somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাকার আশেপাশে কয়েকটি জায়গার বিবরন

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকার আশেপাশে কয়েকটি জায়গার বিবরন

১. ঢাকার আগারগাওয়ে অবস্থিত শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

একটা বিকেল কাটাবার জন্য আদর্শ জায়গা এটা । চীন মৈত্রির সামনে নেমে রিক্সায় সোজা পশ্চিম দিকে রাস্তা। এখানকার সৌন্কদর্য দেখার য়েকটি স্থান আছে যেমন :

- দক্ষিন দিকের গেট দিয়ে ঢুকে একেবারে উত্তর দিকে যেতে হবে। এরপর একটু পুব দিকে এগোলেই একটা বড় পুকুর। এ পুকুরের জংলা ঘাটটায় বসে পরুন।

- মুল ভবন (সম্ভবত রেজিষ্টার ভবন) এর সামনে ধান ক্ষেতের মাঝে বড় বাধানো চত্বরটায়

- লেডিস হলের কাছে গাছ পালা ঘেরা জায়গাটায়।

এসব জায়গায় এক বক্স ভুনা খিচুরি, এক ফ্লাক্স চা আর কিছু স্নাক্স নিয়ে কয়েকটা ঘন্টা কাটান কোন এক সুন্দর বিকেল কিংবা এক চাদনী রাতে, বাচতে ইচ্ছে করবে আরো হাজার বছর।

২. উয়ারী বটেশ্বর, বেলাব, নরসিংদি :

নরসিংদির উয়ারী বটেশ্বর এ বিরাট ধানক্ষেতের পাশে একটি সরকারী গেষ্ট হাউস আছে। এটির বৈশিষ্ট হলো ২ য় তলায় বিশাল রুমটির সামনে বিরাট একটি খোলা ছাদ। অসাধারন একটি জায়গা। এই গেষ্ট হাউজটিতে বুকিং দেয়া একদম সোজা, ভাড়াও কম। বাজার ও রান্নার দায়িত্ব অনায়াসে দেয়া যায় এর কেয়ারটেকারের ওপর।

এক সকালে চলে যান সেখানে। সারাদিন কাটিয়ে বিকেলের দিকে গ্রামটা ঘুরে দেখুন। একফাকে দেখে নিন উয়ারী প্রত্নতাত্বিক স্থানটি। রাতে ফিরে আসুন বাংলোয়। রাতের খাবার খেয়ে রুমের সামনে খোলা জায়গাটিতে বসে যান। রাত কখন শেষ হবে টেরও পাবেন না।

যেভাবে যাবেন : মহাখালি থেকে বিআরটিসির ভৈবগামী বাসে বা চলনবিল/অন্যনা সুপার পরিবহণের বাসে উঠুন। ভৈরবের মরজাল বাসস্ট্যান্ডে নেমে যান। সময় লাগবে দুই ঘন্টা ভাড়া ১০০ টাকা। সেখান থেকে খনন কার্যের জায়গা যাওয়া যায় সিএনজি করে। প্রতিজন ৩০ টাকা, রিজার্ভ ১২০-১৫০ টাকা। আপডেট - অক্টোবর ১৯, ২০১৩ - খননকার্য অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এর কাজ চলছে। তাই খনন কার্যের জায়গাগুলো মাটি দিয়ে আবার ঢেকে দেয়া হয়েছে। এভাবে থাকবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিসেম্বর এ আবার নতুন করে খনন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যেসব জিনিস খনন করে তোলা হয়েছে তার বেশিরভাগ আছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা হচ্ছে। সেটি হলে সব আবার বটেশ্বর এ নিয়ে আসা হবে। (আপাতত প্রত্নতাত্বিক স্থানটি্তে দেখার কিছু নেই)

ডাক বাংলোর ভাড়া ৫০০ টাকা ও ১২০০ টাকা (এসি রুম)। কেয়ারটেকার লিটনের ফোন নম্বর ০১৯৩৩২৫১২৪২

৩. জল জংগলের কাব্য, পুবাইল, গাজিপুর :

টংগীর পুবাইলের প্ক্যইলট বাড়ির কথা হয়তো অনেকে জানেন। প্রাকৃতিক এক ভুমিকে অবিকৃত রেখে আরো প্রাকৃতিক করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোয়ায়। এক জোসনা রাতে আগে থেকে থবর দিয়ে চলে যান সেখানে। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্তু বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন ১ টা দিন।

