somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশাল- ১০ টি মাষ্ট সি রোমান্টিক মুভি রিভিউ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

1) Dont Go Breaking My Heart
আমার দেখা সেরা মুভিগুলোর একটা। এবং অবশ্যি সেরা রোমান্টিক মুভি। এই মুভি বা এর গল্প এমন একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করে যা আমরা সচরাচর দেখতে পাই। তাহলো,সুন্দরী,প্রেয়সী,আদরের,মুগ্ধকর, প্রানের মানুষটার একান্ত ভেতরকার একটা অপরিচিত দ্বন্দ। ত্রিভুজ প্রেম। একজন সাদাসিধে,সৃজনশীল। ধ্যান জ্ঞান তার বোধ হয় নেই। আরেকজন যেমন দেখতে, তেমন তার ক্যারিয়ান,তেমন পারসোনালিটি। ঝামেলাতো এখানেই। যা হয়। ওই সুদর্শনের প্রেমে না পরে মেয়ের উপায় আছে কোন। নেই । যা হবার তাই হলো। কিন্তু নিয়তি। মানলো না। ভেঙ্গে দিল। আবার শুরু হলো সাদাসিধের সাথে প্রেম। কিন্তু আবার ? সুর্দশন যে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, ক্ষমা চাচ্ছে ? ওদিকে সাদাসিধে, বাবা মাকে জানিয়ে বিয়ের আয়োজন করছে। চিরায়িত দন্দে মেয়ে, ভুগছে। মেয়েটার কার কাছে যাওয়া উচিত। মনে রাখবেন ভালো কিন্তু দুজনেই সমান সমান বাসে । কিন্তু , এখন কি হবে ?
আমার রেটিংঃ ৪.৮

" যদি আরও কারে ভালোবাস,যদি আরও নাহি ফিরে আসো।
তবে তুমি যাহা চাও, তাহা যেন পাও, আমি যত দুক্ষ পাই গো। "


2) A Moment To Remember
আমার দেখা সেরা রোমান্টিক ফিল্ম। কোরিয়ান মুভি। এটা দেখেনি, এমন মুভিখোর খুব অভাগা। আমার নিজস্ব মতামত, যে রোমান্টিক মুভিখোর এই মুভি দেখেনি, তার হার্ড ডিক্স ক্রাস করুক। এখানে নায়িকাকে নিয়েই আলোচনা করতে করতে এমন একটা পাটাতনে এনে আপনাকে দাড় করানো হবে , উপরে বিশাল আকাশ আর এক হাত সামনেই নদী। ভালোবাসার এই পর্যায়ে আপনি তার সৌন্দর্যে বিলীন হয়ে যাবেন। এখানে সত্যিকারের একটা অসুখের ব্যাখার মাধ্যমেই গল্প আগাবে। নায়িকার মনভুলানো চোখের জল, আর নায়কের মাছরাঙ্গা হাসি আপনাকে এনে দেবে অনাবিল একটা প্রশান্তি।গোটা কয়েক তৃপ্তিময় মুভির মধ্যে এটা একটা। যারা প্রেমে পরেছিলেন, পড়বেন বলে ভাবছেন, পরে হাবুডুবু খাচ্ছেন তা্রা এই ফিল্ম মিস করবেন না। করা উচিত হবে না। । আহা, ভালোবাসা কত সুন্দর। কিন্তু নিয়তি এমন কেন ?
আমার রেটিংঃ ৪.৭

" হায় মাঝে হলো ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়।
আবার দেখা যদি হলো সখা,প্রানের মাঝে আয় "


