দেখতে দেখতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। ৬০ এর দশকে ফৌজদারহাটে ঝড়ে আটকে যাওয়া একটি জাহাজ ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে স্থানীয় উদ্দ্যোক্তারা নিজেদেরই অজান্তে যে শিল্পের সূচনা করেছিল কালের বিবর্তনে আজ তা দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়ে সারা বিশ্বে আলোচিত। কিন্তু বিগত এক দশকে এ শিল্পে প্রবেশ করেছে বেশ কিছু রাঘববোয়াল। যাদের কালো থাবা এ শিল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করার
পাশাপাশি দিনদিন হুমকির মুখে ঠেলে দিলেও এদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউ!
জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এখন সীতাকুণ্ডে। আর প্রক্ষান্তরে বর্তমানে দেশের একমাত্র ভাসমান লৌহখনিও এটিই। আর তাই এ শিল্পের উপর নির্ভর করেই বর্তমানে চলছে এদেশের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড। সময়ের সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পপতিরাও এ শিল্পে বিনিয়োগ করেছে হাজার হাজার কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন দেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রায় ১শ ইয়ার্ডে এক সঙ্গে জাহাজ ভাঙ্গা চলছে। এখন সরকার প্রতিবছর এখান থেকে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করবে। উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট ১৪৯টি ইয়ার্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে অনুমোদিত ইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে একসাথে ১৫০টি ইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শুরু হবে। আর তা হলে সরকার প্রতিবছর রাজস্ব আদায় করবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এতেই বোঝা যায়, এ শিল্প দেশের অর্থনীতিকে দিন দিন কতটা সমৃদ্ধ করছে। এদিকে শিল্পটি দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত হলেও বিগত একদশকে বেশ কিছু রাঘববোয়াল ছলে বলে কৌশলে এ শিল্পে প্রবেশ করে আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে উপকুলীয় সরকারী বনের হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন, জোরপূর্বক সরকারী খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা জবর দখল প্রভৃতি অপকর্ম ঘটিয়ে সমগ্র জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে করে তুলেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা বারবার অপকর্ম ঘটানোয় সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পটির ভাবমূর্তি দিনদিন ক্ষুন্ন হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও নেপথ্যে গডফাদারদের কারণে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউই!
চারিদিকের চাপ সামলাতে না পেরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তো দূরের কথা যতটা পারেন এসব রাঘববোয়ালদের এড়িয়ে চলেন। অন্যদিকে প্রশাসন বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলেও মিডিয়া এধরণের অপরাধগুলো নিয়ে সোচ্চার হবার কারণে সা¤প্রতিক সময়ে দেশের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সহ দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা একাধিকবার সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। এসময় তারা শিপইয়ার্ড দেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প বলে উল্লেখ করলেও শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারী গাছ কাটা সহ যেকোন ধরণের অপরাধের নেপথ্যে যে বা যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শুধু মন্ত্রী বা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাই নয়, রাঘববোয়াল শিপব্রেকার্সদের বেপরোয়া কর্মকান্ড নিয়ে সারাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও ব্যাপক সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ফলে বিশ্বের কাছে এ শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে হতে ক্রমশ হুমকিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে এ শিল্পটি।
অন্যদিকে সা¤প্রতিক সময়ে শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে যেসব বেপরোয়া কর্মকান্ড চলছে সে প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জাফর আলমের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, বিগত তত্বাবধায়ক সরকার শিপইয়ার্ড নির্মাণ উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর বেশ কিছু ব্যক্তি কোন আইনের তোয়াক্কা না করে শিপইয়ার্ড নির্মাণ শুরু করে। এরাই জবরদখল-বৃক্ষ নিধন সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে শিপ ব্রেকিং শিল্পকে বিতর্কিত করে তুলেছে। অজ্ঞাত কোন কারণে এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এসব অপরাধ বারবার বাড়তে থাকলেও এরা বিএসবিএর নিয়ন্ত্রনাধীন না হওয়ায় তাদের কিছু করার নেই।
দেখতে দেখতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। ৬০ এর দশকে ফৌজদারহাটে ঝড়ে আটকে যাওয়া একটি জাহাজ ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে স্থানীয় উদ্দ্যোক্তারা নিজেদেরই অজান্তে যে শিল্পের সূচনা করেছিল কালের বিবর্তনে আজ তা দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়ে সারা বিশ্বে আলোচিত। কিন্তু বিগত এক দশকে এ শিল্পে প্রবেশ করেছে বেশ কিছু রাঘববোয়াল। যাদের কালো থাবা এ শিল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করার
পাশাপাশি দিনদিন হুমকির মুখে ঠেলে দিলেও এদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউ!
জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এখন সীতাকুণ্ডে। আর প্রক্ষান্তরে বর্তমানে দেশের একমাত্র ভাসমান লৌহখনিও এটিই। আর তাই এ শিল্পের উপর নির্ভর করেই বর্তমানে চলছে এদেশের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড। সময়ের সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পপতিরাও এ শিল্পে বিনিয়োগ করেছে হাজার হাজার কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন দেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রায় ১শ ইয়ার্ডে এক সঙ্গে জাহাজ ভাঙ্গা চলছে। এখন সরকার প্রতিবছর এখান থেকে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করবে। উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট ১৪৯টি ইয়ার্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে অনুমোদিত ইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে একসাথে ১৫০টি ইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শুরু হবে। আর তা হলে সরকার প্রতিবছর রাজস্ব আদায় করবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এতেই বোঝা যায়, এ শিল্প দেশের অর্থনীতিকে দিন দিন কতটা সমৃদ্ধ করছে। এদিকে শিল্পটি দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত হলেও বিগত একদশকে বেশ কিছু রাঘববোয়াল ছলে বলে কৌশলে এ শিল্পে প্রবেশ করে আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে উপকুলীয় সরকারী বনের হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন, জোরপূর্বক সরকারী খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা জবর দখল প্রভৃতি অপকর্ম ঘটিয়ে সমগ্র জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে করে তুলেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা বারবার অপকর্ম ঘটানোয় সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পটির ভাবমূর্তি দিনদিন ক্ষুন্ন হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও নেপথ্যে গডফাদারদের কারণে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউই!
চারিদিকের চাপ সামলাতে না পেরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তো দূরের কথা যতটা পারেন এসব রাঘববোয়ালদের এড়িয়ে চলেন। অন্যদিকে প্রশাসন বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলেও মিডিয়া এধরণের অপরাধগুলো নিয়ে সোচ্চার হবার কারণে সা¤প্রতিক সময়ে দেশের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সহ দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা একাধিকবার সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। এসময় তারা শিপইয়ার্ড দেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প বলে উল্লেখ করলেও শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারী গাছ কাটা সহ যেকোন ধরণের অপরাধের নেপথ্যে যে বা যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শুধু মন্ত্রী বা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাই নয়, রাঘববোয়াল শিপব্রেকার্সদের বেপরোয়া কর্মকান্ড নিয়ে সারাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও ব্যাপক সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ফলে বিশ্বের কাছে এ শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে হতে ক্রমশ হুমকিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে এ শিল্পটি।
অন্যদিকে সা¤প্রতিক সময়ে শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে যেসব বেপরোয়া কর্মকান্ড চলছে সে প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জাফর আলমের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, বিগত তত্বাবধায়ক সরকার শিপইয়ার্ড নির্মাণ উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর বেশ কিছু ব্যক্তি কোন আইনের তোয়াক্কা না করে শিপইয়ার্ড নির্মাণ শুরু করে। এরাই জবরদখল-বৃক্ষ নিধন সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে শিপ ব্রেকিং শিল্পকে বিতর্কিত করে তুলেছে। অজ্ঞাত কোন কারণে এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এসব অপরাধ বারবার বাড়তে থাকলেও এরা বিএসবিএর নিয়ন্ত্রনাধীন না হওয়ায় তাদের কিছু করার নেই।
পর্ব ২
পর্ব ১
দেখতে দেখতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। ৬০ এর দশকে ফৌজদারহাটে ঝড়ে আটকে যাওয়া একটি জাহাজ ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে স্থানীয় উদ্দ্যোক্তারা নিজেদেরই অজান্তে যে শিল্পের সূচনা করেছিল কালের বিবর্তনে আজ তা দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়ে সারা বিশ্বে আলোচিত। কিন্তু বিগত এক দশকে এ শিল্পে প্রবেশ করেছে বেশ কিছু রাঘববোয়াল। যাদের কালো থাবা এ শিল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করার
পাশাপাশি দিনদিন হুমকির মুখে ঠেলে দিলেও এদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউ!
জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এখন সীতাকুণ্ডে। আর প্রক্ষান্তরে বর্তমানে দেশের একমাত্র ভাসমান লৌহখনিও এটিই। আর তাই এ শিল্পের উপর নির্ভর করেই বর্তমানে চলছে এদেশের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড। সময়ের সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পপতিরাও এ শিল্পে বিনিয়োগ করেছে হাজার হাজার কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন দেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রায় ১শ ইয়ার্ডে এক সঙ্গে জাহাজ ভাঙ্গা চলছে। এখন সরকার প্রতিবছর এখান থেকে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করবে। উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট ১৪৯টি ইয়ার্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে অনুমোদিত ইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে একসাথে ১৫০টি ইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শুরু হবে। আর তা হলে সরকার প্রতিবছর রাজস্ব আদায় করবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এতেই বোঝা যায়, এ শিল্প দেশের অর্থনীতিকে দিন দিন কতটা সমৃদ্ধ করছে। এদিকে শিল্পটি দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত হলেও বিগত একদশকে বেশ কিছু রাঘববোয়াল ছলে বলে কৌশলে এ শিল্পে প্রবেশ করে আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে উপকুলীয় সরকারী বনের হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন, জোরপূর্বক সরকারী খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা জবর দখল প্রভৃতি অপকর্ম ঘটিয়ে সমগ্র জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে করে তুলেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা বারবার অপকর্ম ঘটানোয় সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পটির ভাবমূর্তি দিনদিন ক্ষুন্ন হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও নেপথ্যে গডফাদারদের কারণে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউই!
চারিদিকের চাপ সামলাতে না পেরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তো দূরের কথা যতটা পারেন এসব রাঘববোয়ালদের এড়িয়ে চলেন। অন্যদিকে প্রশাসন বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলেও মিডিয়া এধরণের অপরাধগুলো নিয়ে সোচ্চার হবার কারণে সা¤প্রতিক সময়ে দেশের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সহ দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা একাধিকবার সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। এসময় তারা শিপইয়ার্ড দেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প বলে উল্লেখ করলেও শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারী গাছ কাটা সহ যেকোন ধরণের অপরাধের নেপথ্যে যে বা যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শুধু মন্ত্রী বা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাই নয়, রাঘববোয়াল শিপব্রেকার্সদের বেপরোয়া কর্মকান্ড নিয়ে সারাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও ব্যাপক সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ফলে বিশ্বের কাছে এ শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে হতে ক্রমশ হুমকিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে এ শিল্পটি।
অন্যদিকে সা¤প্রতিক সময়ে শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে যেসব বেপরোয়া কর্মকান্ড চলছে সে প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জাফর আলমের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, বিগত তত্বাবধায়ক সরকার শিপইয়ার্ড নির্মাণ উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর বেশ কিছু ব্যক্তি কোন আইনের তোয়াক্কা না করে শিপইয়ার্ড নির্মাণ শুরু করে। এরাই জবরদখল-বৃক্ষ নিধন সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে শিপ ব্রেকিং শিল্পকে বিতর্কিত করে তুলেছে। অজ্ঞাত কোন কারণে এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এসব অপরাধ বারবার বাড়তে থাকলেও এরা বিএসবিএর নিয়ন্ত্রনাধীন না হওয়ায় তাদের কিছু করার নেই।
দেখতে দেখতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে। ৬০ এর দশকে ফৌজদারহাটে ঝড়ে আটকে যাওয়া একটি জাহাজ ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে স্থানীয় উদ্দ্যোক্তারা নিজেদেরই অজান্তে যে শিল্পের সূচনা করেছিল কালের বিবর্তনে আজ তা দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়ে সারা বিশ্বে আলোচিত। কিন্তু বিগত এক দশকে এ শিল্পে প্রবেশ করেছে বেশ কিছু রাঘববোয়াল। যাদের কালো থাবা এ শিল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করার
পাশাপাশি দিনদিন হুমকির মুখে ঠেলে দিলেও এদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউ!
জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এখন সীতাকুণ্ডে। আর প্রক্ষান্তরে বর্তমানে দেশের একমাত্র ভাসমান লৌহখনিও এটিই। আর তাই এ শিল্পের উপর নির্ভর করেই বর্তমানে চলছে এদেশের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড। সময়ের সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পপতিরাও এ শিল্পে বিনিয়োগ করেছে হাজার হাজার কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন দেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রায় ১শ ইয়ার্ডে এক সঙ্গে জাহাজ ভাঙ্গা চলছে। এখন সরকার প্রতিবছর এখান থেকে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করবে। উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট ১৪৯টি ইয়ার্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে অনুমোদিত ইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে একসাথে ১৫০টি ইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শুরু হবে। আর তা হলে সরকার প্রতিবছর রাজস্ব আদায় করবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এতেই বোঝা যায়, এ শিল্প দেশের অর্থনীতিকে দিন দিন কতটা সমৃদ্ধ করছে। এদিকে শিল্পটি দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত হলেও বিগত একদশকে বেশ কিছু রাঘববোয়াল ছলে বলে কৌশলে এ শিল্পে প্রবেশ করে আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে উপকুলীয় সরকারী বনের হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন, জোরপূর্বক সরকারী খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা জবর দখল প্রভৃতি অপকর্ম ঘটিয়ে সমগ্র জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে করে তুলেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা বারবার অপকর্ম ঘটানোয় সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পটির ভাবমূর্তি দিনদিন ক্ষুন্ন হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও নেপথ্যে গডফাদারদের কারণে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না কেউই!
চারিদিকের চাপ সামলাতে না পেরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তো দূরের কথা যতটা পারেন এসব রাঘববোয়ালদের এড়িয়ে চলেন। অন্যদিকে প্রশাসন বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলেও মিডিয়া এধরণের অপরাধগুলো নিয়ে সোচ্চার হবার কারণে সা¤প্রতিক সময়ে দেশের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সহ দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা একাধিকবার সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। এসময় তারা শিপইয়ার্ড দেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ শিল্প বলে উল্লেখ করলেও শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারী গাছ কাটা সহ যেকোন ধরণের অপরাধের নেপথ্যে যে বা যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শুধু মন্ত্রী বা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাই নয়, রাঘববোয়াল শিপব্রেকার্সদের বেপরোয়া কর্মকান্ড নিয়ে সারাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও ব্যাপক সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ফলে বিশ্বের কাছে এ শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে হতে ক্রমশ হুমকিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে এ শিল্পটি।
অন্যদিকে সা¤প্রতিক সময়ে শিপইয়ার্ড নির্মাণ করতে গিয়ে যেসব বেপরোয়া কর্মকান্ড চলছে সে প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জাফর আলমের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, বিগত তত্বাবধায়ক সরকার শিপইয়ার্ড নির্মাণ উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর বেশ কিছু ব্যক্তি কোন আইনের তোয়াক্কা না করে শিপইয়ার্ড নির্মাণ শুরু করে। এরাই জবরদখল-বৃক্ষ নিধন সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে শিপ ব্রেকিং শিল্পকে বিতর্কিত করে তুলেছে। অজ্ঞাত কোন কারণে এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এসব অপরাধ বারবার বাড়তে থাকলেও এরা বিএসবিএর নিয়ন্ত্রনাধীন না হওয়ায় তাদের কিছু করার নেই।
পর্ব ২
পর্ব ১
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