সব ঝালেমা কেন জানি আমার সাথেই হয়। আর সাথে মনের খায়েশটা বাইড়া যাইতে থাকে, ঝালেমার হোতাগুলান রে পিডাইয়া আমসত্ত্ব বানানের খায়েশ! কি করুম, ঘটনাগুলা ঘটে যে সেইরামই!
ঘটনা একঃ
আমাগো ভার্সিটির পাশে অনেকগুলা টং দোকান আছে। এই দোকানগুলায় ব্যপক সব খানা-দানা পাওয়া যায়! পাকোড়া, চপ, সিঙ্গাড়া, পুরি, তেহারী, পরোটা সহ আরো অনেক কিছু। যাই হোক, এই টং গুলিতে ২৫ টাকায় “চিকিন ফ্রাই” নামে একখান বস্তু কিনতে পাওয়া যায়! কৌতুহল বশঃত এই বস্তু আমি কিন্যা খাওয়ার চেষ্টা করতেসিলাম। কেবল এক কামড় খাইসি, ওমনি পিছন থেইকা কি য্যান একটা আইসা আমার সাথে ধাক্কা খাইল, আর আমার হাত থেইকা “চিকিন ফ্রাই”টা মাটিতে পইড়া গড়াগড়ি খাইতে লাগল। আমি পিছনে ঘুইরা দেখি, একজন এক্সিকিউটিভ টাইপের আদমী খাড়ায়া আসে, আর ক্যলায়া ভ্যাবলাকান্ত টাইপ হাসি দিতাসে। লুকটা আমারে কইল, ভাই, আপনার অনেক বড় ক্ষতি কইরা ফেললাম! আমি দেখলাম গুরুতর কিছু না, তাই কইলাম, না না, এ আর এমন কি? সমস্যা নাই। লুকটা কয়েকবার ঐ একই কথা রিপিট করল। তারপর কয়ঃ আমি আপনার বিলটা দিয়ে দেই? আমি আবার খুব ভদ্র পুলা
ঘটনা দুইঃ
ঘটনাটা পাচ-ছয় মাস আগের। ভার্সিটি ছুটি হওয়ার পর এক দোস্তের লগে কাকলীর মোড়ের ফুটপাথ (বাসস্ট্যন্ডের অন্য পাশে) দিয়া হাটতেসিলাম। এক লুক হঠাৎ আইসা আমাগো পাকড়াও করার মত কইরা কইলঃ ভাইয়া আসেন আমাদের নতুন হোটেল হইসে, হোটেল ঢাকা ইন (নাম কইয়া দিলাম, ভোলাভালা কেউ যাতে আমার মত আবুল না সাজেন, সেইজন্য। ওই লাইন ধইরা যত হোটেল আছে, সবগুলা থেইকা সাবধান!) খুব সুন্দর কামরা, আধুনিক সব ব্যবস্থা আছে। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। আসেন, দেখে যান, বইলা টানাটানি শুরু করল। আমরা খুব ভদ্র ভাবে রিফিউজ করতেসিলাম, কিন্তু লুকটা ছাড়ার নামই নেয় না। শেষ-মেষ না পাইরা আমাগো নিজের ভিজিটিং কার্ডটা গছায়া দিতে দিতে আমার দোস্তের কানে কানে কইলঃ ভাইয়া, ভাল ভাল মেয়ে আছে কিন্তু! কলেজ, ইউনিভার্সিটির মেয়ে। কার্ডটা অই শ্লার সামনেই ছিড়া কুটিকুটি করলাম। ইচ্ছা করতেসিল ব্যাডারে কইষা একটা লাগাই...!
আম্নেরা কিতা, বালানি?
খালি পিডাইতে ইচ্ছা করে!
খালি পিডাইতে ইচ্ছা করে! – ২
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




