পাঁচ বছর আগেও দেশজুড়ে শফিক রেহমানের সম্পর্কে চালু ছিল স্বৈরাচার কতর্ৃক নিগৃহীত হওয়ার গল্প। স্বৈরাচারের পেয়াদারা তাকে জোর করে উড়োজাহাজে তুলে দিয়ে দেশছাড়া করেছে। আর দেশমুখো হতে পারেননি তিনি। একেবারে স্বৈরাচার নিপাত হলে তার পা পড়লো স্বদেশে। কিন্তু সেই গল্প এখন মনে রেখেছে অল্প লোকেই। গোল্ডফিশের স্মৃতিশক্তি জনগণের, তারা অত মহাভারতমার্কা গল্প মাথায় রাখতে পারে না। বিদেশ থেকে দেশে আসার উড়োজাহাজে চড়তে পারতেন না যে শফিক রেহমান সেই তাকেই বিদেশে যাওয়ার উড়োজাহাজ থেকে দেশের মানুষেরা টেনে নামিয়ে আনে। কি এক ভীষণ পালাবদল? দিন যায় মানলাম তবে এরকম করে যাবে?
পর্দায় গোলাপ দিতেন বলে কর্মচারিদের চাকুরিচু্যতির নোটিশ দেয়া যাবে না এমন কথা কেউ বলেনি। কিন্তু চাকুরি খেলে ক'মাস বেকারত্বের দায়িত্বও নিতে হয়। তবে কি চুক্তিঅনুযায়ী অর্থকড়ি দেয়ার দায়ভার থেকে বাঁচতেই তার এই উড়াল প্রচেষ্টা? আদাবরের বাবু ও পুলিশেরা তাই সন্দেহ করে। হতে পারে হিংসুটে লোকজন। তিনি কত গোলাপ দিলেন, বাংলা পত্রিকাকে দিলেন ইংরেজি শব্দপ্রধান ম্যাগাজিন, জাতিকে দিলেন ঋ-ফলা। কিন্তু ওতো দান-খয়রাত কে মনে রাখে?
তারা চায় চুক্তি অনুযায়ী বকেয়া।
হায় হায় দিন যায়, কিন্তু একরকম যায় না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

