অন্ধ তেলাপোকা
একটা জলপরী, আপন মনে গান গাইতে গাইতে পৃথিবীর কোথাও, এক নির্জন ঝর্ণার পানিতে নগ্ন হয়ে গোসল করছিল।
কিন্তু বেশ অনেক্ষণ ধরে তাকে আড়াল করে ঘিরে রয়েছে একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি। কিন্তু কিছুই তার চোখে পড়ে না। আবার সে গান করে। কিন্তু গানে মন বসে না। হঠাৎ তার চোখে পড়ে পাথরের ওপর এক তেলাপোকা। জলপরী গান থামিয়ে দেয়। শরীরের আস্তরণ জড়িয়ে তার কাছে গিয়ে দেখে তেলাপোকাটা বিমর্ষভাবে বসে আছে। তখন তাকে থমকে দিয়ে তেলাপোকা জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি গান থামিয়ে দিলেন কেন?’
জলপরীর খুব রাগ হয়। কিন্তু সে কিছু বলার আগে তেলাপোকা আবার এদিক সেদিক তাকিয়ে বলে, ‘আপনি কথা বলছেন না কেন? কোথায় থাকেন আপনি?’
ভীষণ রেগে জলপরী খেয়াল করে তেলাপোকাটা কথা বলার সময় বেশ এদিক সেদিক মাথা নাড়ানাড়ি করছে। সে তেলাপোকার একদম সামনে এসে দাঁড়িয়ে খুব কড়া গলায় বলে, ‘তুমি এদিক সেদিক তাকিয়ে কথা বলছ কেন? আমি তো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে।’
লজ্জায় তেলাপোকা মাথা নিচু করে।
‘কিছু মনে করবেন না। আমি অন্ধ। দেখতে পাই না। তাই ঠিক বুঝতে পারি নি আপনি কোথায়।’
জলপরী হঠাৎ অপ্রস্তুত হয়। একটু আগেও তার যে রাগ ছিল তা যেন ধুয়ে মুছে গেছে। তেলাপোকাটার জন্য মায়া অনুভব করে।
‘দুঃখ পেয়ো না। আসলে আমি বুঝতে পারি নি তুমি অন্ধ।’
তেলাপোকা বলে, ‘সে বড় ইতিহাস। আপনি শুনবেন? আপনার সময় হবে? এখানে সবাই খুব ব্যস্ত। কেউ কারো কথা শুনতে চায় না’
জলপরী একট পানির পাথরের ওপর বসে বলে, ‘তুমি বলো তোমার গল্প, আমি শুনব।’
তেলাপোকা তখন বলতে শুরু করে —
২
খুব ছোটবেলায় আমার বাবা মারা যায়।
মার হাতে আমি বড় হই। কিন্তু মা-র খুব দুঃখ তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে। গোড়া থেকে আমি পড়াশোনায় বেশ ভালো। কিন্তু একটু হাবাগোবা। সবাই আমাকে আলাদা আলাদা করে রাখে। কোন খেলায় ডাকে না। এমনকি পিকনিকেও তারা আমাকে যেতে দিত না। বিদ্যার্জন ছাড়া পৃথিবীতে আরো কত জটিলতা-কুটিলতা আছে — কিছু আমার মাথায় ঢুকতো না। আর সেই ছোটবেলা থেকেই আমার মোটা চশমা। সবাই আমাকে ডাকে ‘ভ্যাবলা’। আমাকে নিয়ে তাদের রসিকতা ছিল অফুরন্ত। আমি ছিলাম সবার অপছন্দের পাত্র। লাইব্রেরীর কোণায় যাতে কেউ দেখতে না পায়, সেখানে বসে খালি বই পড়তাম। আবার একমাত্র বন্ধু ছিল বই, বই আর বই।
আস্তে আস্তে আমি বড় হতে থাকি। সব সময় ক্লাসে সর্বোচ্চ নম্বর পেতাম। আর আমার সহপাঠী বন্ধুদের ঠাট্টা-রসিকতাও বাড়তে থাকে। নিজেকে আমি বইয়ের সাথে সেলাই করে দিলাম। বই আর আমি, এই আমার জগৎ। প্রচুর পড়াশুনা করতাম। এরপর স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়। সবখানে আমার সর্বোচ্চ নম্বর। তবু আমার কোন বন্ধু বা বান্ধবী ছিল না। বছর বছর শুধু নাম পরিবর্তিত হয়। যেমন- ভ্যাবলা, ছ্যাবলা, হাবলা, বিদ্যাসাগর। ইত্যাদি। এভাবে চলতে থাকে বইয়ের সাথে আমার একা একা জীবন আর বাড়তে থাকে চশমার পাওয়ার।
পি এইচ ডি ফাইনাল পেপার তৈরি করে আগের রাতে ঘুমুতে গেলাম। ঘুমুতে যাবার সময় আমার খুব টেনশান হচ্ছিল। তবু সে রাতে আমার বেশ ভাল ঘুম হয়। তারপর এক সময় আমার ঘুম ভাঙল। কিন্তু চারদিকে অন্ধকার দেখে আমি ভাবলাম, হয়তো সকাল হয় নি, মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেছে। আমি আবার চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলাম।
ঠিক তার কিছুক্ষণ পরে মা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে বলল, ‘কি রে পেপার জমা দিতে যাবি না? শুয়ে আছিস কেন?’
