বেলকনির গ্রিল ধরে তোমার পৃষ্ঠদেশ স্পর্শ করা আলুলায়িত কেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কেটেছে অনেকটা সময়। গাণিতিক ভাবে সময়টা বেশ দীর্ঘ হলেও,আপেক্ষিকতার আবহে সেটা অল্পই। । শরীরের জ্যামিতিক বিন্যাসের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকা কৃষ্ণ বর্ণের চুলগুলোকে মনে হয় কালো কাশফুল দোল খাচ্ছে।
উজ্জ্বল বর্ণের ত্বক আর কালো চুলের মাতোয়ারা মিলনে ভরে যায় এপার আটকে থাকা নয়ন। হয়তো উপমা উৎপ্রেক্ষার ভুল প্রয়োগ বা যথাযথ নাও হতে পারে। এটা কল্পনা বিলাসী মনের ভাষা।
নিরুপায় হয়ে তার কাছে বশ্যতা স্বীকার করে তার স্বাধীনতায় আমি বিশ্বাসী। এই স্বাধীনতা দেবার ফলেই, হৃদয়ের ভেতরে হাতড়ালে শুধু হাতে পড়ে টুকরো টুকরো কাগজ। যেখানে কাশবনের কন্যার নানা পটভূমি চিত্রায়িত হচ্ছে।
এখন তার পরিমাণটা এসে দাড়িয়েছে মূলপাতা ছেড়ে লুজশিটে। অসংখ্য লুজশিটের ভারে ক্লান্ত হয়নি আমার হৃদয়। বরং কানায় কানায় ভরে উঠছে তার তৃপ্তি। ভালোবাসার রচনা দীর্ঘায়িত হোক এই কামনায়। আর বার বার শুধু মন বলছে ---
“চোখ ফেরানো যায় গো তবু মন ফেরানো যায় না
কেমন করে রাখি ঢেকে মনের খোলা আয়না” !!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