দূর থেকে বন্ধুর গ্রাম ভেসে উঠে, সে এক পুরান বাড়ি। পলেস্তারা খসে গেলে চাঁনমুখ জিইয়ে থাকে। আমি কতবার চেষ্টা করেছি সেই মুখ ছুঁয়ে দিতে। পারিনি। ধরতে গেলেই মিলিয়ে যায়। আদরিনি ছাড়া সেমুখ দেয় না ধরা। এসব পুরাণ কথা, পুরাণেই লতিয়ে রয়।
উঠানে ফুটেছিল চান্দুওয়া ফুল। প্রাণ ভরে অনেকেই শুকতে পারেনি ঘ্রান। সে ছিল অনাতকাল। কুটুমিত্তারকাল। তখন পেত্নীরা লুকিয়ে থাকতো মুর্তারবনে। কামিনীর ঝুপের ভেতর লুকিয়েছিল নলিসূতা সে-এক পয়মন্ত দিনে। সেই যে তাগা ছিড়েছিল লাগে নাই জোড়া। শিড়দাড়া বেয়ে ঠাণ্ডা বরফ নামতো। এর নাম দিয়েছিলে তুকমার বিচি।
সহবত শেষে স্মৃতিবিভ্রম মানুষগুলো পশুর চামড়ায় মুখ ঢাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১০ দুপুর ২:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




