ছবির একমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক মানুষটি আমার বাবা।
না, কোন সিনেমার রিভিউ নয়। একটা সত্যি ঘটনা । আমার বাবা মারা যান ২০০৩ এর নভেম্বরে। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে স্ট্রোক। কোন জীবন-বীমা বা লাইফ ইন্সিউরেন্স ছিলো না তাই এই রকম অবস্থায় সাধারণতঃ যা হয় তাই হলো। অবধারিত আর্থিক অনিশ্চয়তা। যাদের কাছে বাবা টাকা পেতেন, তারা বেশ চুপচাপ রইলেন। জোরাজুরি করে কোন লাভ হয় না তাই আমরা তেমন চেষ্টাও করিনি। ওদিকে বাবা যাদের কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন, তাদের পাওনা একে একে শোধ করতে হয়েছে। এরপর বহুদিন চলে গেল। ২০০৯ এর নভেম্বর মাস। বাসায় একজন অচেনা মানুষের ফোন। মা'র সাথে দেখা করতে চান একজন ভদ্রলোক। তার ভাষ্যমত, তিনি দেশে ছিলেন না এবং বাবার মৃত্যুর খবর তিনি জানতেন না। বাবা তাকে কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন এবং তিনি সেটা শোধ করতে চান। আমি এসবের একটা কথাও বিশ্বাস করিনি। এ নিশ্চিত ক্রিমিনাল। কোন ভাবে বিধবা মহিলার সরলতার সুযোগ নেয়ার ধান্ধায় আছে। কিন্তু আমার সন্দেহ ভুল ছিলো। বাবা মারা যাবার ছয় বছর পর মোটামুটি বড় একটা অংক বাড়িতে এসে শোধ করে দিয়ে গিয়েছেন। যাবার সময় দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং ক্ষমা চাইলেন এতো দেরী করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৩৬