আজকে পত্রিকাগুলোতে বিএনপির বিশাল কাভারেজ দেয়া হয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে ভবিষ্যৎ রাজনীতির মাঠ গরম হতে চলছে। একবছর আ'লীগ শান্তিতে দেশের রাজত্ব করলেও সামনের দিনগুলো বোধহয় এমন শান্তি তারা পাবেনা। কারন বিএনপি প্রধানের কাঁটা বিছানোর কাযক্রম শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, 'যদি দেশের জনগণের জন্য কিছু অর্জন করে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে বিমানবন্দর থেকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করব। তা না করে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি করে আসেন, তাহলে রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে দেওয়া হবে।' তারই অংশ হিসাবে গতকালের গোপন এই বৈঠক। বৈঠকে সাবেক উপাচার্য মনিরুজ্জামান মিঞা ও এমাজউদ্দীন আহমদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে বর্তমান সময়কে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন বুদ্ধিজীবীরা। ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো কেন জনস্বার্থবিরোধী এবং ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে সরকারের ব্যর্থতা কী, তা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
জামায়াতের রনহুন্কার
যুদ্ধাপরাধের বিচার যতটা গতি পাচ্ছে, জামায়াতও আন্দোলনে নামার তত জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামায়াতকে জড়ালে জামায়াত দ্রুত আন্দোলনে নামবে। সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যুদ্ধাপরাধের নামে যদি জামায়াতের বিচার করতে আসে, তাহলে জামায়াতও ঘরে বসে থাকবে না। জামায়াত আইনি লড়াই করবে ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।' তিনি আরো বলেন, 'সরকারের কোনো কোনো ব্যক্তির বক্তব্য উস্কানিমূলক। অনেকটা ধাক্কা দিয়ে বিরোধী দলকে মাঠে নামানোর পরিস্থিতির মতো।'
আবারো চাঙ্গা চারদলীয় জোট- :
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর এক বছর প্রায় অকার্যকর ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। এখন ভারতবিরোধী ইস্যুতে সেই দূরত্ব দূর করার উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি। সমমনা দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে জোটের শরিকদের সঙ্গে কাজ করবে বিএনপি।
সূত্র জানায়, বেশির ভাগ ধর্মভিত্তিক দল ভারতবিরোধী। এদের একত্র করে যুগপত্ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে তা অনেক বেশি শক্তিশালী হবে বলে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন। পাশাপাশি ভারতবিরোধী কয়েকটি বামপন্থী দল ও নেতাকে এ ক্ষেত্রে সঙ্গে পেতে বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র- প্রথম আলো এবং কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




