বিশ্ব আবার নতুন একটি সংকটের মুখোমুখি। আরব বসন্ত যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন বসন্তের আশা নিয়ে এসেছিলো তা আজ শীতের রুক্ষতার রুপ নিয়েছে। আরব বসন্তের সুতিকাগার তিউনিসিয়ায় রাশিদ ঘানুচির মত নির্লোভ নেতা থাকায় মোটামুটি শান্তির পরিবেশ বজায় থাকলেও বাকি দেশগুলোতে শান্তি এখনো অধরা। মিশর আবার ফিরে গেছে স্বৈরশাসনে, লিবিয়া গৃহযুদ্ধতে লিপ্ত। তবে সবচাইতে ক্ষতির সম্মুখীন মুলত সিরিয়া। এখানে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত। আর তাদের শক্তির লড়াইয়ে বলী হচ্ছে নিরীহ সিরীয় নাগরিকগন।
সংকটের ইতিহাস
সিরীয় সংকটের ইতিহাস অনেক পুর্ব থেকে চলে আসবে। মুলত স্বাধীনতার পর থেকেই প্রাচ্যের অনেক দেশের মত এখানেও নেতাদের খেয়ালখুশির স্বৈরশাসন শুরু হয়। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর হাত থেকে যখন এই দেশগুলো স্বাধীন হয় তখন তারা উদ্ভট এক সীমানা তৈরি করে। মুলত সিরিয়াতে তিনটি জাতিগোষ্ঠী বাস করে আরব (সুন্নি), কুর্দি, শিয়া তাদের পরস্পরের ভেতর সদ্ভাব নেই বললেই চলে। এর ভেতর কুর্দিরা কুর্দি ভাষাভাষী অঞ্চলগুলো নিয়ে স্বাধীন কুর্দিস্তান গঠন করতে চাই। আরব সুন্নিরা কখনো শিয়াদের মেনে নেয়নি আর জনসং্খ্যার মাত্র ৮% হওয়ার পরেও শিয়ারা সিরিয়ার প্রায় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আর বাশার আল আসাদের পিতা হাফিজ আল আসাদ এক সামরিক অভ্যুত্থান এর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে পুরো সিরিয়াজুরে এক ভয়ের শাসন কায়েম করেন। তার শাসনামলে তার বিরোধী ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুড এর প্রায় আড়াই লাখ নেতা কর্মী কে হত্যা করেন। তিনি রাশিয়ার মিত্র হিসেবে একনিষ্ঠ রাশিয়ার দালালী করেন। বাদশাহ ফয়সালের মৃত্যুর পর উপযুক্ত নেতার অভাবে যখন উপসাগরীয় আরব দেশগুলো আমেরিকান দালালে রুপান্তরিত হয় তখন হাফিজ আলল আসাদ একাই রাশিয়ার দালালী করতে থাকেন। আর রাশিয়াও তার একনিষ্ঠ দালাল কে রেখে কোথাও যায়নি।
পরবর্তীতে হাফিজের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসে বাশার আল আসাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