3) My Blueberry Nights
নাটালি পোর্টম্যান আমার দেখা হলিউডি সেরা নায়িকা। আর সেই থেকেই পরিচয় এই মুভির সাথে। রোমান্টিক ড্রামা দেখেই ডাউনলোড করলাম। পরে জানা গেল এই ফিল্মের পরিচালকও বড়সড় মাপের একজন। যাই হোক ফিল্মটাতে পোর্টম্যান খুব অল্প সময়ে এবং পার্শচরিত্রে। কিন্তু মূল চরিত্রের থেকে কোন অংশে কম আকর্ষনিয় ছিলনা। জমজমাট অভিনয় আর ব্যাখার ভিতরে দিয়ে এই মুভি নিজেকে পরিচয় করাবে নিজের সাথে। মুলত নায়িকার প্রেম বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে কাহিনি প্রকাশ পেলেও আরও বেশ কয়েকটি ভালোবাসা ভিন্ন আঙ্গিকে দেখান হয়েছে। আসলে ভালোবাসার প্রধান ভিত্তি হলো, সংগ,সান্তনা, আর একটু কাছে থাকার প্রবনতা। বিচ্ছেদ শেষে নায়িকার পরিচয় ক্যাফের ছেলের সাথে, নিজের দুক্ষ ভুলতে পালিয়ে বেড়ায় সে, অজানায়। পরিচিত হয় বেশ কিছু আকর্ষনিয় চরিত্রের সাথে। সবার একটা দুক্ষ থাকে, এবং সেটা যে তার থেকে কম নয়, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারে সে। সেইসব মানুষগুলোর দুক্ষের সময়ের কার্যকলাপ তাকে সীধান্ত নিতে সাহায্য করে। ধীরেধীরে ভুলে যায় সে, হারানো ভালোবাসা। কিন্তু ক্যাফে ছেলেটাযে তাকে ভালোবেসে পাগলের মত খুজছে। তার কি হবে ?

" সখি ভাবনা কাহারে বলে,সখি যাতনা কাহারে বলে
তোমরা যে বল দিবস রজনী,ভালোবাসা ভালোবাসা
সখি ভালোবাসা কারে কয় ?
সেকি কেবলই যাতনা ময়।
আমার রেটিংঃ ৪.৬


4) Noukadubi
আবারও রবীন্দ্রনাথ, আবারও ঋতুপর্ন। সাথে প্রসেঞ্জিত এবং যিশু। রাইমা , রিয়া দুই বোন এক মুভিতে এবং বিপরীত অভিনয় শিল্পী। নোউকাডুবি যারা পড়েছেন তারা জানেন একটু সাদাসিধে হলেও গল্পটা কত অসাধারন। আর ঋতুপর্নের ছোয়ায় মুভিটিতে এসেছে নতুন প্রান। যদিও যুগের তালে ঋতুপর্ন মুভিটিকে আডভেন্স আকারে প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে রবীন্দনাথ থেকে অনুপ্রনিত বলা চলে। ঘটনার মাড়প্যাচে, মুভির মাঝপথে মুভি এত জমে ওঠে, সত্যি হা করে গেলার মত। আমার দেখা সেরা ১০ মুভির এটা একটা। এবং অন্যতম। নিজের অনিচ্ছায় বাবার ইচ্ছায় বিয়ে করতে বাধ্য হয় রমেশ। । অথচ শহরে তার প্রেয়সী তারই অপেক্ষায় খেলাঘর নির্মান করছে। ঝড়ের কবলে নৌকডুবি এড়িয়ে বউ নিয়ে শহরে এসেও সে ভুলতে পারেনা তার প্রেয়সীকে। দমিয়ে রাখতে না পেরে সবকিছু লুকিয়ে তার প্রেয়সী হেমাকে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। হেমা রাজি !!! এমতাবস্তায় জানাজানি হয়ে গেল সকলকিছু। বউ নিয়ে আবার অন্য স্থানে চলে এলো রমেশ। কিন্তু তার বউ এসব কি বলছে। সে হলো মোক্তার, তার বউ তাকে জানে ডাক্তার। রমেশ জানে বউয়ের নাম সুশীলা। বউ বলে নাম তার কমলা। বউয়ের গ্রামের বাড়ি কোথায়, আর রমেশও বা কি জানে? একি তার বউ ? হেমা তখন দুক্ষে ভেসে ভেসে আর না পেরে হাওয়া বদলাতে কাশি গেল। সেখানে এক ডাক্তারের সাথে পরিচয় হলো হেমা, তাকেই বিয়ে করবে ভাবছে, হটাত একদিন রমেশ কাশিতে এল। হেমার সাথে দেখা হলো। এবার ? ডাক্তার আর কমলার কি হবে ?
আমার রেটিংঃ ৪.৫