যেভাবে যাবেন : মহাখালি থেকে নরসিংদি বা কালিগন্জগামী যে কোন বাসে উঠুন। ১ ঘন্টা পর পুবাইল কলেজ গেট এলাকায় নেমে পড়ুন। ভাড়া নেবে ৪০ টাকা। এরপর একটা ব্যাটারীচালিত রিক্সায় করে পাইলট বাড়ি। গেলে এসে ফোন করুন, গেট খুলে দেবে। তবে অবশ্যই আগে বুকিং থাকতে হবে।

খরচ : এখানে জনপ্রতি নেয়া হয় ২০০০ টাকা নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার সহ। শুধু দুপুর ও রাতে খাবার সহ ১৫০০ টাকা। যোগাযোগ - ০১৯১৯৭৮২২৪৫

জল জঙ্গলের কাব্যর ওই টাকার মধ্যেই খাবার ব্যবস্থা থাকা। খাবার মেনুগুলো দারনু : ভাত, পোলাও, চালতা দিয়ে ডাল, মুরগির মাংশ, রুই মাছ, গুড়া মাছ, তেতুল দিয়ে কচুমুখি, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ঘন ডাল আরো বেশ কটি আইটেম।

৪. বেলাই বিল, গাজীপুর

গাজীপুরের চিলাই নদী এবং সংলগ্ন বেলাই বিল হতে পারে ১ টা দিন কাটাবার আদর্শ জায়গা। বিশাল জলাভুমিতে নৌকায় করে সারাটা দিন পার করুন আর দেখুন জেলেদের মাছ ধরা। সকালে ও এবং বিকেলে তাজা মাছ পাওয়া যায় এখানটায়। আসার সময় কিনে নিয়ে আসুন।

কানাইয়া বাজারের পাশেই চিলাই নদী। এখানে একটা নৌকা ভাড়া করে নিন। ছোট নৌকা হলে সারাদিন নেবে ৫/৬ শ টাকা। আর বড় নৌকা ২০০০ টাকা। রাতে নৌকাতেই থাকতে পারেন। এটা করলে বাজার কমিটিকে জানিয়ে রাখবেন আগেভাগে।

যেভাবে যাবেন : মতিঝিল বা মহাখালি থেকে গাজিপুরগামী বিআরটিসি বা গাজিপুর পরিবহনের বাসে উঠুন। নামবেন গাজীপুর শিববাড়ি মোড় এ। একটু হেটে সামনে গিয়ে কানাইয়া বাজার যাবার টেম্পুতে উঠুন। ৩০ মিনিট পর কানাইয়া বাজারে নামুন। ভাড়া নেবে ১০ টাকা।

৫. নাম ধনবাড়ি রয়্যাল রিসোর্ট, টাংগাইল

টাংগাইলের ধনবাড়িতে একটা পুরোনো রাজবাড়ি আছে যা এখন রিসোর্ট হিসেবে চালু হয়েছে। নাম ধনবাড়ি রয়্যাল রিসোর্ট। এখাকার মুল Palace এর ভাড়া বেশী তাই সেখানে না থেকে কাচারী বাড়িটা ভাড়া নিন আর সামনে বিশাল মাঠে বসে ১ টা রাত কাটান উপভোগ করুন।

যেভাবে যাবেন - ঢাকার মহাখালি থেকে সরাসরি ধনবাড়ির বাস ছাড়ে। সময় নেবে ৪ ঘন্টা আর ভাড়া সম্ভবত ২০০ টাকা। রয়্যাল রিসোর্ট এর ভাড়া ২০০০ টাকা থেকে শুরু। তবে এরা বিভিন্ন ট্রাভেল ফেয়ারে ৫০% ডিসকাউন্ট দেয়। সে সময় বুকিং দিয়ে রাখবেন। ঢাকা অফিস : লাইট হাউস গ্রুপ, বিএসআরএস ভবন, ৭ ম তলা, কারওয়ান বাজার, ঢাকা ফোন- ৯১৩০৯০০, ০১৭২৩-৫৪১৩৪৬ (নামজমুল হাসান)

৬. রিভার প‌্যালেস, ময়মনসিংহ :

ময়মনসিংহ শহর পার হয়ে মুক্তাকাছার দিকে মাইলতিনেক গেলে হাতের ডানে খাগডহরে ব্রম্মপুত্র নদী তীরে গড়ে উঠেছে River Palace নামে আনিন্দ সুন্দর এক রিসোর্ট। এ রিসোর্ট এর বারান্দায় বা পেছনের নদী তীরে বসে একটা রাত কেনো গোটা জীবনটাই পার করে দেয়া যায়।

যেভাবে যাবেন : ময়মনসিংহ পর্যন্ত বাসে। বাস ষ্ট্যান্ড থেকে কাচিঝুলি পর্যন্ত যাবেন রিক্সায়। এরপর মুক্তাকাছার ম্যাক্সিতে উঠে বসবেন। রিসোর্ট ভাড়া ১০০০, ১৫০০ এবং ২০০০ টাকা।

