দিন-রাত এবং সুখ-দুঃখ
এসব আলাদা করা অনেক
কঠিন হয়ে যায় আজকাল।
“চিরসখা হে, ছেড়ো না, ছেড়ো না”
বলে চিল্লাতে চিল্লাতে ছেড়ে গেল কয়েকজন।
তপন, সুমন, মাসুদ, সুরেশ.....
এদের কাউকে আবুলের চায়ের দোকানে
আড্ডায় ডাকলে, কেউ আসে, কেউ আসে না
কারো কারো আবার
নতুন স্ত্রীর স্তনের বোঁটা থেকে মুখ তুলে
আসতে আসতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
“.....এর নতুন কবিতাটা পড়েছিস?”
এমন প্রশ্ন করলে উত্তর পাই—
“ইস্ শেয়ার বাজারের কী অবস্থা বল তো!”
হঠাৎ এদের চোখের মাঝে অন্যরকম দৃশ্য দেখি —
কবিতা থেকে অনেক দূরে গিয়ে
উল্টে পড়ে থাকা তেলাপোকার মত
হাত পা ছটফটানির জীবন ওদের।
আমার মায়া হয়!
আজ আমার এমন “collapse” জাতীয়
কবিতা লেখার কথা ছিল না
চারদিকে কবিতার বাগান দেখার কথা ছিল।
কেবলই মনে হয়,
একটা ভুল মানুষের জীবনে চলে এলাম;
না না, ভুল মানুষ নয়, ভুল মানুষ নয়,
এটা অন্য কারো জীবন। অন্য কারো।
অন্য কারো জীবনে ডিউটি করে যাচ্ছি দিনরাত
এই জীবন আমার যাপনের কথা ছিল না,
এই জীবনের স্বপ্ন জীবন দেখায় নি আমাকে।
সমীকরণে হঠাৎ x এর মান বদলে গেল,
তাই দিনরাত এখন নতুন x এর দায় মেনে নিয়ে
এক অন্য মানুষের জীবনে,
অন্য কারো খোলসে.....
তবে কখনো কখনো,
আয়নায় গিয়ে দাঁড়ালে, কিংবা
গোসলের নিবিড় জলধারায়, অথবা
বাতি নিভিয়ে ঘুমুতে গেলে,
একা অন্ধকারে
অন্য এক অনুভূতি হয় —
সেই! সেই! সেই জীবনটা না?
হ্যাঁ! সেই আমার নিজের জীবনটা!
হ্যাঁ হ্যাঁ তাই তো!.....
হারিয়ে যায় কোথায়!
চোখে জল আসে কিনা সেটা মুখ্য নয়।
তখন আর চোখের পলক পড়ে না।
সবকিছুর প্রতি খুব অভিমান হয়।
সেই সমীকরণটির প্রতি সবচেয়ে বেশি,
যাকে আমরা বিধাতা বলি কেউ কেউ
যে x এর মান নিয়ে “আনমনে খেলিছে”।