আমি বললাম, ‘মা এত রাতে কোথায় পেপার জমা দিতে যাব? পেপার জমা তো সকাল দশটায়’
মা বলল, ‘ঘুম থেকে ওঠ বাবা। এখনই তো সকাল দশটা বাজে। আর তুই বলছিস এত রাত?’
আমি আবারো চোখ খুললাম। তবু সব অন্ধকার। হাত বাড়িয়ে চশমা নিয়ে চোখে পড়ে মাকে বললাম, ‘চারদিক এত অন্ধকার কেন? ঘরে বাতি জ্বালোনি? কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না।’
মা বললেন, ‘বাইরে সকালের এত ঝলমলে আল। ঘরে আবার বাতি জ্বালাবো কেন?’ হঠাৎ করে ভয় পেয়ে গেল মা, ‘তুই এমন করছিস কেন? কি হয়েছে?’
আমি বলি, ‘মা আমি দেখতে পাচ্ছি না। কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সব অন্ধকার।’
আমার আর কোনদিন পেপার জমা দেয়া হয় নি। মা আমাকে নিয়ে গেল ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বললেন, চোখের ওপর অতিরিক্ত প্রেসার পড়াতে আমি আর কোনদিন কিছু দেখতে পাব না। আমার পৃথিবী অন্ধকারে ডুবে গেল। তার কয়েক মাস পর দুঃখ করতে করতে মা-ও আমাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন।
একা অন্ধকার পৃথিবী আমার শূন্য হয়ে গেল।
৩
সারাদিন বাসায় বই হাতে একা হসে থাকতাম। পড়তে পারি না, তাতে কি? কেউ তো সাথে আছে। আমার অবস্থা দেখে পাড়া প্রতিবেশিরা একদিন আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিল। বিয়ের সময় প্রায় সবাই বলল, ‘খুব সুন্দর একটা বউ পেলি। ভাগ্যটা একদম খুলে গেল। এখন একা একা আর থাকতে হবে না। সুন্দরী বউয়ের সাথে আরো সুন্দর কেটে যাবে সময়।’
সবাই বউয়ের খুব প্রশংসা করে। বিয়ের রাতে ওর সাথে প্রথম কথা হয়। স্বাভাবিকভাবেই আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। কি বলব ঠিক বুঝতে পারি নি। এক সময়ে আমি ওর হাত ধরে বললাম, ‘সবাই বলছে তুমি খুব সুন্দরী। আর আমার ভাগ্যটা কেমন দেখ? আমি তো চোখেই দেখি না।’
বউ বলল, ‘তুমি তোমার মনের চোখ দিয়ে আমাকে দেখবে।’
আমি বললাম, ‘সবাই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে ভালোবাসে।’
বউ বলল, ‘সবাই বাইরের সৌন্দর্য ভালোবাসে। কেউ ভেতরেরটা দেখে না। ভিতরের সৌন্দর্য দেখতে হলে মন থাকতে হয়। বাইরের সৌন্দর্যের মত বাইরের ভালোবাসাও মূল্যহীন। তুমি তোমার মনের চোখ দিয়ে আমাকে দেখে ভালোবাসবে।’
আমি বললাম, ‘তোমার খুব কষ্ট হবে আমার মত এক অন্ধ স্বামীর সাথে জীবন কাটাতে।’
বউ বলল, ‘আমিও তোমাকে আমার মনের চোখ দিয়ে দেখব। ভালোবাসব। তাতে আমার কোন কষ্টই হবে না। একটা জীবন কাটাতে চোখের দৃষ্টির চেয়ে মনের দৃষ্টি অনেক বেশি প্রয়োজন। ঠিক যেমন, চোখের ভালোবাসার চেয়ে মনের ভালোবাসার।’
আমাদের দু’জনার বলতে গেলে, ছোট্ট এক জোড়া টোনাটুনির সংসার। বউ আমাকে সব ব্যাপারে উৎসাহ দেয়। আমার পড়া বইয়ের গল্প শোনে। টাকা পয়সা আয় রোজগারের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়।
বউ যখন কথা বলে আমি মুগ্ধ হয়ে শুনি। আমার অন্ধকার পৃথিবী তখন আলোতে ঝলমল করে। ওরই পরামর্শে আমি এখন চাকরি করছি। আর সেখানে আমার তেমন কোন কষ্টই করা লাগে না। আগে যেসব বই পড়েছি, সেসব বইয়ের কথা বলাই আমার চাকরি।
