রেজওয়ানা সিদ্দিকা ইমু: আমাদেরা বাংলাদেশী আর এই বাংলাদেশের জাতীয় ফলের নাম কাঁঠাল। বহুবিদ পুষ্টিগুণে ভরপুর এ কাঁঠাল। আর এই কাঁঠাল অনেকেরই প্রিয় খাবার তালিকায় রয়েছে। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা কাঁঠাল একদমই পছন্দ করেন না।
এই ফলটি পাকাই সাধারণত সকলে খেয়ে থাকে। এছাড়াও তরকারী হিসেবেও যে কাঁচা কাঁঠাল বেশ সুস্বাদু তা খুব কম লোকের জানা। গরুর মাংস আর কাঁচা কাঁঠাল রান্না শুধু কাঁঠালের মৌসুমে খাওয়া হয়। তাই চটপট জেনে নিন মাংস দিয়ে কাঁচা কাঁঠাল রান্নার প্রণালী।
উপকরনঃ
ছোট কাঁচা কাঁঠাল অর্ধেক বিচিসহ, ১ কেজি গরুর মাংস, আদা বাটা ১ চা-চামচ, পেয়াজ বাটা আধা কাপ, পেয়াজ কুচি ২টি, রসুনে কোয়া ৫ টি, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, গরুর মাংসের মসলা পরিমান মত, গোটা গোটা দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ ৩-৪ টা করে, তেজপাতা, লবণ পরিমান মত, হলুদের গুড়া ২ চা- চামচ, মরিচের গুড়া ৪ চা- চামচ, কাঁচা মরিচের ফালি ৫-৬ টি ও পরিমান মত সয়াবিনের তেল।
কিভাবে তৈরী করবেনঃ প্রথমে কাঁঠালের উপরের খোসা ও বিচির খোসা ফেলে দিয়ে মাঝারি সাইজের টুকরা করুন। টুকরা করা কাঁঠাল ভাল করে ধুয়ে ২-৩ মিনিট গরম পানিতে ভাপ দিন। হালকা সিদ্ধ বা ভাপ দেওয়া হয়ে গেলে গরম পানি থেকে কাঁঠাল উঠিয়ে অন্য পাত্রে রাখুন।
এবার অন্য একটি পাত্রে পরিমান মত সয়াবিনের তেল দিয়ে পেয়াজ কুচি, রসুনের কোয়া, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে হালকা বাদামী রঙ করে ভাজুন। তারপর কাঁচা মরিচের ফালি বাদে উপরের সব মসলা ও পানি দিয়ে প্রায় ৫ মিনিট কষিয়ে নিন। যখন মসলা থেকে তেল উপরের দিকে উঠে যাবে তখন মসলার মধ্যে গরুর মাংস ছেড়ে দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন।
৫ মিনিট পর পরিমান মত পানি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে মাংস সিদ্ধ করে নিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলার আঁচ কমিয়ে ভাপ দেওয়া কাঠাল দিয়ে ৫ মিনিটের মত আঁচ দিন। তারপর চুলা থেকে নামানোর ১ মিনিট আগে কাঁচা মরিচ ফালি ও ভাজা জিরার গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
এবার গরম গরম কাঁচা কাঠাল দিয়ে গরুর মাংস রান্না ভাত বা রুটির সাথে পরিবেশন করুনূত্র ।