"প্রভাতে পথিক ডেকে যায়,অবসর পাইনি আমি হায়।
খেলাঘর বাধতে লেগেছি, আমার মনের ভিতর
খেলাঘর বাধতে লেগেছি। "

5)The Painted Veil
W. Somerset Maugham এর উপন্যাস নিয়ে এই মুভি দাড় করানো হয়েছে। যদিও আমি তার কোন বই পড়িনি। কিন্তু হাড়ির একটা ভাত টিপলেইতো বোঝা যায়। যতদুর মনে হলো লোকটা মানব মানবির সাইকোলজি নিয়ে লিখে মজা পান, যেটা আমাদের কবিগুরুও পেতেন। যাই হোক এটা হলো সেই মুভি যাতে মনমুগ্ধকর পরিবেশ,ভালোবাসার একটা নিরেট সঙ্গা, Edward Norton, Naomi Watts দুজন বিখ্যাত অভিনয় শিল্পী আছেন। হুট করে বিয়ে হয় ফেনের সাথে কিটির, কিন্তু সহসাই যেটা হয় কেউ একজন থাকতেই পারে। সেরকম কিটিরও একজন প্রেমিক আসে। বিয়ের পরেও তারা শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকে। ফেন জেনে ফেলে, যদিও কিছু বলেনা। কিন্তু ভালোবাসার এই স্থিতি কষ্ট তাকে আঘাত করে। সাংহাইতে এক গ্রামে কলেরায় বেড়েছে, যেখানের ডাক্তারও কলেরায় মারা গেছে। সেখানেই কিটিকে যেতে বলে ফেন, নিজের সাথে। কিটি রাজি না হওয়াতে ফেন দুটি অপশন দেয়। ডীভোর্স অথবা ওখানে যাওয়া। পুরোনো প্রেমিকএর থেকে সাড়া না পেয়ে কিটি যেতে রাজী হলো। ওখানে গিয়ে ফেনের ব্যস্ত জীবনে তাকে সময় না দেওয়াতে, গল্প করার মত মানুষ না থাকাতে, কলেরার আতঙ্কে কিটি একেবারে বিষিয়ে উঠেছিল। কিন্তু ধিরে ধিরে সে আবছা একটা ছায়া দেখতে পেল, সে ছায়া ভালোবাসার, দেখেতে পেল বুকের গভীরে। ফেনকে সে একটু একটু ভালোবেসে ফেলল। মুভির এই সময়টাতে একটা প্রশান্তি এল বুকে। বুক থেকে মস্তিষ্কে এবং সেখান থেকে যখন সারা শরীরে ছড়িয়ে পরবে তখন বাধলো ঝামেলা, খচখচনি নিয়েই শেষ হলো মুভি । তাহলে কি হলো ?
আমার রেটিংঃ ৪.৪

" বাহিরপানে চোখ মেলেছি,বাহির পানে
আমার হৃদয়পানে চাইনি আমার
হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে, দেখতে
তোমায় পাইনি, আমি দেখতে তোমায় পাইনি।