এখন প্রায় প্রতিদিন প্রতিবেশীরা আমাদের সাথে দেখা করার জন্য বাসায় আসে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সহপাঠী বন্ধুরাও আসে। সবার মুখে শুধু আমার বউয়ের প্রশংসা। ‘তোর বউ যেমন সুন্দরী তেমন রান্নাও কত সুন্দর পারে। এই লোভেই তো আমরা রোজ রোজ আসি।’
আমাদের ভিতর কোন ঝগড়া হয় না। বউ খুব বুদ্ধিমতি মেয়ে। সব ঠিকঠাক গুছিয়ে রাখে। সুন্দর সুন্দর কথা বলে। ঝগড়ার সুযোগই তৈরী হয় না। আমাদের বেশ ভালো সময় কাটে। কিন্তু...
৪
তেলাপোকাটা একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে থামে। আর কোন কথা বলে না। পানির পাথরের ওপর বসা জলপরী এতক্ষন ওবাক হয়ে শুনছিল। হঠাৎ তেলাপোকা কথা বলা থামিয়ে দিলে সে খুব উদ্বিগ্ন বোধ করে। জিজ্ঞেস করে, ‘কিন্তু কী?’
তেলাপোকা বলে, ‘কিন্তু আমার বেশ কয়েকদিন ধরে মনটা খারাপ। আমার বউকে দেখার খুব ইচ্ছা। সবাই এতো প্রশংসা করে। যদিও আমি আমার মনের চোখ দিয়ে তাকে দেখি। তবু,একটু চোখে দেখার ইচ্ছা হয়। একবার যদি বউকে দু’চোখ ভরে দেখতে পারতাম।’
তেলাপোকা আবার দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে। আর কিছু বলার নেই তার। প্রতিদিন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই নির্জন ঝর্ণার কাছে আসে। পাথরের ওপর কিছুক্ষণ মন খারাপ করে বসে থাকে। তারপর আবার মনটাকে শক্ত বাড়ি ফিরে যায়। তার বউ তার মনের ভালোবাসা দিয়ে সব কষ্ট দূর করে দিয়েছে। তবু এই একটা কষ্ট শুধু শেষ হিসেবে টিকে আছে। বউকে সে বলে না কষ্টটার কথা। বউ আবার শুনে যদি কষ্ট পায়, এই ভেবে।
জলপরীর ভীষণ মায়া হয় তেলাপোকার জন্য। সে কিছুক্ষণ কিছু একটা ভাবে। তারপর বলে, ‘শোনো, আমি একটা জলপরী। সব জলপরীর একটা করে বর দেবার সুযোগ আছে। আমি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছি। চিন্তা করছি বরটা কাকে দেব। আজ আমি তোমাকে সেই বরটা দিতে চাই। তুমি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে। তুমি আবারো দেখবে। তখন তুমি তোমার বউকে দু’চোখ ভরে দেখো।’
তেলাপোকা অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। সে দেখে অপূর্ব সুন্দর এক জলপরী তার সামনে পানির পাথরের ওপর বসে আছে। তার বিশ্বাস হয় না — সত্যি সত্যি সে দেখতে পাচ্ছে! দু’চোখ পানিতে ভরে ওঠে তেলাপোকার। সে খুবই অস্থির বোধ করে। জলপরীকে ধন্যবাদ জানাবার কথাটাও তার মনে থাকে না। তখন তখনই সে বাড়ির দিকে ছোটে।
উত্তেজনায় তার বুক ধড়ফড় করে ওঠে। সে কি বলবে বউকে? বউ নিশ্চয় ভীষণ খুশি হবে। আনন্দে দিশেহারা তেলাপোকা আর ভাবতে পারে না। চারপাশ দু’চোখ ভরে দেখতে দেখতে আর দু’চোখ ভরা পানি ফেলতে ফেলতে, সে বাড়ির দিকে ছোটে।
৫
তেলাপোকা বাড়িতে ঢুকে তার বউকে খোঁজে। অনেক কথা বলতে চায় সে। তার আগে দু’চোখ বউকে দেখবে। ছোট্ট বাড়ির ভিতর নিঃশব্দে সে বউকে খুঁজতে থাকে। হঠাৎ তার চোখে পড়ে, বাড়ির উঠানে আরো একটা কুৎসিত তেলাপোকা।
সে এদিক সেদিক তাকায়। বউকে খোঁজে। বাড়ির ভিতরে যায় আবার বাইরে আসে। কিন্তু কোথাও সে বউ খুঁজে পায় না। উত্তেজনায় ক্লান্ত হয়ে নিজেদের ঘরের বিছানায় গিয়ে বসে। এবার আর নিঃশব্দে থাকা নয়। জোরে জোরে সে বউকে ডাকতে থাকে। তখন বউ অন্য ঘর থেকে বলে, ‘তুমি কখন এলে? এত দেরি হল যে আজ?’
