somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাফর ইকবাল স্যার সমাচার (পর্ব ৩)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব লেখার সময় বলেছিলাম, ১ম পর্ব না পড়লেও কোন সমস্যা হবে না, কারন যেহেতু লেখার বিষয়বস্তু জাফর ইকবাল স্যার। কিন্তু এই পর্ব লেখার সময়, আমার মনে হচ্ছে, এই পর্ব পড়ার আগে এটলিস্ট আগের যে কোন একটা পর্ব পড়া উচিত। বুদ্ধিমান পাঠকরা ঠিক বের করে ফেলবেন, কেন আমার এরকম মনে হলো।
১ম পর্ব
২য় পর্ব

কাজের কথায় আসি। যারা লাইফে প্রেম-ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে গেছেন, তারা মনে হয় ব্যাপারটা আরো ভালো বুঝতে পারবেন। প্রিয় মানুষটার সামান্য দোষ-ত্রুটি খুব চোখে লাগে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেটা খুব খারাপ ও লাগে। কারন, মানুষটা যে প্রিয়, তার সবকিছুই ভালো হতে হবে, কোন দোষ-ত্রুটি থাকতে পারবে না। এরকম ই আমরা আশা করি, যেটা করা মোটেও ঠিক না। এই ভূমিকাটুকু আমাকে দিতে ই হলো ৩য় পর্ব লেখার সময়।

ভার্সিটিতে ভর্তির অনেক আগে থেকেই জাফর স্যারের কলাম পড়ি এবং বেশ খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ি। ভার্সিটি ভর্তির আগে, স্যার একটা কলাম লিখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে। খুব সুন্দর কলাম ছিলো সেটা। পড়ে খুব ভালো লেগেছিল। এই খানে একটা কথা বলে রাখি, আমার আব্বু নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। তো সেই সুবাদে অনেক আগে থেকেই জানতাম, শিক্ষক রাজনীতি ব্যাপারগুলা। ছোট বেলা থেকেই দেখেছি, আব্বু কখনো কোন পলিটিকাল মিটিং এ যেত না। শিক্ষক সমিতিতে দাঁড়ানোর জন্য কত টিচার যে আব্বুকে রিকোয়েস্ট করত, কিন্তু আব্বু কখনো সেটা করে নাই। যাইহোক, যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, তখন ধরেই নিয়েছি, আর যাই হোক, জাফর স্যার তো আর এইসব শিক্ষক রাজনীতিতে নাই। স্যার নিজে যেখানে কলাম লিখে এইসব শিক্ষক রাজনীতির খারাপ দিক নিয়ে, এরকম ধারনা করাটা অমূলক না। কিন্তু বিধিবাম। খুব অল্প সময়ের মাঝেই বুঝতে শুরু করলাম, প্রথম আলোর সেই কলাম লেখক জাফর ইকবাল,আর আমাদের স্যার জাফর ইকবাল - এক না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এরকম যে কোন ছাত্রকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, জাফর স্যার কোন দলের সাপোর্টার?, সবাই এক সুরে একটা দলের কথা ই বলবে। কারো কোন ভুল হবে না। তবে, আমি এটাতে কোন দোষ খুজে পাই না, কারন একটা মানুষের যে কোন একটা দলকে পছন্দ হতেই পারে। এটা কোন সমস্যা না। কিন্তু সেই একই ছাত্রগুলোকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আচ্ছা জাফর স্যার কি শিক্ষক রাজনীতির সাথে জড়িত? সবাই বলবে, না তো। কিন্তু..............এই বলেই থেমে যাবে। কিন্তু যারা ভার্সিটিতে একটু চোখ-কান খোলা রেখে চলাফেরা করে, তারা সবাই জানে আসল ঘটনা কি। জাফর স্যার যে শুধু একটা বিশেষ দলের সমর্থক শিক্ষকদের ভার্চুয়াল লীডার, তা তো না, স্যার ঐ বিশেষ দলটির ছাত্র সমাজের ও লীডার। এতো বড় কথা বলার জন্য শুধু বুকের পাটা থাকলে ই হয় না, কিছু প্রমানের ও দরকার। সেটা ও আছে। ঐ বিশেষ দলের কয়েক জন মধ্যম সারির নেতার সাথে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক। ওরাই বলেছে, যেই জাফর স্যারের মোবাইলে সারাদিন কল দিলেও স্যার ধরেন না, সেই জাফর স্যারের সঙ্গে আমরা কথা বলি মোবাইলে। একবার তো আমার সামনেই এক পলিটিকাল ছেলে ফোন দিয়ে কথা বলেছে স্যারের সঙ্গে। সে অবশ্য অন্য ডিপার্টমেন্টের । যাইহোক, আসলে আরো অনেক কথাই জানি, কিন্তু সেগুলো লিখেতে ইচ্ছে করছে না। কারনটা খুব পরিষ্কার - স্যার আমার অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ।

এতটুকি লেখার পরে, আমার মনে হচ্ছে, আসলে স্যারের সম্পরকে এই কথা গুলো না বললেই ভালো হত। প্রিয় মানুষ হলে এই এক সমস্যা

বিঃদ্রঃ আমি খুব ই দুঃখিত, এরকম একটা অসম্পূর্ন লেখার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৩
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×