6) Chokher Bali
কবিগুরুর সবথেকে সমালোচিত উপন্যাস। তাছাড়া আমার পছন্দের পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। প্রসেঞ্জিত এবং ঐশর্য ( Aishwarya Rai )। কিন্তু সব পেরিয়ে প্রধান আকর্ষন রাইমা সেন। রাইমা আমার দেখা সেরা এশিয়ান অভিনেত্রি। ( একান্ত দুর্বলতা ) । বাংলায় দেখা সবথেকে রোমান্টিক মুভি এটা, আমার কাছে। য ত সমালোচনা এন্ডিং-এ । বুক হাত রেখে বলছি, সমাপ্তিতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আমার কাছে অসাধারন লেগেছে । আমি মনে করি, রোমান্টিক মুভির যেকোনো লিষ্টেই এই মুভি থাকা উচিত। বিনোদিনি, বিধবা মেয়ে, যার সাথে প্রথমে বিয়ের কথা ছিল মহেন্দ্র-এর। হলো না । মহেন্দ্রের বন্ধু বিহারির বিয়ে ঠিক হলো আশার সাথে। হলোনা। ঘুরে গেল, বিয়ে হলো মহেন্দ্র-এর সাথে আশার। অবুঝ অসংসারী মেয়ে আশা। ব্যস্তব জ্ঞান কম। কিন্তু হৃদয়ভরা ভালোবাসা আছে। কিন্তু পুরুষ জাতটা যে তোষামোদ বেশি পছন্দ করে !!! বিনোদিনি যখন মহেন্দ-এর বাসায় আসল সেই থেকে শুরু হলো ড্রামা। বিনোদিনির প্রেমে পাগল হয়ে গেল, মহেন্দ্র। আশা ভুগছে জালায়। বিহারী অপমান না সয়ে বাড়ি ছাড়লো। বিনোদিনিও ছাড়লো। কোন এক কুলক্ষনে বিহারি এক ফোটা সম্মান দিয়েছিল, বিনোদিনিকে। সেইটাই হলো কাল, সেই সম্মানের সম্মান রাখতে মনের ভিতরে প্রেম পুষেছে বিনোদিনী। তার প্রেম শুধু বিহারির জন্য। বিহারি আবার ভালোবাসে আশাকে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, বিনোদিনিকেও। আবার মহেন্দ্র বিনোদিনিকে পাবার জন্য পাগল হয়ে গেছে। এখন কেমনে কি ?
আমার রেটিংঃ ৪.৩

"মেঘ বলেছে যাব যাব, রাত বলেছে যাই।
সাগর বলে কুল মিলেছে, আমিতো আর নাই"

7) Never Let Me Go
মুভিটির আইডিয়া একদম অন্যতম। রোমান্টক ফিলমে এই দ্বাদ সত্যি কল্পনা অতীত। সাইফাই রোমাঞ্চ । হয় কখনো ?
ছবির মূল তিন চরিত্রের অন্যতম ক্যাথি'র বর্ণনায় ছবির কাহিনী এগোয়। প্রথমদিকের দৃশ্যে দেখা যায় ক্যাথি, রুথ ও টমি - তিন বন্ধু ও ক্লাসমেট ইংল্যান্ডের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের বোর্ডিং স্কুলে বড় হচ্ছে। সাথে আরোও অনেক ছেলেমেয়ে। একসময়ে এক টিচার মিস লুসি তাদের তিক্ত ভয়ংকর সত্যটা বলে দেন। এই বোর্ডিং-এর সব বাচ্চারা আসলে ক্লোন শিশু। ওদেরকে তৈরী করা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ান্তর শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যংগ দান করার জন্য। যার ফলে অল্প বয়সে এদের প্রায় সবাই মারা যাবে। ক্যাথি টমির প্রেমে পড়ে কিন্তু সম্পর্ক গড়ে উঠে রুথ ও টমির মাঝে। এই তিন চরিত্র কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই নিজেদের নিয়তির হাতে সঁপে দেয় যেন জীবনটাই এরকম। পুরো ছবিটা দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল ওরা তিনজন যেন জবাই হওয়ার অপেক্ষায় কসাইখানায় সারিবদ্ধ পশুর মতো অপেক্ষমান।

ছবিটার ২য় অংশে তিন বন্ধুকে এক খামার বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। এখান থেকে তারা একটি মাত্র শর্তে বের হতে পারবে যদি নির্ধারিত কাজে নিজেদের উৎসর্গ করে। এ পর্যায়ে তারা গুজব শুনতে পায় যদি একজোড়া ক্লোন ছেলে-মেয়ের মধ্যে সত্যিকারের প্রেম থাকে তবে তাদের অংগ কিছুদিন দেরি করে নেয়া হয় অর্থাৎ একটু বেশি দিন তারা বেঁচে থাকতে পারে।

৩য় অংশে ১০ বছর পরে পরষ্পরের সাথে আবার দেখা হয়। ইতোমধ্যে রুথ ও টমির সম্পর্ক ভেংগে গেছে ... দুজনেই তাদের অংগ ডোনেট করে প্রচন্ড দুর্বল ও মৃত্যু পথযাত্রী। ক্যাথি কাজ করছে কেয়ারার হিসাবে যে কিনা ডোনেশন প্রোগ্রামের ক্লোনদের মানসিক সাপোর্ট দেয় ... এবং এখান থেকেই ছবিটার শেষের শুরু।

