যে কোন একটি দেশ যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করে তখন সুচিন্তিত ভাবে স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়। সেটাই হয় স্বাধীনতা ঘোষণার দালিলিক ভিত্তি। আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা পাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই ঘোষণার উপর ভিত্তি করে সবকিছু পরিচালিত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওই দেশের সংবিধান প্রণয়ন হয় সেই স্বাধীনতার ঘোষণার উপর ভিত্তি করে। ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতারও একটি ঘোষণাপত্র প্রবাসী সরকার প্রণয়ন করেছিলেন। সেটাই ছিল আমাদের স্বাধীনতা ও সরকার পরিচালনার আনুষ্ঠানিক ভিত্তি। সেই ঘোষণা পত্রের একটি ছবি এখানে দেয়া হলো।
১৯৭২ সালে যে সংবিধান প্রনয়ণ করা হয় সেই সংবিধানে স্বাধীনতার ঘোষণাটি অন্তর্ভূক্ত ছিলো। এবার আদালতের রায় অনুযায়ী যে সংবিধান লিখা হচ্ছে সেখানেও আবার সেই ঘোষণাপত্রটি অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ, সমাজতন্ত্রের কোন কথাই ছিলোনা। অথচ যে ঘোষণাপত্রের উপর ভিত্তি করে দেশ স্বাধীন হলো এবং এরপর সংবিধান লিখা হলো সেই স্বাধীন দেশ ও সেই সংবিধানে আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ, সমাজতন্ত্র অযাচিত ভাবে অ ন্তর্ভূক্ত করে এবং তা করে ভারতের চাপে। স্বাধীনতার কোন পর্যায়ে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ, সমাজতন্ত্র নিয়ে কখনো কথা হয়নি। তাই এদেশের জনগণও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ, সমাজতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন করেনি। স্বাধীনতার চেতনার কথা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রেই বিবৃত করা আছে। এখন যারা যারা ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ, সমাজতন্ত্রকে স্বাধীনতার চেতনা বলে তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। ভারত তার আধিপত্যবাদের অংশ হিসেবে নিজেদের মতবাদ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করে। আওয়ামী লীগ ভারতের সেই চাপিয়ে দেয়া মতবাদই ৭২ এর সংবিধানে নিয়ে আসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




