ঈদ উপলক্ষে দেশের অন্যতম আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ স্টার সিনেপ্লেক্স নিয়ে এসেছে হলিউড ব্লকবাস্টার দুই ছবি থর (THOR)এবং ফাস্ট ফাইভ (FAST FIVE)। আসন্ন ঈদুল ফিতরে এখানে মুক্তি পাচ্ছে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো এ ছবি দু’টি।
থর (THOR):
২০১১ সালে আমেরিকার সুপার হিরো ফিল্ম। মার্বেল কমিকস-এর কমিক বইয়ের চরিত্র থর অবলম্বনে ছবিটি তৈরি করেন পরিচালক কেনেথ ব্র্যানাগ। এতে অভিনয় করেছেন ক্রিস হেমসওয়ার্থ, নাটালি পোর্টম্যান, টম হাইডলস্টন এবং অ্যান্থনি হপকিন্সসহ অন্যান্যরা। নিজের জগত অ্যাসগার্ড থেকে পৃথিবীতে নির্বাসিত হন প্রভু থর। তার সাথে বন্ধুত্ব হয় বিজ্ঞানী জেন ফস্টারের সাথে। এদিকে পিতাকে হঠিয়ে নতুন রাজা হয় থরের ছোট ভাই লাকা। তাকে থামাতে এবং পিতাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লড়াই চালিয়ে যায় থর। এমন ঘটনার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে সিনেমার মূল উপখ্যান।
ছবিটি প্রথম মুক্তি পায় ২০১১ সালের ২১এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায়। এর পর একই বছর ৬মে মুক্তি পায় যুক্তরাষ্ট্রে। ১৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত থর অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই আয় করে ৫.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বক্স অফিসেও ব্যাপক সাফল্য পায় ছবিটি। হেমসওয়ার্থ, হপকিন্সদের দুর্দান্ত পারফরমেন্স এবং স্পেশাল ইফেক্ট এর ব্যবহার ছবিটির
আর্কষণীয় দিক। সমালোচকদের কাছ থেকেও প্রশংসা আদায় করেছে ছবির নির্মাণশৈলী। শিকাগো সান-টাইমস স্পাইডারম্যান এর পর থরকে মোস্ট এন্টারটেইনিং সুপারহিরো আখ্যায়িত করে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইম-এর রিপোর্টেও ছবিটির প্রশংসা করা হয়।
১.
২.
৩.
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
ফাস্ট ফাইভ (FAST FIVE)
দর্র্শক মাতানো ছবি ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিরিজের পঞ্চম ছবি। ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ফাইভ নামেও পরিচিত এটি। অ্যাকশন নির্ভর এ ছবির পরিচালক জাস্টিন লিন। অভিনয় করেছেন ভিন ডিসেল, পল ওয়াকার, জর্ডানা ব্রিউস্টার, ডোয়াইন জনসন প্রমুখ। সিরিজের আগের ছবিগুলোতে স্ট্রিট রেসিং দেখা দর্শকদের বাড়তি আর্কষণ উপহার দিতে এ ছবিতে নতুনত্বের সংযোগ ঘটেছে। দুর্নীতিবাজ এক ব্যবসায়ীর ১০০ মিলিয়ন ডলার চুরির মিশন নিয়ে গড়ে ওঠা এ ছবির কাহিনীজুড়ে রয়েছে দুরন্ত গতি আর অ্যাকশনের অনবদ্য সমন্বয়। ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় এবং ২৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ১৬৮ মিলিয়ন ডলার আয় করে বক্স অফিস কাঁপিয়ে দেয় ছবিটি। ভেঙে দেয় প্রথম সপ্তাহের আয়ের পূর্ব রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী এ যাবৎ ছবিটির মোট আয় ৬০৫ মিলিয়ন ডলার। সিরিজের আগের সবগুলো ছবিতো বটেই, সাফল্যের দিক থেকে ফাস্ট ফাইভ ছাড়িয়ে গেছে ব্লক বাস্টার পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জারস টাইডসকে। জায়গা করে নিয়েছে সর্বকালের সেরা সর্বোচ্চ আয়ের ছবির তালিকায়। বিশ্বব্যাপী বিপুল দর্শকের মন জয় করার পাশাপাশি বোদ্ধা-সমালোচকদের সাড়া ছবিটির সাফল্যকে আরও উঁচুতে উঠিয়েছে। টাইম ম্যাগাজিনের রিভিউতে পোস্ট-হিউম্যান যুগের ফার্র্র্র্র্র্র্র্স্ট গ্রেট ছবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফ জনসন, ডিসেলের অভিনয় এবং পরিচালকের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। ইতোমধ্যে এ ছবি জিতে নিয়েছে টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ডস-এ চয়েস মুভি অ্যাকশন পুরস্কার এবং মনোনয়ন পেয়েছে গোল্ডেন ট্রেলার অ্যাওয়ার্ডস।
১.
২.
৩.
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
৯.
সূত্র: লেখা. সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ
ছবি. ইন্টারনেট

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




