গত ২৭-২৯ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত হল বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা(WHO) কতৃক আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন’। এই সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৪ টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও অংশগ্রহন করেন বিশ্বব্যাংক,UNFCCC,আইনা সহ আর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডাঃ মার্গারেট চানের সভাপতিত্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের মহাপরিচালকের ডিজাস্টার রিস্ক সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি মার্গারেটা ওয়ালস্ট্রম।এ সম্মেলনে বক্তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে বৈজ্ঞানিক দক্ষতা, পর্যাপ্ত আর্থিক সম্পদ এবং জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির কার্যকরী ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উভয় পর্যায়ের সহযোগিতাকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানান।
গত ৫০ বছরে জীবাশ্ব জ্বালানীর ব্যাপক ব্যবহারের কারনে জলবায়ু পরিবর্তনের হার দ্বিগুন হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মৃতের সংখা দাড়বে প্রায় ২৫০০০০ যার প্রধান কারন হবে অপুষ্টি, ম্যালেরিয়া,ডাইরিয়া। স্বল্প আয়ের, অনুন্নত অবকাঠামোর দেশ এবং সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলো হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ।
এত গেল বৈশ্বিক তথ্য ।আসুন দেখি বাংলাদেশের কি অবস্থা।২০১১ সালে জার্মান ওয়াচ কতৃক প্রকাশিত Global Climate Risk Index (CRI) অনুযায়ী বাংলাদেশ পৃথিবীর ১০ ঝুঁকিপূর্ন দেশের মধ্যে একটি। Healthy Center for Climate Prediction and Research (HCCPR) বলেছে, ২০৮০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ৪০সে.মি. (১৫ ইঞ্চি) বৃদ্ধি পাবে। নাসা এর মতে,এই শতকের শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ ভাগ ভূখন্ড সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাবে। International Panel on Climate Change (IPCC) এর মতে ,২০৫০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগ খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাবে যার পরিনতি হতে পারে দারিদ্রতা বৃদ্ধি।
আমাদের সকলকেই জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আপনি হয়ত ভাবছেন , “আমার কি করার আছে???? বিশ্বের যে বড়বড় দেশগুলো মিল কারখানা চালাচ্ছে,গাড়ি ঘোড়া চড়তেছে তারা কমালেই তো পারে”। কিন্তু না! আপনিও করতে পারেন এমন কিছু কাজ যা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভুমিকা রাখতে পারে সামান্য হলেও
১. প্রাইভেট কারে কম চড়ুন,সাইকেল ব্যবহার করুন। ঢাকা শহরের রাস্তায় এতে আপনার সময় অ বাঁচবে।
২.সবসময় A.C. চালাবেন না।
৩.এনার্জি সেভিং লাইট ব্যবহার করুন।
৪.রুম থেকে বের হউয়ার আগে লাইট ও ফ্যান বন্ধ করুন।
৫.গাছ লাগান অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।
৬. নিজে সচেতন হন এবং অন্যকেও সচেতন করুন।