somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হীরক রাজার দেশের অর্থনীতি!

২২ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Keynes ছিলেন বিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ট এবং সফল একজন অর্থনীতিবিদ।
Keynesian অর্থনীতির একটা চাতুর্যপুর্ণ উপলব্দি হলো- one person's spendings goes towards anothers earnings, and when that person spends her earnings she is, in effect, supporting anothers earnings. This circle continues on and helps support a normal functioning economy. অনেকে এটি বোঝানোর জন্য একটা ছোট্ট ভুমিকার অবতারনা করেন। আপনি একটা খাল কাটান- এই কাজে নিয়োজিত যারা তাদের মজুরীর ব্যবস্থা করেন- এরপর একইভাবে খালটা ভরাট করেন! এইভাবে হলে অবশ্যম্ভাবীভাবে অর্থনীতি গতি পাবে।

কীভাবে??

লোকজন পণ্য কিনলে সেই মজুরীতে তারা পণ্য কিনবে-পণ্যের কেনাবেচায় গড়ে উঠবে শিল্প- একজনের খরচ অন্য জনের জীবিকার পাথেয় হবে। বিষয়টা আপাতঃ দৃষ্টিতে এতই সহজ একটা কাজ!!! বাস্তবে এটাকে মেনে চলা বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম একটা বিষয়। এর জন্য যোগ্যতম সরকার এর কারিশমা লাগে। তাহলেই শিল্প গড়ে উঠতে পারে। অর্থনীতির গতি আসতে পারে (অতিসরলীকরনের দোষে দুষ্ট হলে ক্ষমা করবেন)।

এই প্রেক্ষাপটে আমি একটি হীরক রাজার দেশের অর্থনীতিকে আপনাদের বিবেচনায় পেশ করতে চাই।

১। হীরক রাজার দেশের তাবৎ কন্যা, জায়া, জননীরা দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পাননা। কারণ সিরিয়াল দেখার অবশেসনে তারা দেশীয় চ্যানেলই যে খুলেন না! পণ্যের ব্রান্ডিং নামক ঘটনাটা আর ঘটবেনা-এই আনন্দ বোঝার লোকও নাই সেই দেশে!!!

২। সরকার নিয়ন্ত্রিত শিল্প সবচাইতে রূগ্ন সম্ভাবনার সৃষ্টি করে এটা বোঝাতে পৃথিবীব্যাপি এতো উদাহরণ আছে যে- যারা এটাকে নিয়ে নতুনভাবে যুক্তিতর্ক করে তাদের আধ্যাত্মিকতায় মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়না। আমাদের হীরক রাজার দেশে এমন আধ্যাত্মিক সাধকের দেখা মিলছে হরহামেশাই। তৈরী হন- চুরি চামারীর কারখানায় হবে পুনঃ উৎপাদন!!! কি আনন্দ! কি আনন্দ!!

৩। আরেকটা হলো 'চিকেন সিনড্রোম'। মুরগী ডিম পাড়ছেনা কেন? কারণ আগের মালিক খাওয়ায় নাই। এই সিনড্রোম এ যদ্দিন পারা যায় তদ্দিন এই দেশ কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে কাহারই মাথা কিন্চিত ব্যথাবিস্ট হয়না। (লজ্জা লাগার তো প্রশ্নই উঠেনা)!! আসো খাই দাই - আর নাচি।

৪। 'সিজান জ্যুস' 'সেন্টেফ্রেস' আর 'আলপেনলীবে' সিনড্রোম- হীরক রাজার দেশে হেন পণ্য নাই আমদানী না করে উপায় আছে। সকল পন্যই আনতে হবে। এতে যদি দেশের পণ্য গুলোর শ্রীহানী হয় তাতে কি আসে যায়। সুন্দর পণ্যে তো দোকান গুলো সুন্দর ই দেখায়। আহা হা! কি অপরূপ রূপ!!

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৫
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×