সময় এতো আস্তে হাটে অপেক্ষার সময়! আমার মা খাবার নিয়ে আসবে বাবার জন্য।
এই অপেক্ষার প্রহরতো শেষই হতে চায়না। ঘরে হাফ ডজন ভাইবোনের অনিশ্চিত ভবিষ্যত, বাড়ীভাড়া, স্কুল-কলেজের ফিস আর এদিকে কোর্ট কাচারী।
ঐতো আমার মা আসছে! আস্তে আস্তে দৃষ্টি সীমায় আসতেই বুঝলাম খালি নোংরা পায়ে আমার মায়ের কালো বোরকা পরিহিত এক মহিলা। এক অদ্ভুৎ ভাবনা এলো ঝড়ের মতন। ধমকা ঝড়! আমিতো এই মহিলার গর্ভে জন্ম নিতে পারতাম। একই ভাবে হয়তো এই মায়ের অব্যক্ত যন্ত্রনাকাতর পৃথিবীর অমুল্য সম্পদ হতে পারতাম।
সত্যি সত্যিই আমার মা আসছে! রোগা পাতলা শরীর। শরীরে মলিন শাড়ী। হাটতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে মায়ের। হাতে বাবার জন্য তৈরী খাবার।
দীর্ঘ ১ টি ঘন্টা পেরিয়ে গেল আমার মা এখনো আসেনি। আমি আবার সামনে দেখি ডানে দেখি বাঁয়ে দেখি.......চারপাশে সারি সারি মা দের ভীড়। কোনো মায়ের স্বামী, কোনো মায়ের সন্তানরা আছে আমি যে জেলগেটে দাড়িয়ে আছি তার ভেতরে।
যে মায়ের কন্যা সন্তান অন্য ঘরে নব পরিণীতা সেই মাদের আর এই মাদের ভীড়ে আমি দাড়িয়ে অযোগ্য সন্তান- আমি ব্যথিত মা। আমি ব্যথিত। আমার সামর্থ্য নেই- তোমার চোখের জল- বুকের যাতনা কমিয়ে দেই।
স্যান্ডেল হীন জরাজীর্ন পায়ে, নেকাবে ঢাকা মুখে, নীল শাড়ী আর ঘরে ফিরার তাড়ায়, সবুজ শাড়ী আর হতাশা- আশংকায়, আবার কখনো সাদা শাড়ী পড়ে আমার মায়েরা- ঘুরে ফিরে চারদিকে অথবা চেয়ে থাকে কখন আমি আসবো ফিরে তারই কোলে।
তোমরা কোথাও আমার মাকে দেখলে- একটু দয়া করো! একটু ভালবাসা আর একটু সম্মান আমার মায়ের বড্ড প্রয়োজন আজ।
: এই লেখা মাকে নিয়ে। মা দিবসে লেখিনি। আজ লিখলাম। কারণ মা সবসময়ই সমকালীন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






