কবিতা লিখি না আর
কারণ আমি বহুদিন আর
চোখ বুজি না।
চোখ বুজে পর্যটন করি না আর
বুকের বনভূমি।
সেখানে আজ আর
বনভূমি নেই
পাখিরা মুখরিত করে না আকাশ
ফোটে না কোনো বেগুনী ফুল।
আমার নিতান্ত অবহেলায় ফেলে দেয়া
এক সিগেরেটের টুকরো থেকে
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে
ভস্ম হয়ে গেছে।
তাই আমার পাঁজরে আজ পোড়া গন্ধ--
আমি শার্ট ও পারফিউম দিয়ে
তা ঢেকে রাখি।
অত্যন্ত সতর্কতায় চলাচল করি
জনসমাজে--
একজন পূর্ণাঙ্গ ফিটফাট মানুষের ভং ধরে।
নারীর যোনিতে নাকি মধু আছে
আর স্তনবৃন্তে আছে নাকি গোলাপ!
এই লোভে আমি ডগ স্কোয়াডের কুকুরের মত
তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি
মধু ও গোলাপ।
সময় এবং সূর্যকে ভুলে গিয়ে।
তাই আজ সময়-সূর্য-বিহীন কবিতা
শব্দে বাঁধে না।
উদ্বায়ীর মতো হারিয়ে যায় বাতাসে।
মাথায় চুল ছিল না।
পরচুলা পরতে পরতে ভুলে গেছি
আমার শূন্য মস্তক উদ্যানের কথা।
এসব মিথ্যে অভিজাত
কখনো শব্দে-ছন্দে বাঁধে নি।
বুকের ভেতর একটা নদী ছিল বহমান
কিন্তু আমি একদিন উপহাসচ্ছলে
অধৈর্যশীল ব্যক্তির মত
পেচ্ছাপ করেছিলাম তাতে।
সেই তীব্র অভিমানী নীল নদীটি
আজ শুকনো বালির মেলা।
কিন্তু আমি বন্ধুদের মধ্যে
মিথ্যে নদীর গল্প শুনিয়ে আড্ডা দিয়েছি বহুদিন।
(আমার সব বন্ধুর বুকেই একটি করে নদী ছিল তখন)
কিন্তু আমার সেই মিথ্যে নদী
কবিতায় বয়ে যায় নি।
আমি আমার এই সব--
ভস্মিত বনভূমি কিংবা
শুকিয়ে যাওয়া নদী
সত্য বলে মানতে চাই নি।
তাই কবিতা লিখতে পারি নি।
মিথ্যে বাস্তবতাকে
কবিতা কখনও গ্রাহ্য করে না।