রিভার প‌্যালেসে খাবার : এখানে খেতে গেলে ওনাদের মেনু থেকে বেছে দিলে সেভাবে রান্না করে দেয়। জনপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা লাগে খেতে।

ঠিকানা : হোটেল River Palace, খাগডহর, ময়মনসিংহ। ফোন : ০১৭১০-৮৫৭০৫৪

৭. সাদুল্লাপুর, সাভার

Located in Savar Upozila. During mosoon, you find boats from Mirpur Sinnirtek Landing station. It will take 10 taka and after half an hour it will reach Sadullapur village. You will find many flower garden in this village. Every day, many trucks of flowers come to Dhaka from sadullapur.Sadullapur is a small village. You will find some local restaurants for lunch. So, it is perfect place for hangout

৮. কলাকোপা বান্দুরা

বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের বিশাল ভান্ডার কলাকোপা বান্দুরা হতে পারে ডে আউটের জন্য আদর্শ একটি স্থান। ঢাকা থেকে মাত্র ৩৫ কিমি: দুরের ইছামতি নদী তীরে গড়ে ওঠা প্রায় ২০০ বছরের সমৃদ্ধ এ জনপদটি একোন ভীড় ভাট্টা থেকে দুরে। তাই চলুন যে কোন এক সকালে।

কিভাবে যাবেন : গুলিস্তান মাজারের কাছ থেকে কলাকোপা বান্দুরাগামী বাস ছাড়ে প্রতি ঘন্টায়। এখান থেকে বাসে চেপে ঘন্টা দুয়েক পরে পৌছে যাবেন কলাকোপা বান্দুরা।

কি দেখবেন : ইতিহাস আর ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ এলাকা এটি। প্রথমেই দেখবেন লক্ষ্মীনারায়ণ বিগ্রহ মন্দির। জলদস্যু থেকে দাতায় পরিণত হওয়া খেলারামের কথা আজো ভোলেনি সেখানতার মানুষ।

এরপর একে একে দেখন কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ি বা জমিদার ব্রজেন সাহার ব্রজ নিকেতন, যা এখন জজবাড়ি নামে খ্যাত; ব্যবসায়ী রাধানাথ সাহার বাড়ি, শ্রীযুক্ত বাবু লোকনাথ সাহার বাড়ি, যার খ্যাতি মঠবাড়ি বা তেলিবাড়ি নামে; মধু বাবুর পাইন্নাবাড়ি, পোদ্দারবাড়ি, কালীবাড়ি এবং কলাকোপার কাছে সামসাবাদ তাঁতপল্লি, এর একটু দূরে আলানপুর তাঁতপল্লি।

আর অতি অবশ্যই ইছমতি নদী ভ্রমণ করবেন।

৯।রাণীগঞ্জ

রাণীগঞ্জ হতে পারে ডে ট্রিপের জন্য আদর্শ একটি জায়গা। কাপাসিয়ে ব্রিজ এর ডান পাশ দিয়ে একটি রাস্তা ধরে মাইল দশেক গেলেই রানীগন্জ। জায়গাটি শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত। এ নদীতে রয়েছে সুন্তর একটি দ্বীপ। তাছাড়া নদীতে নৌকা ভাড়া করে ঘোরা যাঢয়। নদীর ওপারের বাজারে পাওয়া যায় তাজা মাছ যা কোন রেষ্টুরেন্টে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়।

যেভাবে যাবেন : মহাখালি আইসিডিডিআর বি এর াপজিট পেট্রল পাম্প থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় রানীগন্জ এর বাস ছাড়ে। ভাড়া ৮০ টাকার মতো। সময় লাগবে ঘন্টা দুয়েক। কাপাসিয়ার পর রাস্তা গাছ পালায় ছাওয়া অসাধারন এক রাস্তা।

উয়ারী বটেশ্বর, বেলাব, নরসিংদি : প্রথমে কমলাপুর থেকে বিবাড়ীয়াগামী "তিশা , সোহাগ অথবা BRTC AC বাসে উঠবেন। নেমে পরবেন মরজাল। ( আগেই বাসের হেল্পারকে বলে রাখবেন, কারন বিবাড়ীয়ার প্রায় ২৫ কিলোমিটার আগেই পরে মরজাল বাসস্ট্যান্ড)। তিশা , সোহাগ ১৫০ টাকা ও BRTC AC ১৯০ টাকা ভারা । তারপর CNG নিয়ে সরাসরি উয়ারী, বটেশ্বর ভারা ২০০-২৫০ টাকা। এটা হল আরামদায়ক ভাবে যাওয়ার জন্য। আপনি মহাখালী থেকে ভাল বাস পাবেন না আর BRTC AC বাস থাকলেও রাস্তা খুব খারাপ। উল্লেখ্য সিটিং ভাল সার্ভিস সন্ধ্যা ৭ টার পরে পাবেন না

