-
--
---
----
-----
আড্ডার সকলে একটা বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করিলো যে, 'অধ্যাপক' এর মস্তিস্ক বিকৃতি'র লক্ষণ দেখা দিয়াছে। এই মূহুর্তেই সু-চিকিৎসা বাঞ্চনীয়।
মনো-চিকিৎসক এক গাল হাসিয়া দিয়া কহিলেন - এ আর কঠিন কি!
মনো-চিকিৎসক অধ্যাপক মহাশয়ের বিগত কয়েক দিনের ইতিহাস এবং সেই সঙ্গে যৌবন কালের ইতিহাস উদ্ধার পূর্বক সিদ্ধান্তে উপনীত হইলেন যে, যৌবনে অধ্যাপকের কিঞ্চিত সাহিত্যানুরাগ ছিল। কালক্রমে তা ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়া প্রায় লুপ্ত। সাহিত্য হইল মনের নানাবিধ গুপ্ত চিন্তা বা বাসনা প্রকাশ করিবার উপায়। তাহা কেহ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারুক আর নাই পারুক, প্রকাশেই শান্তি। সুতরাং তিনি অধ্যাপক মহাশয়কে একখানা গল্প লিখিবার পরামর্শ প্রদান করিলেন। সেই সঙ্গে তা বঙ্গীয় কোন একখানা 'ব্লগ' এ প্রকাশ করিবারও উপদেশ দিলেন, কেননা উহাতে অর্থনীতি'র যোগ নাই।
অধ্যাপক সানন্দে পরামর্শ মোতাবেক রাত্রি জাগরন পূর্বক একখানি গল্প রচনা কারিয়া পরবর্তী প্রত্যুষে এক তাড়া কাগজ সহযোগে মনো-চিকিৎসকের বাড়ি গমন করিলেন। অধ্যাপকের অক্ষি কোণে কালিমা আর অবিন্যস্ত কেশ প্রত্যক্ষ করিয়া চিকিৎসক মুচকি হাসিয়া ভাবিলেন - দাওয়াই কাজ করিতেছে।
ইহা কি গল্প? চিকিৎসক জানিতে চাহিলে অধ্যাপক কেবল কাগজের তাড়াখানি আগাইয়া দিয়া বলিলেন - "তোমাকেই সর্বাগ্রে পাঠ করার সুযোগ প্রদান করিলাম।"
মনো-চিকিৎসক গল্প খানি পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেনঃ
"একদা প্রত্যুষে রাজকুমার পরমহংস তাহার দুগ্ধ ফেনিল অশ্ব খানির পৃষ্ঠে আরোহন করিয়া যাত্রা শুরু করিলেন। অশ্ব চলিতে লাগিল টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু ............
পাতার পর পাতা কেবল টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু টাট্টু ....
অবেশেষে মনো-চিকিৎসক বিরক্ত ও কৌতুহলী হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন - "অশ্ব চলিতেই আছে, থামেনা কেন?"
অধ্যাপক একগাল হাসিয়া কহিলেন - "ওটা পাগলা ঘোড়া"
অট: জীবন চলছে পাগলা ঘোড়ার পিঠে ... টাট্টু. টাট্টু.. টাট্টু ....