জামায়াত কোনো ইসলামি দল নয়। এই জামায়াতে ইসলামী মানে হচ্ছে, ‘যমের হাতে ইসলাম।’ ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে তারা ইসলামকে ব্যবহার করছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা এই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বসে আছে। কেউ জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁকে আওয়ামী লীগ ও ভারতের দালাল আখ্যা দেয় জামায়াতিরা। হাফেজ্জি হুজুর যখন রাজনীতিতে নেমেছিলেন, তখন তারা তাঁকেও ভারতের দালাল বলেছিল।
আজ শুক্রবার বিকেলে নগরের পল্টন ময়দানে ওলামা-মাশায়েখ সংহতি পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে দেশের প্রখ্যাত আলেমরা এসব কথা বলেন।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ, সন্ত্রাস ও উগ্র জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি আদায় এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন না করার ওয়াদা রক্ষার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সারা দেশ থেকে আলেম-ওলামারা সমাবেশে যোগ দেন। তাঁরা জামায়াতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। সমাবেশ উপলক্ষে পল্টন ময়দানের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ। আশপাশের ভবনগুলোতেও পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
সমাবেশের প্রধান বক্তা সংহতি পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ বলেন, একাত্তরে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে, তাদের প্রায় সবাইকে বর্তমানে জামায়াতের রাজনীতির শীর্ষ পদে দেখা যাচ্ছে। আজ সারা দেশে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি উঠেছে। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের গ্রেপ্তার দাবি করেন।
মাওলানা মাসউদ বলেন, জামায়াতের বুনিয়াদ কোরআন-হাদিস নয়। বিভিন্ন রকম আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তাদের বুনিয়াদ শক্ত করছে। এগুলো বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ছড়াতে তারা যে বইগুলো বিতরণ করছে, সেগুলোও নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ-মাদ্রাসার কমিটিতেও এরা ঢুকে পড়েছে। এগুলো থেকেও এদের বের করে দিতে হবে।
খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আহমদউল্লাহ আশরাফ বলেন, ‘জামায়াত মানে হচ্ছে যমের হাতে ইসলাম। এদের যেকোনোভাবে মোকাবিলা করা দরকার।’
ইসলামী আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ‘জামায়াতের কথা ও কাজে কোনো মিল নেই। তাদের দলের নেতৃত্বে কোনো আলেম নেই। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ইসলামকে ব্যবহার করছে।’ সূত্র: প্রথম আলো
আপনার মতামত কি ?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




