somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

The Tree of Life- এই মুভিটি সকলের দেখা উচিত। এমন মুভি ১০ বছরে একটা হয়।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই মুভি সকলের, যারাই বাস করে পরিবারে, মেনে চলে সমাজ ও নিয়ম। এই মুভি তাদের যারা নিয়মের বিপরীতে স্বাধিনতার গান গায়। এই মুভি সকলের আবার সকলের।
এই মুভি বিশেষ করে তাদের জন্য যারা মনে করেন মুভি মানে আর্ট, মুভি মানে প্রতিচ্ছবি, মুভি মানে শিক্ষা, মুভি দিয়ে জীবন গড়া সম্ভব।
এই মুভি তাদের জন্য যারা মনে করেন মুভি মানে ফালতু টাইমপাস। আকাম এবং সময়ের সবথেকে বড় অপচয়। এবার ধারনা পালটান ।



জীবন্ত বৃক্ষ। এরা ১০ মিটার লম্বা হয় এবং অনেকদিন বেচে থাকে। একটা পরিস্কার জীবনতন্তের মাধ্যমে এরা বেচে থাকে। সুনিদৃষ্ট নিয়মাবলিতে এই উদ্ভিদ উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেড়িয়ে এরা এদের অহংকার ধরে রাখে এদের বয়সে এবং বেচে থাকার নিশ্বাসে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Guaiacum officinale ।

আর এই গাছের নাম আর মুভির নাম একই। গাছের ক্যারেক্টর থেকেই বুঝতে পারছেন মুভিটি কেমন হতে পারে।



জীবনে অনেক মুভি দেখেছি এমন সুন্দর আর্টের মুভি আমি আর দেখিনি। আমার জীবনে দেখা সেরা মুভির একটি।

মুভিটি রিলিজ করেছে কিছুদিন আগে।
Director: Terrence Malick
Writer : Terrence Malick
Stars : Brad Pitt , Sean Penn and Jessica Chastain

মুভিটির জেনার ড্রামা। তাই কাহিনিতে বেশি যাওয়া যাবেনা। ড্রামা মানেই মজা। মজা নষ্ট করার অধিকার আমার নেই। যাই হোক মুভিটি নিয়ে কিছু কথা বলার ইচ্ছা আছে। আর সেটুকু বলতে যতটুকু কাহিনি জানার প্রয়োজন ততটুকুই বলছি।

টেক্সাসের একটা সাধারন পরিবারের কাহিনি । সময় ১৯৫০ এর । কর্তা Mr. O'Brien (ব্রাড পিট ) কিছুটা নিয়মতান্ত্রিক। নিয়ম যেমন মেনে চলেন তেমন মানাতে পছন্দ করেন। কাহিনি সেজেছে তার বড় সন্তানকে নিয়ে। জ্যাক । যার সাথে ছোট বেলা থেকেই তার বাবার একটা তাড়কাটা দুরত্ব। আর এই দূরত্বের সীমাহিন সঙ্গা নিয়েন জীবন বৃক্ষ।



আচ্ছা মনে করেনতো শেষ কবে আপনার সাথে আপনার বাবার ঝগড়া লেগেছে। প্রচন্ড রাগের মাথায় রক্ত যখন ফুটছে তখন চোখ ফেটে জল ঝড়ছে আপনার। শেষ কবে মাকে বলেছেন যে " বাবা ভালো না "

শেষ কবে ঈশ্বরকে বলেছেন, " God Let Him Die "

Help each other. Love everyone. Every leaf. Every ray of light. Forgive.

আপনার বন্ধু আপনার বাসায় এসে অপমান হয়েছে আপনার বাবার কাছে। কিছু অতিরিক্ত নিয়মে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনার উপর। কিছুটা পার্থিব কিছুটা অপার্থিব সপ্ন যা আপনার বাবা দেখেছিলেন পুরন করতে না পারায় আজ আপনাকে দেখতে হচ্ছে সেই সপ্ন পুনরায়।

I wanted to be loved cause I was great, a Big Man. Now I'm nothing. Look. The glory around... trees, birds... I dishonored it all and didn't notice the glory. A foolish man.

