ছোট খাটো একটা বাংলা সিনেমার থিম বলব আজ। যা কয়েক দিন পর আলোড়ন তুলবে ঢালিউড এ। সিনেমার কাহিনী ইংরেজি সিনেমা
TiTaNiK এর মত , তবে বাংলাদেশে।
ইংরেজি TiTaNiK এ ১৫০০ জন যাত্রী মারা গিয়েছিল।আমাদের দেশ এ এক একটা লঞ্চ এ থাকে ৩-৪০০০ জন মানুষ।তাই আমি সিনেমা টা বানাবো লঞ্চ দিয়াই।তাগো জাহাজ ডুইবা যায় ICE BURG এ ধাক্কা খাইয়া। আমগোর তো আর ICE BURG নাই তাই আমগোর লঞ্চ ডুববো নদীর চরে ধাক্কা খাইয়া। এবার আসি কাহিনীতে।
বাংলা সিনেমার খুবই কমন কাহিনী থেকে একটু চুরি করলাম।সচরাচর নায়ক থাকে গরীব আর নায়িকা কঠিন বড়লোক এর একমাত্র মাইয়া। আমার সিনেমায় নায়ক হবে বড়লোক আর নায়িকা থাকবে কঠিন গরীব।
বাংলাদেশ এ নতুন লঞ্চ এর যাত্রা। নাম "তাইতানিক"। নামেই নতুন, আসলে জিঞ্জিরা মেইড, তাই রংটা নতুন হইলেও বাকি সব সেই এরশাদ চাচার আমলের। নায়ক ঢাকায় বিশাল ব্যবসায়ী। নাম ডাক ও বেশ, "অনন্ত জলিল"
কিন্তু নায়ক এর মা থাকে দেশের বাড়ী চাঁদপুরে।নায়ক এর অফিস এর এক গরিব কিন্তু সুন্দরী সেক্রেটারির সাথে নায়কের প্রেম পিরিতি, ভালোবাসা ও ইত্যাদি Already যা যা হবার

তা হইয়া গেসে। এবার এলো নায়িকারে নায়ক এর মা এর সাথে দেখা করায় দেবার পাল্লা। তাই নায়ক "তাইতানিক" এর টিকেট কাটল। কেন না এক মাত্র "তাইতানিক" এ দিচ্ছে "যদি ডুইবা যায় তবে ৫টি ছাগল মুন্ত্রীর হাত থেকে সরাসরি পরিবারবর্গের পাওয়ার সুযোগ"। অন্যান্য প্রায় ৩৫৯৯ জন মানুষ ও এই অফার গ্রহন করতে কাটল "তাইতানিক" এর টিকেট। মাঝ নদীতে যাবার পর রাত্রে নায়ক নায়িকার লঞ্চে লদকা লদকি ও আইটেম গান "হবে কি আমার ছম্মক ছাল্লো ও অ ও অ..." এর সাথে আধা গজ কাপড়ে নায়িকারে লাফাইতে দেখে সারেং নদীর দিকে খেয়াল করে নাই। ফলে যা হওয়ার তাই হইলো। লঞ্চের বেপক ওজন আর পরের ট্রিপ তাড়াতাড়ি নেবার চেষ্টাতে বেপক দ্রুত গতিতে ছোটা "তাইতানিক" আছড়ে পড়লো চরের বুকে। ফলে এরশাদ চাচ্চুর আমলের জিনিস ভেঙ্গে খান খান হইয়া দিশা বিদিশা কিছুই পাইল না। নায়িকা জানেনা সাঁতার, জানে নায়ক। নায়িকাকে বাঁচানোর পর আরও প্রায় ১০০০ জনকে বাঁচায় ফেলায় নায়ক। এর ই মধ্যে বাকীরা নায়ক এর উপরে ঝাঁপায় পরে বাঁচার আশায়। নায়ক ও ত একটা মানুষ। সিনেমার খাতিরে আর নায়ক বইল্লা তারে দিয়া ১০০০ জন রে বাঁচাইসি। আর পারুম না। তাই বাকি মানুষেরা নিজেরা তো বাঁচতেই পারলো না মাঝখান দিয়া চাইপ্পা ধইরা নায়করেও ডুবাইয়া মারলো।নায়িকার সে কি কান্না।

।যাই হোক উদ্ধারকারীরা নায়িকা ও অন্যান্যদের বাঁচাইয়া আবার ঢাকায় নিয়া আসলো। নায়িকা ৫ মাস পর নায়ক এর মার কাছে যায়।(এমনি এমনি যায় নাইক্কা ।। অইযে ৫ টা ছাগল দিবার কথা ছিলো ডুইব্বা গেলে, তার ২ খান নায়কের মার থাইক্কা উদ্ধার করনের লাই আর কি

!!!) তাকে এই কাহিনী বলার মধ্য দিয়ে flashback এর মাধ্যমে কাহিনী এগিয়ে যায়। থিম কেমন লাগসে জানাইবেন... ভালো লাগ্লে পুরা কাহিনী Details এ লিখে এফডিসি তে যামু। বলা ত যায় না।। নায়ক এর নাম অনন্ত জলিল লিখসি বইল্লা যদি অরিজিনাল অনন্ত জলিল আমারে তার ডিরেক্টর বানাইয়া "বাংলার তাইতানিক" সিনেমা নামায় ফেলে...।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৪