ঈদে বাংলাদেশীদের সাথে বসে আড্ডা মারছিলাম, সেখানে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে পরিচয় হল, যিনি সিঙ্গাপুর ও দুবাইতে কাজ করেছেন। কথা প্রসঙ্গে এই দুটি দেশ সমন্ধে আলোচনা হচ্ছিল।
তিনি বলছিলেন, অনেক আগেই ৭০ এর পর থেকেই সিঙ্গাপুর বিভিন্ন জাতির মানুষের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। এই গড়ে উঠার পিছনে কারণ হল, সিঙ্গাপুর হল বন্দর শহর। শত বছর আগেই বিভিন্ন দেশে থেকে এই বন্দরে মানুষের আনাগোনা হয়েছে জীবন ও জীবিকার কারণ। সিঙ্গাপুরের মূল জনগন বেশ স্বাগত জানিয়েছে অন্য জাতের মানুষজনকে। সিঙ্গাপুরের জনগণ যাদের বেশীর ভাগের অংশই হল চিন বংশদ্ভুত, তারা ইংরেজী ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে গ্রহণ করেছে। কেননা সিঙ্গাপুরের জনগন ও বিদেশের সাথে যোগাযোগের জন্য ইংরেজীই একমাত্র ভাষা। তাদের সন্তানরা ইংরেজী ভাষাতেই কথা বলছে। কেউ ইংরেজীকে প্রথম ভাষা ও চীন ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা আবার কেউ চীন ভাষাকে প্রথম ভাষা ও ইংরেজী ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে গ্রহণ করেছে। এই মনভাবের কারণেই সিঙ্গাপুর একটি অদ্বিতীয় স্থান হিসাবে গড়ে উঠেছে যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যাবেনা। অপরদিকে দুবাই অনেকটা সিঙ্গাপুরের মডেলকে গ্রহণ করছে, তারাও চেষ্টা করছে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসার Hub হিসাবে গড়ে উঠতে। আর এই চেষ্টা বেশি ৮০ এর পরে দেখা যায়। তবে ৯০ এর পরে খুব উঠে পড়ে লাগে এটিকে সফল করার জন্য। বিভিন্ন দেশের লোকজনের সমাগম হতে থাকে, কিন্তু মূল জনগন যেহেতু ইংরেজী ভাষা থেকে দূরে এবং তাদের শিক্ষার হার মারাত্মক রকমের কম তাই তারা সিঙ্গাপুরের মত গড়ে উঠেনি। বিভিন্ন দেশের পরামর্শকারিদের নিয়ে বেশীদূর যেতে পারছেনা।
ভবিষ্যতের সময়ই বলবে দুবাই কতটা সার্থক হবে।