লালবাগ কেল্লা
লালবাগ কেল্লা মোঘল আমলের বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন যাতে একই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে কষ্টি পাথর, মার্বেল পাথর আর নানান রঙবেরঙের টালি। লালবাগ কেল্লা ছাড়া আর বাংলাদেশের আর কোন ঐতিহাসিক নিদর্শনে এমন কিছুর সংমিশ্রণ পাওয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। প্রথমে এই কেল্লার নাম ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ। আর এই কেল্লার নকশা করেন শাহ আজম। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব-এর ৩য় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার সুবেদারের বাসস্থান হিসেবে এ দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মাত্র এক বছর পরেই দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙগজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান। এসময় একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে ঢাকায় এসে পুনরায় দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর এ দুর্গ অপয়া মনে করা হয় এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এই পরী বিবির সাথে শাহজাদা আজম শাহের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পরী বিবিকে দরবার হল এবং মসজিদের ঠিক মাঝখানে সমাহিত করা হয়। শায়েস্তা খাঁ দরবার হলে বসে রাজকাজ পরিচালনা করতেন। ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁ অবসর নিয়ে আগ্রা চলে যাবার সময় দুর্গের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের দান করে যান। শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ দুর্গের গুরুত্ব কমতে থাকে। ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়ন কাজ শুরু করে। এ সময় দুর্গটি লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয়। অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানকার স্থাপনার অন্তর্গতঃ পরীবিবির সমাধি বেশ উল্লেখযোগ্য। এটি মোগল আমল এর একটি চমৎকার নিদর্শন। প্রশস্ত এলাকা নিযে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত। কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-

কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা
পরীবিবির সমাধি
উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ

আহসান মঞ্জিল
ঊনিশ শতকে ঢাকার নওয়াব পরিবারের আবাসস্থল ছিলো আহসান মঞ্জিল। মোঘল আমলে এটি বরিশালের জামিনদার শেখ এনায়েতউল্লাহর রঙমহল ছিলো। এরপর ফরাসী বাণ্যিজ্যিক কোম্পানির কেন্দ্র । ১৮৩০ সালে নওয়াব খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসীদের কাছ থেকে মহলটি কিনে নেন ও নিজের বসবাসের জন্য পুর্ননির্মাণ করেন।

মূল আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৫৯ সালে । শেষ হয় ১৮৭২ সালে। আবদুল গনি তার পুত্র নওয়াব খাজা আহসানউল্লাহর নামে প্রাসাদটির নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল। ১৮৮৮ সালে টর্নেডো আর ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিলের মূল ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নওয়াব আহসানউল্লাহ ভবনটির সংস্কার করেন।


পানাম নগর
পানাম নগর নারায়ণগঞ্জ জেলার, সোনারগাঁতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর -প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়।[১] এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূইয়াঁদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। সোনারগাঁর ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নগরী গড়ে ওঠে।[২]

সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর থেকে উত্তর দিকে[৩] হাঁটাপথেই পৌঁছানো যায় অর্ধ্বচন্দ্রাকৃতি পানাম পুলে। (যদিও পুলটি ধ্বংস হয়ে গেছে)। পুলটির দৈর্ঘ্য ছিলো ৭২ ফুট আর প্রস্থ ছিলো ১৫.৫ ফুট[৪], মাঝখানটা ছিলো উঁচু। এই পুল পেরিয়েই পানাম নগর এবং নগরী চিরে চলে যাওয়া পানাম সড়ক। আর সড়কের দুপাশে সারি সারি আবাসিক একতলা ও দ্বিতল বাড়িতে ভরপুর পানাম নগর