আমার রেটিংঃ ৪.২

প্রেম এসেছিল নিঃশব্দচরণে। তাই স্বপ্ন মনে হল তারে--
দিই নি তাহারে আসন।
বিদায় নিল যবে, শব্দ পেয়ে গেনু ধেয়ে। সে তখন স্বপ্ন কায়াবিহীন নিশীথতিমিরে বিলীন--


8) In the Land of Women
Meg Ryan মুভির নায়িকা। এবং আমার ২য় পছন্দের হলিউডি নায়িকা। ডাউনলোড করে জাষ্ট দেখা শুরু করলাম, রিভিউ পড়িনি। কার কাছে কেমন লেগেছে জানিনা, মুভিটা আমার কাছে সেইরকমের লেগেছে। কিন্তু এনডিং-এ- আমি বেশ হতাশ। আমি অন্যরকম একটা এনডিং ভেবে নিয়েছি। এবং তাতে বেশ ভালোই অনুভুতি হচ্ছে। বয়সচোরা শারাহ। দুই সন্তানের মা। স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঠিক না বলা গেলেও পাশাপাশা থাকা বা স্বামী-স্ত্রি সম্পর্কটা আজ আর নেই। সম্প্রতি গ্রামে নতুন আসা এই ছেলেকে সে সহজেই বন্ধু করে নিল। নিসঙ্গতার এই সময়ে এমন বন্ধু খুব দরকারি। সেই বন্ধুও যদি হয় ছ্যাকা পার্টির। সম্প্রতি ফেমাস প্রেমিকার থেকে বিচ্ছেদে ছেলে নিজেকে নিস্তার আর পাশাপাশি লেখা-লেখির জন্য এই গ্রামে দাদীমার কাছে এসেছে। ছেলে কিন্তু দুই সন্তানের মা সারাহকে ভালোবেসে ফেলেছে। আর সারাহ ও । কিন্তু সারাহর বড় তরুনী মেয়েও যে ভালোবেসে ফেলেছে, সত,আলাদা,রহস্যময় এই অসাধারন ছেলেটিকে । এবার ?
আমার রেটিংঃ ৪.১

"হে খনিকের অতিথি,এলে প্রভাতে কারে চাহিয়া
ভরা শেফালির পথ বাহিয়া,হে খনিকের অতিথি।"



9) Ye Maaya Chesave
তামিল/তেলেগু মুভি। রোমান্টিক ড্রামা। সম্প্রতি এটার বলিউডি ভার্শন বের হয়েছে । Ek Dewana Tha । এই মুভিটি আমার কাছে একটু অন্যরকম মনে হয়েছে। পিওর রোমান্টিক। বাস্তবতার একটা পরিষ্কার ভাব ছিল। পরিচালনায় অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। নায়িকাটা অসম্ভব সুন্দরী।অভিনয়েও ছিল পারফেক্ট। কাহিনিটা বেশ হালকা। কিন্তু কতিপয় নাকামি নেই, এইটেই আমার কাছে ভালোলেগেছে। গোটাকয়েক গান ছাড়া এক সেকেন্ডও বাজে খরচা যাইনি। কার্তিক, পরিচালনায় নামবে, সেই চেষ্টায়। এমতাবস্তায় আসলো প্রেম। জেসির প্রেমে সে দিগিদ্বিক। ঝামেলা কি একটা দুটো? মানসিকতার অমিল। জেসি ২ বছরের বড়। তাছাড়া ধর্মও আলাদা। জেসি পারলোনা। এই প্রেম হয় কখনো? পরিবারের একটা সম্মান আছে না ? কার্তিকের কষ্টে বুক ভাসিয়ে বন্ধুও্ব করলো। হাত ধরা, আদর, ঘোরাঘুরি সবই হলো। জেসিও দুর্বল হয়ে গেল। কিন্তু নিয়তি। যেটা ভাবছেন এন্ডিং কিন্তু সেটা না। তাহলে কি ?

আমার রেটিংঃ ৪.০

" আজ তোমারে দেখতে এলেম, অনেকদিনের পরে
ভয় করোনা সুখে থাক,সুখে থাক বেশীখন থাকবোনাকো "



10) Youve Got Mail
মুভিতে কিছু থাকুক আর নাই থাকুক মাতাল করার মত নায়িকা Meg Ryan আছে,কোমল হাসি আর চোকৌশ চেহারা । আরও আছে টম হ্যাঙ্কস তার অসাধারন অভিনয় আর ড্রাগের ন্যায় কন্ঠ নিয়ে। ইন্টারনেটে প্রেম। যদিও এই কাহিনিটি এখনকার সময়ে খুব কমন। বাংলা নাটকে আর হিন্দি ফিল্মে এই বিষয়ে গোটা ২০ খুজলে পাওয়া যাবে। কিন্তু এই মুভিতে এই বিষয়টা এতই চমকপ্রদ ছিল, যা সত্যি প্রশংনিয়, এবং ভালোনা লেগে যাবে কোথায় টাইপ। টম আর মেগ-কে মানিয়েছে ফাটফাটি। ভার্চুয়াল এই প্রেম সঙ্গার বাইরে, দুজন অচেনা মানুশের ভিতর বাহিরের কথা। একটা ভরসা, একটা জেদ, আর প্রিয় কিছু সংলাপ আউরে যাওয়া। রোমান্টিকতা কমেডি মিশ্রনে একটা সজিব প্রকাশ পেয়েছে এখানে। কোলকাতার জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া বাংলা ফিল্ম অন্তহীন-এর আইডিয়াটা এখান থেকে নেওয়া। এখানে শেষে একটা কিছু একটা ছিল, যা অন্তহীনে ছিলনা ?
আমার রেটিংঃ ৪.০

"মাথার 'পরে খুলে গেছে আকাশের ওই সুনীল ঢাক্‌না ॥
ধরণী আজ মেলেছে তার হৃদয়খানি, সে যেন রে কাহার বাণী।
এমনি ক'রেই যায় যদি দিন যাক না।


বোনাসঃ Titanick
রোমান্টিক মুভির কথা মুখে আনলেই সহসাই এই নামটা চলে আসে। অস্বীকার করার কিছু নেই যে কিশোর মনে এই মুভি কতটা সাড়া ফেলেছিল। কান্নকাটি ? অন্তত্য মুভি দেখে, তাও আবার ওইটুকু বয়সে, এক কথায় অস্বাভাবিক। কি বুঝেছিলাম, কি দেখেছিলাম ঠিক মনেও নেই, কিন্তু ঢের কেদেছিলাম। কত আলোচনা কত মানুষের সাথে, হায়রে টাইটানিক। পরে আরও অনেকবার দেখেছি। কোনদিনও পুরোনো মনে হয় নি। সামনেই আসছে থ্রিডি । আবারও দেখার অপেক্ষায়।
আমার রেটিংঃ ৩.২

" তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে,আমি ডুবতে রাজি আছি।
রেখনা আর,বেধনা আর ,কুলের কাছাকাছি,আমি ডুবতে রাজি আছি। "



রোমান্টিক ফিল্ম খুব বেশি দেখিনি। দেখলেও রেকমেন্ড নিয়ে ফলে সেগুলো কমন। রোমান হলিডে, মুঘলে আযম, গন ইনটু ওয়াইল্ড,লাইফ ইজ বিউটিফুল এরকমের অনেক পরিচিত মুভি। এর থেকে বের হয়ে আনকমন বের করা খুব কঠিন। তারপরেও বৃথা চেষ্টা করলাম। কমন পরবে অনেকগুলো, কিন্তু একজন পিচ্চি রিভিউম্যান হিসেবে তাদের লিষ্টে না রাখলে নিজেকেই অপমান করা হবে।


৫ এর ভিতরে রেটিং দেব এবার। রেটিং দেবার ব্যবস্থাটা শুধুমাত্র রোমান্টিক জেনার বিভেদে। এই লিষ্টেই এই রেটিং-এর আধিপত্য। আমার দেখা অন্য মুভি বা সকল মুভিতে এই রেটিং-এর কোনো ভিত্তি নেই।

গানের ব্যাপারটা নিছক পাগলামি। কবিগুরুর উপরে প্রেমের লেখক আছে কি ?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০
২২টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×