somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি শিক্ষণীয় গল্প ও একটি ভ্যালেন্টাইন ডে জোক

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দর্শনের এক প্রফেসর ক্লাসে তার ছাত্রদের উদ্দেশে কিছু বালু, কিছু নুড়ি-পাথর, কিছু কড়ি আর একটি বড় স্বচ্ছ কাঁচের জার নিয়ে ঢুকলেন। জারটিকে টেবিলে রেখে সেটা নুড়ি-পাথর দিয়ে ভর্তি করলেন, তারপর ছাত্রদের জিগ্যেস করলেন, “তোমাদের কি মনে হয় জারটি ভরে গেছে?”

ছাত্ররা উত্তর দিলো, “জি স্যার”

এবার তিনি কিছু কড়ি নিয়ে জারটির মধ্যে ফেললেন এবং সেটিকে মৃদু নাড়াচাড়া দিতেই কড়িগুলো নুড়ি-পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকে গেল। তারপর ছাত্রদেরকে আবার জিগ্যেস করলেন, “তোমাদের এখন কি মনে হয় জারটি ভরে গেছে?”

ছাত্ররা উত্তর দিলো, “জি স্যার”

এবার তিনি জারটিতে বালু ঢেলে দিলেন, তারপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর সমস্ত ফাঁকা জায়গা পূরণ হয়ে গেল, তারপর ছাত্রদেরকে আবার জিগ্যেস করলেন, “তোমাদের এখন কি মনে হয় জারটি ভরে গেছে? নাকি এখানে আরও কিছু দেয়া যায়?”

ছাত্রদের মধ্যে অনেকে বলে উঠলো আর কিছুই দেয়া যাবে না, আবার কেউ কেউ বলল এর মধ্যে পানি দেয়া যেতে পারে।
এবার প্রফেসর জারটির মধ্যে পানি ঢেলে দিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই জারটিতে আর কোন জায়গাই রইলো না।

এরপর প্রফেসর ছাত্রদের উদ্দেশে বললেন, এই জারটিকে যদি তোমরা তোমাদের জীবনের সাথে তুলনা করো, ধরে নাও এই নুড়ি-পাথরগুলো হচ্ছে তোমাদের পরিবার, জীবনসঙ্গী, সন্তান-সন্ততি, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য আবশ্যিক বিষয় যেগুলো তোমাদের জীবনকে পূর্ণতা দেয়, আর কোন কিছু না থাকলেও। তারপর এই কড়িগুলো হচ্ছে সেই বিষয়গুলো যা তোমাদের জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজন, যেমন চাকুরী, ব্যবসা, গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদি। আর বালুগুলো হল জীবনের অন্যান্য সব ছোটোখাটো বিষয়গুলো, যেমন আমাদের নিত্যদিনের ঘটনা, অবসর, আমোদ-ফুর্তি ইত্যাদি। আর পানি হল ভালোবাসার মত, যা কিনা সবগুলো বিষয়কে একসাথে জুড়ে রাখে।

কিন্তু এবার তোমরা যদি জারটিতে প্রথমেই পানি দিয়ে ভরে ফেলতে, তাহলে বাকি জিনিষগুলো ফেললে পানি উপচে পড়তো, আবার একসপ্তাহ পরে যদি এই জারটিকে দেখ তাহলে দেখবে সমস্ত পানি শুঁকিয়ে গেছে। তাই ভালোবাসা কখনো ধরে রাখা যায় না, সবসময় প্রবাহিত রাখতে হয়। ঘাটতি দেখলে বাড়িয়ে দাও, আর যদি দেখ উপচে পড়ছে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করো। আবার যদি শুধু বালু দিয়ে ভরে ফেলতে, তাহলে কড়ি আর নুড়ি-পাথর রাখার জায়গা থাকতো না। এর মানে যদি তোমরা তোমাদের জীবনের সমস্ত সময় ছোটোখাটো বিষয় নিয়েই ব্যস্ত থাকো, তাহলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয়গুলোর জন্য সময় হয়ে উঠবে না। তাই যেসকল বিষয় না থাকলেই নয়, সেগুলোকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়া উচিৎ, তারপর অন্যান্য বিষয়। পরিবারকে সময় দাও, সন্তানদের সাথে খেলাধুলা করো, জীবনসঙ্গীকে নিয়ে ঘুরতে যাও। এরপর বেঁচে থাকতে হলে কাজ করতে হবেই, ভালো থাকতে হলে গাড়ি-বাড়ি লাগবেই। এরপর চিন্তা করো ছোটোখাটো বিষয়গুলো নিয়ে, আর এই সবকিছুকে আগলে রাখো ভালোবাসা দিয়ে।

একটি জোকঃ

প্রেমিকা : জানু ,আজ তো ভেলেন্টাইন্স ডে, আমাকে এমন ভাবে প্রপোজ করো যেভাবে আজ পর্যন্ত কোন ছেলে কোন মেয়ে কে করেনি
.
.
.
.
.
.
.
প্রেমিক : হারামজাদি, কুত্তি , কলংকিনি, শয়তানের শয়তান আই লাভ ইউ চো মাচ আমাকে বিয়ে করে আমার জীবন ধ্বংশ করে দে ডাইনি...!!

আরেকটি বোনাস জোক, কিঞ্চিৎ ১৮ প্লাস :P

বাবু খুব তোতলায়।

এমনটা ছোটবেলায় হতো না, এখন কেন হচ্ছে জানার জন্যে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলো সে।

ডাক্তার তাকে আপাদমস্তক পরীক্ষা করে কারণটা খুঁজে পেলেন। তিনি জানালেন, ‘দেখুন মিস্টার বাবু, আপনার বিশেষ প্রত্যঙ্গটি অত্যন্ত দীর্ঘ। সেটির ওজনে আপনার ভোকাল কর্ডে টান পড়েছে। প্রত্যঙ্গটি কেটে খানিকটা ছোট করা হলে সম্ভবত আপনার তোতলামি সেরে যাবে। আপনি রাজি হলে আমি এখন যা আছে, তার অর্ধেকে আপনাকে নামিয়ে আনতে পারি। তবে যে অর্ধেক সরিয়ে ফেলা হবে, সেটি কিন্তু আপনাকে হস্তান্তর করা হবে না। আপনি কি রাজি?’

কী আর করা, বাবু রাজি হলো। অপারেশন সফল হওয়ার পর তার তোতলামি সেরে গেলো।

কিন্তু বাবুর বান্ধবী টিনা সব জানতে পেরে ভীষণ চটে গেলো। সে হুমকি দিলো, তোতলামি নিয়ে তার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু বাবুর অর্ধেক যদি বাবু ফেরত না নিয়ে আসে, এ সম্পর্ক সে রাখবে না।

কী আর করা, মাসখানেক টিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে বিফল হয়ে শেষে বাবু আবার গেলো ডাক্তারের কাছে।

‘ডাক্তারসাহেব, আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন /:) ।’ আব্দার জানালো বাবু, তারপর বর্তমান পরিস্থিতি ডাক্তারকে বুঝিয়ে বললো।

কিন্তু ডাক্তার কোন জবাব দিলেন না, ভাবুক চোখে তাকিয়ে রইলেন তার দিকে।

বাবু চটে গেলো। ‘কী হলো, কথা শুনতে পাচ্ছেন না আমার? আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন X(

ডাক্তারও চটে গিয়ে বললেন, ‘প-প-প-পারবো না। যান, ভ-ভ-ভাগেন এখান থেকে।’
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×