জিন্দা পার্ক

রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের জিন্দা গ্রামে বিশাল এলাকার উপর গড়ে তোলা হয়েছে জিন্দা নামের এই পার্কটি। অপস নামে একটি সামাজিক সংগঠনের অর্থায়নে এ পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। টিলা আর লেক বেষ্টিত এ পার্কের ভেতরে আছে দ্বি- পুকুর। লেকে নৌকায় চড়ে ভ্রমনের সুযোগ। পার্কের ভেতরেই রয়েছে মার্কেট সেখানে সব ধরনের কেনাকাটা করতে পারে দর্শনার্থীরা। আছে লাইব্রেরী, ক্যান্টিন, প্রাণী জগত। পার্কের ৫০ ভাগ জুড়ে আছে লেক। লেকের পাড়ে ফুলের বাগানে নিরিবিরি চুটিয়ে আড্ডা দেবার মত জায়গা রয়েছে। এখানকার লাভ লেক প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। পুরো পার্কে পুকুর লেক ছাড়া রয়েছে ঘন সবুজ অরণ্যে ঘেরা ছোট বড় টিলা। পার্কে আছে বাংলো, রেস্টুরেন্ট,স্লিপার,দোলনা। আছে সবুজ ঘাষে ঢাকা শিশুদের খেলার মাঠ। লেকময় ঘুরে বেড়ানোর জন্য ১০ টি নৌকা রয়েছে। আছে চিকিৎসার জন্য ফ্রি ক্লিনিক। নিরাপত্তা ও সেবার জন্য রয়েছে একঝাক তরুন তরুনী। যারা সর্বক্ষন দর্শনার্থীদের সেবায় নিয়োজিত। শুটিং ও পিকনিকের এক অনন্য স্থান জিন্দা পার্ক । রূপগঞ্জের জিন্দা গ্রামের ৫ প্রতিভাবান কিশোর এক যুগ আগে জিন্দা গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে অপস নামে এক সেবামূলক সামাজিক সমিতি চালু করে। এই কিশোররা স্বপ্ন দেখেনি স্বর্নকমল বানানোর; স্বপ্ন দেখেনি বিদেশে পাড়ি জমানোর। তারা স্বপ্ন দেখেছে হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের। তাদের স্বপ্ন ছিল একটাই অজোগাঁ জিন্দাকে আদর্শ মডেল গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সে স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। জিন্দা আজ রূপগঞ্জের মডেল গ্রাম হিসেবে ¯ী^কৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি জিন্দা পার্কের কারনে জিন্দার সুনাম ছড়িয়ে পরেছে সারা দেশে।

এছাড়া যেতে পারেন ইউসুফগঞ্জ উপশহর এলাকায়। বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট ছোট টিলা, সমতল ভূমি, শালবন,কাঠাল বাগান। সব মিলিয়ে কি বিচিত্র এখানকার রূপ। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্যে নিঃসন্দেহে আপনি অভিভূত হবেন। মনে হবে অসংখ্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্ম যেন এ এলাকায়। আর তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়ায় রযেছে আগেকার দিনের রাজাবাদশা,জমিদার ও সওদাগরদের মতো প্রায় ১৫টি বজরা ও ময়ূরপঙ্খি নৌকা। এগুলো দিয়ে শান্ত শীতলক্ষা নদীতে দিনভর ভ্রমর করতে পারবেন। যেতে পারেন কাঞ্চনের মশারি পল্লী কিংবা নোয়াপাড়ার জামদানী পল্লীতে। এখানকার কারিগরদের তৈরী কাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সব মিলিয়ে এই শীতে ১ দিনের জন্য সময় করে বেড়িয়ে পরতে পারেন রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে । - See more at: Click This Link পূর্বাচল উপশহরের জিন্দা গ্রামে বিশাল এলাকার উপর গড়ে তোলা হয়েছে জিন্দা নামের এই পার্কটি। অপস নামে একটি সামাজিক সংগঠনের অর্থায়নে এ পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। টিলা আর লেক বেষ্টিত এ পার্কের ভেতরে আছে দ্বি- পুকুর। লেকে নৌকায় চড়ে ভ্রমনের সুযোগ। পার্কের ভেতরেই রয়েছে মার্কেট সেখানে সব ধরনের কেনাকাটা করতে পারে দর্শনার্থীরা। আছে লাইব্রেরী, ক্যান্টিন, প্রাণী জগত। পার্কের ৫০ ভাগ জুড়ে আছে লেক। লেকের পাড়ে ফুলের বাগানে নিরিবিরি চুটিয়ে আড্ডা দেবার মত জায়গা রয়েছে। এখানকার লাভ লেক প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। পুরো পার্কে পুকুর লেক ছাড়া রয়েছে ঘন সবুজ অরণ্যে ঘেরা ছোট বড় টিলা। পার্কে আছে বাংলো, রেস্টুরেন্ট,স্লিপার,দোলনা। আছে সবুজ ঘাষে ঢাকা শিশুদের খেলার মাঠ। লেকময় ঘুরে বেড়ানোর জন্য ১০ টি নৌকা রয়েছে। আছে চিকিৎসার জন্য ফ্রি ক্লিনিক। নিরাপত্তা ও সেবার জন্য রয়েছে একঝাক তরুন তরুনী। যারা সর্বক্ষন দর্শনার্থীদের সেবায় নিয়োজিত। শুটিং ও পিকনিকের এক অনন্য স্থান জিন্দা পার্ক । রূপগঞ্জের জিন্দা গ্রামের ৫ প্রতিভাবান কিশোর এক যুগ আগে জিন্দা গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে অপস নামে এক সেবামূলক সামাজিক সমিতি চালু করে। এই কিশোররা স্বপ্ন দেখেনি স্বর্নকমল বানানোর; স্বপ্ন দেখেনি বিদেশে পাড়ি জমানোর। তারা স্বপ্ন দেখেছে হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের। তাদের স্বপ্ন ছিল একটাই অজোগাঁ জিন্দাকে আদর্শ মডেল গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সে স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। জিন্দা আজ রূপগঞ্জের মডেল গ্রাম হিসেবে ¯ী^কৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি জিন্দা পার্কের কারনে জিন্দার সুনাম ছড়িয়ে পরেছে সারা দেশে।

