মতিহার থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মনোয়ার হোসেন এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভানেত্রী শাহীন মনোয়ারের প্রানপ্রিয় পুত্র রেজানুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সানিকে দাড়ালো কিরিচের প্রচন্ড আঘাতে মাথার মগজ বের করে আজ ছাত্রলীগের পাষন্ড কমীরা হত্যা করে। ইন্নালিল্লাহ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রাজিউন
ঘটনার বিবরন-
১। ছাত্রমৈত্রীর পলিটেকনিক শাখার সভাপতি ও কম্পিউটার বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মোতালেব জুয়েল, সহসভাপতি সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী রেজানুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সানি এবং একই পর্বের (সেমিস্টার) শিক্ষার্থী সহসভাপতি শেফারত আলী ওরফে বুলবুল বেলা ১২টার দিকে মেইন গেট দিয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ঢোকেন।এ সময় প্রশাসন ভবনের কাছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাম দা লোহার রড নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা উপর্যুপরি রাম দা দিয়ে কুপিয়ে তাদের আহত করে।
২। লীগের কমীরা তাদের মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে। এতে সবাই আহত হয় গুরতরভাবে। তবে সানীর মাথার মগজ বের হয়ে যাওয়ায় ডা: রা তাকে বাচাতে পারেনি। এ ছাড়া মৈত্রী সভাপতির প্রিয় হাতের চারটি আঙ্গুল ও কেটে নিয়ে যায় লীগ ক্যাডার রা।৩। বিকালে যুবলীগ মাস্তানরা সবছেয়ে বিশ্রি কান্ড করে। তারা উপরের নির্দেশে সানীকে লীগ কর্মী বলে লাশ ছিনিয়ে নিতে হাসপাতালে আক্রমন করে। এতে তাদের মধ্য তুমুল মারামারি শুরু হয়।
এই হলো ঘটনার মুটামুটি সারসংক্ষেপ।
কিছুদিন পূবে এই লীগ ক্যাডার রা একই কায়দায় মাথার মগজ এবং হাতের আঙ্গুল কেটে হত্যা করে মেধাবী শিবির নেতা নোমানীকে।
আর কতো মায়ের বুক খালি করলে লীগ মাস্তানদের খুনের সমাপ্তি হবে কে জানে। তবে ছাত্রসমাজ এখনই যদি ছাত্রলীগকে না রুখে তাহলে তারা এ কাজ করে যাবে বলে আমাদের ধারনা। কারন যারা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হাছিনার কথা শুনেনা তারা আর কারও কথা শুনবে বলে মনে হয়না।
আরেক টি কথা রাজশাহীর লোক বলাবলি করছে যে মেয়র লিটন আর এমপি ফজলে বাদশা এর দন্ধের বলি হয়েছে সানি। কারন মেয়র লিটন বতমানে খুব বাজে সময় পার করছেন। আর এজন্য লিটন বাদশাকে দায়ী করে থাকে। আর এ কথা সবার জানা যে মেয়র লিটন আর এমপি ফজলে বাদশার দা-কুমড়া সম্পক দীঘদিনের। এদিকে বাদশা বলেছেন ‘ছাত্রনামধারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দীর্ঘদিন ধরে অপতৎরতা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটল।’ তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন।
সবশেষে সানীর বাবা মার কাছে আমার প্রশ্ন, এরপর ও কি আপনারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করবেন?
আর সবার কাছে আমার প্রশ্ন, ছাত্রলীগ কি মাথা পাটানো এবং আঙ্গুল কাটা সংগঠনে পরিনিত হয়েছে?
** নোট : সম্মানিত মডারেটরের নির্দেশনায় ফ্রন্টপেইজ থেকে আপত্তিকর ছবিটি সরিয়ে শুধু পোষ্ট এটাচমেন্ট হিসেবে রাখা হলো । ছবিটি সিগনিফিকেন্ট । সেদিন যারা নোমানির রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে ছাত্রলীগের খুনিদের অন্যায়ের ব্যাপারে চুপ থেকেছিলো, আজকের ঘটনা থেকে তাদের শিক্ষা নেবার ব্যাপার রয়েছে । শুধুমাত্র একারনেই ছবিটি পোষ্টের সাথে এড করা হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