কথা বলতে বলতে বউ ঘরে ঢোকে। হতবাক, স্তব্ধ হয়ে তেলাপোকাটা ভাবে, ‘এ কিভাবে সম্ভব’ কোথাও নিশ্চয়ই একটা বিরাট ভুল আছে। তার মুখে কোন কথা ফোটে না। উঠানের সেই কুৎসিত তেলাপোকাটা তার ঘরের ভিতর ঘোরাঘুরি করছে। তার সাথে কথা বলছে। ‘কিভাবে সম্ভব’ — ভাবতে ভাবতে সে লক্ষ করে বউয়ের চলাফেরা কেমন যেন অসংলগ্ন। দু’বার টেবিলের সাহতে ধাক্কা খায়। তার কাছে আসার সময় অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। এক সময় তেলাপোকাটা বুঝতে পারে, তার বউও অন্ধ।
কিন্তু সে কী করবে বুঝতে পারে না। এই ঘটনার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। কী নিষ্ঠুর এই বাস্তবতা! কখন যে তার বউ পাশে এসে বসেছে তার খেয়াল হয় না। বউ তার মুখের ঘাম মুছে দেয়। হঠাৎ তার চোখ পড়ে তার বউয়ের হাতের ওপর। সে চোখ বন্ধ করে ফেলে।
তেলাপোকা বউয়ের স্পর্শ অনুভব করে। কি গভীর ভালোবাসার স্পর্শ! সে চোখ খোলে। কিন্তু আবার সেই প্রতারণা। তেলাপোকা কোন কথা বলে না। বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। সে বুঝতে পারে তাকে অন্ধ পেয়ে সবাই তার সাথে প্রতারণা করেছে। সবার মুখের ছিল একই মিথ্যাভাষণ, ‘তোর বউ কত সুন্দরী, কত সুন্দরী।’ কিন্তু কী দেখছে সে আজ! সে আবার চোখ বন্ধ করে।
বউ তার পাশে এসে কাঁধের হাত রেখে দাঁড়ায়। বন্ধ চোখে তেলাপোকা আবার তার বউয়ের ছোয়া অনুভব করে। বউ জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি আসার পর থেকে কোন কথা বলছ না কেন? কিছু হয়েছে নাকি কোথাও?’
তেলাপোকা বউয়ের দিকে তাকায়। আবার চোখ বন্ধ করে। এই কুৎসিত অন্ধ তেলাপোকা তার বউ। কিন্তু যার গলা তার কানে ঢোকামাত্র এই অন্ধকার পৃথিবী আবার আলোয় ভরে ওঠে। কত যে মায়া, কত ভালোবাসা তার বউয়ের ভিতর তার জন্য — সে টের পায়।
বিয়ের রাতের কথাগুলো বারবার শুধু মনে পড়ে তেলাপোকার। তার বউ বলেছিল, ‘সবাই শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে ভালোবাসে। তুমি মনের চোখ দিয়ে আমাকে ভালোবাসবে।’
বউ আবার জিজ্ঞেস করে, ‘তোমার মন খারাপ? তুমি কথা বলছ না কেন? আমি কি চলে যাব? তুমি কি কিছুক্ষণ একা থাকতে চাও?’
অনেক্ষণ পর তেলাপোকা কথা বলে, ‘বউ, আসলে আজ আমি বুঝতে পারলাম মনের ভালোবাসা কি জিনিস! তার গভীরতা কত অসীম।’
তারা দু’জন হাত ধরাধরি করে বারান্দায় বসে থাকে। কেউ কোন কথা বলে না। তেলাপোকা তার বউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে, একটা কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে — নিজের চোখ দুটো আবার নষ্ট করে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৯