এছাড়া যেতে পারেন ইউসুফগঞ্জ উপশহর এলাকায়। বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট ছোট টিলা, সমতল ভূমি, শালবন,কাঠাল বাগান। সব মিলিয়ে কি বিচিত্র এখানকার রূপ। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্যে নিঃসন্দেহে আপনি অভিভূত হবেন। মনে হবে অসংখ্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্ম যেন এ এলাকায়। আর তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়ায় রযেছে আগেকার দিনের রাজাবাদশা,জমিদার ও সওদাগরদের মতো প্রায় ১৫টি বজরা ও ময়ূরপঙ্খি নৌকা। এগুলো দিয়ে শান্ত শীতলক্ষা নদীতে দিনভর ভ্রমর করতে পারবেন। যেতে পারেন কাঞ্চনের মশারি পল্লী কিংবা নোয়াপাড়ার জামদানী পল্লীতে। এখানকার কারিগরদের তৈরী কাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সব মিলিয়ে এই শীতে ১ দিনের জন্য সময় করে বেড়িয়ে পরতে পারেন রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে । - See more at: Click This Link পূর্বাচল উপশহরের জিন্দা গ্রামে বিশাল এলাকার উপর গড়ে তোলা হয়েছে জিন্দা নামের এই পার্কটি। অপস নামে একটি সামাজিক সংগঠনের অর্থায়নে এ পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। টিলা আর লেক বেষ্টিত এ পার্কের ভেতরে আছে দ্বি- পুকুর। লেকে নৌকায় চড়ে ভ্রমনের সুযোগ। পার্কের ভেতরেই রয়েছে মার্কেট সেখানে সব ধরনের কেনাকাটা করতে পারে দর্শনার্থীরা। আছে লাইব্রেরী, ক্যান্টিন, প্রাণী জগত। পার্কের ৫০ ভাগ জুড়ে আছে লেক। লেকের পাড়ে ফুলের বাগানে নিরিবিরি চুটিয়ে আড্ডা দেবার মত জায়গা রয়েছে। এখানকার লাভ লেক প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। পুরো পার্কে পুকুর লেক ছাড়া রয়েছে ঘন সবুজ অরণ্যে ঘেরা ছোট বড় টিলা। পার্কে আছে বাংলো, রেস্টুরেন্ট,স্লিপার,দোলনা। আছে সবুজ ঘাষে ঢাকা শিশুদের খেলার মাঠ। লেকময় ঘুরে বেড়ানোর জন্য ১০ টি নৌকা রয়েছে। আছে চিকিৎসার জন্য ফ্রি ক্লিনিক। নিরাপত্তা ও সেবার জন্য রয়েছে একঝাক তরুন তরুনী। যারা সর্বক্ষন দর্শনার্থীদের সেবায় নিয়োজিত। শুটিং ও পিকনিকের এক অনন্য স্থান জিন্দা পার্ক । রূপগঞ্জের জিন্দা গ্রামের ৫ প্রতিভাবান কিশোর এক যুগ আগে জিন্দা গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে অপস নামে এক সেবামূলক সামাজিক সমিতি চালু করে। এই কিশোররা স্বপ্ন দেখেনি স্বর্নকমল বানানোর; স্বপ্ন দেখেনি বিদেশে পাড়ি জমানোর। তারা স্বপ্ন দেখেছে হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের। তাদের স্বপ্ন ছিল একটাই অজোগাঁ জিন্দাকে আদর্শ মডেল গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সে স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। জিন্দা আজ রূপগঞ্জের মডেল গ্রাম হিসেবে ¯ী^কৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি জিন্দা পার্কের কারনে জিন্দার সুনাম ছড়িয়ে পরেছে সারা দেশে।

