আমার সামনে প্রসারিত দুটি ভিক্ষার হাত- প্রশস্ত আয়ু রেখা হৃদয় রেখা থেকে মনিবন্ধ পর্যন্ত, সাথে যোগ হয়েছে অনেকগুলো রক্ষক ত্রিভুজ।
জন্ম জন্মান্তরের হাজারো প্রশ্নেরা ভিড় জমালো মনে।
জানলা দিয়ে নিলাকাশের বাইরে দেখার মুগ্ধতায় বিভোর হয়ে, সেই একই জানলা দিয়ে ভেতরটা না দেখতে পারাটা এই সংসারে ক্ষমার চোখেই দেখা হয়! তথাপি আমি এই আপাতঃ অর্থহীন কৌতুহলটাকে সঙে নিয়ে একটা বৈপরীত্বের চক্রে বাঁধা পড়লাম!!
আমার সামনে আকাশটাকে আগলিয়ে দাড়িয়ে সারিসারি পাহাড়। পৃথিবীকে ক্বীলকের মতনকরে স্থিত করতে নিজেরা থিতু হয়েছেন। ঝড়-ঝঞ্জা গায়ে মেখে, কালের বৈতরনিতে মহাকালের দিকে ধাবিত এই কিংবদন্তীরা কাঁদার এক অভিনব ভাষা তৈরী করেই ক্ষান্ত! সজল শ্রোতস্বিনীর ধারায়!
স্বপ্নের সাতরং এর এত পসরায়, কোথাও রংহীন, কোথাও বিবর্ণ। তবুও থামেনা কেহই! আমাদের অক্ষমতায় তুমিও থমকে যেওনা!
তুমি তোমার স্বপ্ন গুলোকে বাঁচিয়ে রেখো..যেমনটা রাখলাম আমি!!
পরিশেষ: এই পাহাড়ের দেশে এক ভিক্ষুক (মহিলা) আমার দিকে হাত বাড়িয়েছিলো টাকা চাইতে। হয়তো তার সন্তানেরা বসে আছে কখন সে বাসায় আসবে খাবার নিয়ে। আমার উপলব্ধিগুলোর মুলমন্ত্রনা দাত্রী সেই ভিক্ষুককে আমি বোরকার আড়ালে দেখতে পাইনি! কিন্তু উনি আমাকে আজন্মের জন্য ভিক্ষুক বানিয়ে দিয়ে গেছেন ঠিকই! আমি তোমার কাছে একটা আর্তি করি বন্ধু 'কারো স্বপ্নের হন্তারক তুমি যেন না হও!' 'আর তোমার স্বপ্নগুলোতেও যেন আছড় না পড়ে আমার জন্য!'
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