আর এই সব গল্পের সমগ্র হলো এই মুভি।

কাহিনিটা ভাবা হয়েছে একটা দিক থেকে। সেই দিকের আবার তিনটা শ্রেনীবিন্যাস হয়েছে। পরিনত বয়স্ক জ্যাকের চোখে দর্শন শুনবেন আপনি। কখনো বাবা কখনো মা আবার কখনো ছোটবেলার জ্যাকের কিছু পরিনত ভাস্য আপনাকে ভাসাবে একটা বাতাসে।
সবাই সবার স্থান থেকে একটা পরিনত লজিক টানবে। কারটা ছেড়ে কারো পক্ষ আপনি নিতে পারবেন না । আবার এক পক্ষ নিলেই ঠকবেন।

জীবনের প্রতিটি স্থানেই মানুষ্কে একবার থমকাতে হয়। কারো হয় খুব তাড়াতাড়ি। কারো হয় শেষমেষ। আর এসব পেড়িয়ে বেচে থাকার নাম জীবন। পরিস্কার জীবন। বাবার শাসন যেমন দূরে ঠেলতে পারে, সেরকম সহস্র আদর দিয়েও কাছে টানা যায় না। শত আদরেও মন ভোলে না। ছোট মন পারেনা লজিক মানতে। পারেনা ছিদ্র করতে কৃত্তিম বিভেদ।



যাই হোক বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছে ব্রাড পিট। অস্কার ৭০ % গারান্টি তার ঘরে। মনে প্রানে তাই চাচ্ছি। এমন অভিনয় হয়তো আর কেউ পারতোনা।



আর ওই বাচ্চা ছেলেটার কথা আর কি বলবো। কি তার ভঙ্গি কি তার চলন। কতটা প্রাঞ্জল আর কথা বলা।



পরিচালক Terrence Malick অস্কার ঘরে তোলার কায়দা করে রেখেছেন এটাতে। জীবনে এত অদ্ভুত ব্যাখ্যা হয়তো কেউ ভাবেও নি। কেউ ভাবেনি তার মতন। কত সুন্দর করে সাজিয়েছেন কাহিনি। ঈশ্বর,গাছ,জীবন তার বেচে থাকার এক অদ্ভুত সংমিশ্রনে গড়ে তুলেছেন তিনি আপন সঙ্গায়।
মুভির ক্লাইমাক্স ছিল ভাবার মত। মুভির সাউন্ড ইফেক্ত আপনাকে এতোটা চমকের ভিতরে রাখবে অনিচ্ছায় আপনি ঢুকে যাবেন গভীরে। আরো গভীরে।
এডেটিং এর প্রশংসা করতে আপনি বাধ্য।

আচ্ছা গাছে চড়েছেন কখনো ? কোনো পাতলা ডালে চড়েছেন যেখানে হালকা দোলা থাকবে। হ্যা গাছে চড়া অবস্থায় সবকিছুর রিফেলেকশন যেমন হয় সেরকম করেই ভিডিও ধারন করা হয়েছে। হালকা দুলিয়ে দুলিয়ে।

মৃত্যু । সর্বক্ষনের এই বন্ধুর কত সুন্দর ব্যখ্যা হতে পারে।
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের শত্রু শত্রু খেলায় মানূষ ভুলে যায় প্রিয় মৃত মানুষটিকে।
আসলে কে ই বা বিশ্বাস করে যে তার প্রিয় মানুষটি আর নেই। নিজের মত করে ভাবনা বুলে অলস জীবন যাপন।

এ গ্রেডের মুভি ১০ এ ১০ ।সকলে দেখার আমন্ত্রন থাকলো।

মিডিয়াফায়ারে মুবির ব্লুরে ৮৫০ মেগাবাইটের ডাউনলোড লিঙ্কঃ


মুভি নিয়ে আমার যত পোষ্ট- আপডেটিত

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:০৫
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×