এছাড়া যেতে পারেন ইউসুফগঞ্জ উপশহর এলাকায়। বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট ছোট টিলা, সমতল ভূমি, শালবন,কাঠাল বাগান। সব মিলিয়ে কি বিচিত্র এখানকার রূপ। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্যে নিঃসন্দেহে আপনি অভিভূত হবেন। মনে হবে অসংখ্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্ম যেন এ এলাকায়। আর তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়ায় রযেছে আগেকার দিনের রাজাবাদশা,জমিদার ও সওদাগরদের মতো প্রায় ১৫টি বজরা ও ময়ূরপঙ্খি নৌকা। এগুলো দিয়ে শান্ত শীতলক্ষা নদীতে দিনভর ভ্রমর করতে পারবেন। যেতে পারেন কাঞ্চনের মশারি পল্লী কিংবা নোয়াপাড়ার জামদানী পল্লীতে। এখানকার কারিগরদের তৈরী কাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সব মিলিয়ে এই শীতে ১ দিনের জন্য সময় করে বেড়িয়ে পরতে পারেন রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে । - See more at: Click This Link

রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের জিন্দা গ্রামে বিশাল এলাকার উপর গড়ে তোলা হয়েছে জিন্দা নামের এই পার্কটি। অপস নামে একটি সামাজিক সংগঠনের অর্থায়নে এ পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। টিলা আর লেক বেষ্টিত এ পার্কের ভেতরে আছে দ্বি- পুকুর। লেকে নৌকায় চড়ে ভ্রমনের সুযোগ। পার্কের ভেতরেই রয়েছে মার্কেট সেখানে সব ধরনের কেনাকাটা করতে পারে দর্শনার্থীরা। আছে লাইব্রেরী, ক্যান্টিন, প্রাণী জগত। পার্কের ৫০ ভাগ জুড়ে আছে লেক। লেকের পাড়ে ফুলের বাগানে নিরিবিরি চুটিয়ে আড্ডা দেবার মত জায়গা রয়েছে। এখানকার লাভ লেক প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। পুরো পার্কে পুকুর লেক ছাড়া রয়েছে ঘন সবুজ অরণ্যে ঘেরা ছোট বড় টিলা। পার্কে আছে বাংলো, রেস্টুরেন্ট,স্লিপার,দোলনা। আছে সবুজ ঘাষে ঢাকা শিশুদের খেলার মাঠ। লেকময় ঘুরে বেড়ানোর জন্য ১০ টি নৌকা রয়েছে। আছে চিকিৎসার জন্য ফ্রি ক্লিনিক। নিরাপত্তা ও সেবার জন্য রয়েছে একঝাক তরুন তরুনী। যারা সর্বক্ষন দর্শনার্থীদের সেবায় নিয়োজিত। শুটিং ও পিকনিকের এক অনন্য স্থান জিন্দা পার্ক । রূপগঞ্জের জিন্দা গ্রামের ৫ প্রতিভাবান কিশোর এক যুগ আগে জিন্দা গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে অপস নামে এক সেবামূলক সামাজিক সমিতি চালু করে। এই কিশোররা স্বপ্ন দেখেনি স্বর্নকমল বানানোর; স্বপ্ন দেখেনি বিদেশে পাড়ি জমানোর। তারা স্বপ্ন দেখেছে হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের। তাদের স্বপ্ন ছিল একটাই অজোগাঁ জিন্দাকে আদর্শ মডেল গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সে স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। জিন্দা আজ রূপগঞ্জের মডেল গ্রাম হিসেবে ¯ী^কৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি জিন্দা পার্কের কারনে জিন্দার সুনাম ছড়িয়ে পরেছে সারা দেশে।

