১ নভেম্ভর ২০১২, নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আর্মস্টার্মডার্মের কাছাকাছি জায়গায় গ্রামটা। গ্রামের নাম টিলিগেট। সাজানো গোছানো বাড়ীটার দেয়ালে ঝুলছে টিম রিবেরিংক এর ছবি। কয়েকদিন পরের কথা । সেই ছবিগুলো ঠিক সেভাবেই ঝুলছে। ছবিগুলোর সাথে ২০ বছর বয়সী টিমের একটা চিঠি ঝুলছে। বাবা মাকে লেখা তার শেষ চিঠি।
“ প্রিয়, মা ও বাবা।
আমার জীবনের সময়টা ছিলো অদ্ভূদ, অপব্যায়িত, অপমানিত আর নিপিড়ীত। কিন্তু তোমরা ছিলে চমৎকার দুজন মানুষ। আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমার উপর রাগ করে থেকো না।
টিম। ”
টিমের স্বপ্ন ছিলো সে ইতিহাসে শিক্ষক হবে। নভেম্বরের এক তারিখে টিম আত্মহত্যা করে। কারণ স্কুলে তাকে গে বলে খেপানো হতো। টিমের শোকাহত বাবা মা জানান, এই ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা ছিলো না। স্কুলে যে টিম মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এটা তারা বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেননি।
“ টিম দূর্বল বা আবেগী ছিলো না। সে শক্ত মনের ছেলে ছিলো । আমরা তাকে সেভাবেই জানি এবং আমরা চাই পৃথিবী তাকে সেভাবেই জানুক ।”
তারা এখন পুলিশী তদন্ত চান। ২০১০ ও ২০১১ সালে অনলাইনে টিমের নামে যেসব বুলিং হোমোফোবিক মেসেজ পোস্ট করা হয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
ঘৃণা! ঘৃণার কারণে ঝরে গেলো একটি তাজা প্রাণ। আমরা এই ধরণের মৃত্যু যেন আর না ঘটে সেই কামনা করি। সাইবার জগৎ যাতে মিথ্যা প্রচারণার প্লাটফর্ম না হতে পারে সেদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে।