো হতে পারতো অন্য প্রিয় কোনো নাম।
আমার ক্ষমা চাইতেও লজ্জা বোধ হয়।