এছাড়া যেতে পারেন ইউসুফগঞ্জ উপশহর এলাকায়। বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট ছোট টিলা, সমতল ভূমি, শালবন,কাঠাল বাগান। সব মিলিয়ে কি বিচিত্র এখানকার রূপ। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্যে নিঃসন্দেহে আপনি অভিভূত হবেন। মনে হবে অসংখ্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্ম যেন এ এলাকায়। আর তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়ায় রযেছে আগেকার দিনের রাজাবাদশা,জমিদার ও সওদাগরদের মতো প্রায় ১৫টি বজরা ও ময়ূরপঙ্খি নৌকা। এগুলো দিয়ে শান্ত শীতলক্ষা নদীতে দিনভর ভ্রমর করতে পারবেন। যেতে পারেন কাঞ্চনের মশারি পল্লী কিংবা নোয়াপাড়ার জামদানী পল্লীতে। এখানকার কারিগরদের তৈরী কাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সব মিলিয়ে এই শীতে ১ দিনের জন্য সময় করে বেড়িয়ে পরতে পারেন রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে । - See more at: Click This Link
ঢাকার খুব কাছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের জিন্দা গ্রামে বিশাল এলাকার উপর গড়ে তোলা হয়েছে জিন্দা নামের এই পার্কটি। অপস নামে একটি সামাজিক সংগঠনের অর্থায়নে এ পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। টিলা আর লেক বেষ্টিত এ পার্কের ভেতরে আছে দ্বি- পুকুর। লেকে নৌকায় চড়ে ভ্রমনের সুযোগ। পার্কের ভেতরেই রয়েছে মার্কেট সেখানে সব ধরনের কেনাকাটা করতে পারে দর্শনার্থীরা। আছে লাইব্রেরী, ক্যান্টিন, প্রাণী জগত। পার্কের ৫০ ভাগ জুড়ে আছে লেক। লেকের পাড়ে ফুলের বাগানে নিরিবিরি চুটিয়ে আড্ডা দেবার মত জায়গা রয়েছে। এখানকার লাভ লেক প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। পুরো পার্কে পুকুর লেক ছাড়া রয়েছে ঘন সবুজ অরণ্যে ঘেরা ছোট বড় টিলা। পার্কে আছে বাংলো, রেস্টুরেন্ট,স্লিপার,দোলনা। আছে সবুজ ঘাষে ঢাকা শিশুদের খেলার মাঠ। লেকময় ঘুরে বেড়ানোর জন্য ১০ টি নৌকা রয়েছে। আছে চিকিৎসার জন্য ফ্রি ক্লিনিক। নিরাপত্তা ও সেবার জন্য রয়েছে একঝাক তরুন তরুনী। যারা সর্বক্ষন দর্শনার্থীদের সেবায় নিয়োজিত। শুটিং ও পিকনিকের এক অনন্য স্থান জিন্দা পার্ক । রূপগঞ্জের জিন্দা গ্রামের ৫ প্রতিভাবান কিশোর এক যুগ আগে জিন্দা গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে অপস নামে এক সেবামূলক সামাজিক সমিতি চালু করে। এই কিশোররা স্বপ্ন দেখেনি স্বর্নকমল বানানোর; স্বপ্ন দেখেনি বিদেশে পাড়ি জমানোর। তারা স্বপ্ন দেখেছে হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের। তাদের স্বপ্ন ছিল একটাই অজোগাঁ জিন্দাকে আদর্শ মডেল গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সে স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। জিন্দা আজ রূপগঞ্জের মডেল গ্রাম হিসেবে সীকৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি জিন্দা পার্কের কারনে জিন্দার সুনাম ছড়িয়ে পরেছে সারা দেশে।


এছাড়া যেতে পারেন ইউসুফগঞ্জ উপশহর এলাকায়। বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট ছোট টিলা, সমতল ভূমি, শালবন,কাঠাল বাগান। সব মিলিয়ে কি বিচিত্র এখানকার রূপ। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্যে নিঃসন্দেহে আপনি অভিভূত হবেন। মনে হবে অসংখ্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্ম যেন এ এলাকায়। আর তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়ায় রযেছে আগেকার দিনের রাজাবাদশা,জমিদার ও সওদাগরদের মতো প্রায় ১৫টি বজরা ও ময়ূরপঙ্খি নৌকা। এগুলো দিয়ে শান্ত শীতলক্ষা নদীতে দিনভর ভ্রমর করতে পারবেন। যেতে পারেন কাঞ্চনের মশারি পল্লী কিংবা নোয়াপাড়ার জামদানী পল্লীতে। এখানকার কারিগরদের তৈরী কাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সব মিলিয়ে এই শীতে ১ দিনের জন্য সময় করে বেড়িয়ে পরতে পারেন রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে ।

যেভেবে যেবেন:
কুরিল ফ্লাইওভার থেকে ৩০০ ফিট হয়ে পুর্বাচল পেরিয়ে বায়ে ঢাকা সিটি বাইপাচ দিয়ে ১ কি:মি: সামনে গেলে হাতের ডান পাশে জিন্দা পার্ক। কুরিল ফ্লাইওভারের নিচে কার অথবা সি এন জি পাওয়া যায়, লোকাল ট্রিপ কান্চন পর্যন্ত ৪০-৫০ টাকা , তারপর অট ১০ টাকা

বি:দ্র : ফেরার পথে ৩০০ ফিট রোডের পাসে মিষ্টি পাওয়া যায় -অবস্যই খাবেন


Contract Address - Zinda Park , Dhaka eastern by pass, Rupgonj , Narayangonj

Phone : Mr. Shahin- 01716260908

01816070377, 17175025083

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×